দার্জিলিং, 23 মে: রাজ্যে পর পর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার রাজ্যের মন্ত্রীদের অবস্থান নিয়েই শুরু হয়েছে দ্বন্দ । এই ধরনের ঘটনায় তাঁদের দেখা গেল কেন্দ্রের কোর্টেই বল ঠেলে দিতে । কোনও মন্ত্রী দাবি করেছেন, এই ধরনের ঘটনার পিছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের টাকা আটকে রাখা ৷ আবার কোনও মন্ত্রী দাবি করেছেন, এসবের পিছনে রয়েছে প্ররোচনা ।
অন্য আরেক প্রতিমন্ত্রী দাবি করেছেন, কোনও বাজি নয়, কার্বাইড গ্যাস আনলোড করতে গিয়ে ঘটেছে মালদার বিস্ফোরণ । আর রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রীদের মালদার ঘটনার পর প্রতিক্রিয়ায় রাজনৈতিকমহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এগরা, বজবজের পর মালদার ইংরেজবাজারের বাজির গুদামে মঙ্গলবার বিস্ফোরণ ঘটে । আর সেই ঘটনার পরই আরও বেশি অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। এমত অবস্থায় রাজ্যের মন্ত্রীরা যে দাবি করেছেন তাতে যথেষ্ট জলঘোলা হতে শুরু করেছে ।
মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে চলছিল কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে 32 ঘণ্টার ধরনা কর্মসূচি । আর সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্প, নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা । তিনি মালদার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, "যে ঘটনাগুলি ঘটছে তা অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক। তবে এটাও ঠিক আজ যদি কেন্দ্র সরকার একশো দিনের টাকা দিতো তাহলে গ্রামের মানুষকে ওইধরনের কাজ করতে হত না । তবে তদন্ত চলছে। কাউকে রেয়াত করা হবে না ।" রাজ্যের আরেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, অর্থ ও স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে থাকা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, "পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে । কিন্তু পরপর রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে? কোথাও কি কোনও প্ররোচনা রয়েছে, সেটাও তদন্তে বের হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে ।"
পাশাপাশি রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, "প্রাথমিক তদন্তে যা জানা গিয়েছে সেটা হল কার্বাইড গ্যাস আনলোড করার সময় ওই বিস্ফোরণ হয় । তবে বাকিটা তদন্তসাপেক্ষ ।" কিন্তু আর যাই হোক, পরপর এই ধরনের বাজি কারখানা বা মজুত থাকা দোকান কিংবা গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ । জেলায় জেলায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে, বিপুল পরিমাণ বাজি বাজেয়াপ্ত করছে । কিন্তু তারপরেও প্রশ্ন উঠছে এখানেই শেষ তো? নাকি সামনে আসবে আবার কোনও ঘটনা ৷
আরও পড়ুন: ঘিঞ্জি এলাকায় বাজির গুদামে আগুন ! বিস্ফোরণের কারণ বাজি না কার্বাইড ?