শিলিগুড়ি, 13 এপ্রিল : "অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু নির্বাচন কমিশনের সমস্ত খবর তৃণমূলকে দিয়ে দিচ্ছেন। উনি তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মানুষের ধারণা ইচ্ছাকৃত ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বারবার বলছেন নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না। এই কথা বলার অর্থ হল সর্বসমক্ষে নির্বাচন কমিশনের মানহানি করা। তিনি তৃণমূলের নির্দেশে করে এই কাজ করছেন।" আজ শিলিগুড়িতে ETV ভারতকে একথা বলেন BJP নেতা মুকুল রায়।
কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে প্রায় তিনশো বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছে BJP। এই প্রসঙ্গে মুকুল বলেন, "আমাদের দাবি অনুযায়ী কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ওয়েবকাস্ট দেখতে বলেছি। এক্ষেত্রে কমিশনের উচিত রিটার্নিং অফিসার ও পর্যবেক্ষকের রিপোর্টের পাশাপাশি ওয়েবকাস্টিংয়ের ভিডিয়ো দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া।"
গতকাল কলকাতায় নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখায় BJP। তাদের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় বসুকে সরাতে হবে না হলে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করা হবে। এই প্রসঙ্গে মুকুল বলেন, "এখনও ২৪ ঘণ্টা হয়নি। কমিশনে বিক্ষোভ দেখানো গণতন্ত্রের একটি অংশ। ওটা কমিশন নয়। নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর। আগেও অন্য দল ওখানে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সঞ্জয় বসুকে সরানোর দাবিতে অনড় রয়েছি।"
তৃণমূলকে আক্রমণ করে মুকুল বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের উপর আস্থা হারিয়েছে। সেজন্য মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে চুরি করে লোকসভা নির্বাচনে জিততে চাইছে। কমিশনের নিজস্ব লোকবল নেই বলেই এই সমস্যা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সদ্ব্যবহার করছেন। ভারতীয় জনতা পার্টি জিতবে। এটা নিশ্চিত।"