ETV Bharat / state

"সব তো চলে গেল, এখন আর কী পুজো" - Matigara Fire

পঞ্চমীতে আগুন লেগেছিল মাটিগাড়ার সাতটি দোকানে । পুজোর মুখে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় সাত ব্যবসায়ী-সহ কর্মচারীদের । একধাক্কায় পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছিল অনেকের । ফলে পুজোয় আনন্দ তো দূর, এখন শুধু বাঁচার রসদ খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁরা ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Oct 4, 2019, 10:07 PM IST

Updated : Oct 4, 2019, 11:47 PM IST

শিলিগুড়ি, 4 অক্টোবর : পুজোয় পরিকল্পনা ছিল বাচ্চাদের নিয়ে ঠাকুর দেখার । নতুন জামা, জুতো পরে সবার মতোই ঠাকুর দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ওরা । পুজোর বাকি দিনগুলো বাবাকে কাছে পাওয়া যায় না সেভাবে, তাই পুজোয় কোথায় যাবে, কী খাবে, সব ঠিক হয়ে গেছিল । গতকাল পঞ্চমীর সকাল থেকে যখন মণ্ডপে মণ্ডপে মায়ের মূর্তি ঢুকছে, জামা-কাপড়ের সঙ্গে জাঙ্ক জুয়েলারি বাছতে ব্যস্ত পরিবার । আচমকাই ফোনের অন্যদিকে মাটিগাড়া বাজারে আগুনের খবর । একধাক্কায় পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ার জো । তখনও কেউ জানে না আদৌ কার ঘর পুড়েছে । ছোটাছুটি মাঝেই জানা গেল সাতটি দোকান পুড়ে ছাই । পুড়ে ছাই দোকান মালিক, কর্মচারিদের পরিবারের পুজো দেখার স্বপ্নও । মা তো এলেন, নিয়ে এলেন একরাশ দুঃখ ? কেড়ে অন্ন জোগানের রাস্তাটাই ?এসব প্রশ্নের মাঝেই চোখের কোণ চিকচিক করে উঠল ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিক শ্যামল দাসের ।

বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আগুন লাগে শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়া বাজারে । পুড়ে ছাই হয়ে যায় সাতটি দোকান । পুজোর মুখে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় সাত ব্যবসায়ী-সহ কর্মচারীদের । ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক এক কোটি বলে দাবি করছেন তাঁরা । কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগুনে ছয়লাপ সাত পরিবার । পুজোয় আনন্দ তো দূর, এখন শুধু বাঁচার রসদ খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁরা ।

গতকালের ঘটনার পর আজ সকাল থেকেই থমথমে পরিবেশ মাটিগাড়া বাজার এলাকায় । দেবীর বোধন হলেও আনন্দের বদলের বিষাদের সুরই রয়েছে এলাকায় । ঘটনাস্থানে মোতায়েন রয়েছে RAF ও পুলিশ বাহিনী । পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় ঘটনাস্থানে যাচ্ছেন মন্ত্রী, মেয়র, সভাধিপতি । আশ্বাস দিচ্ছেন পাশে দাঁড়ানোর । যদিও কতটা সাহায্য পাবেন তা নিয়ে সংশয়ে ব্যবসায়ীরা ।

এবিষয়ে হার্ডওয়্যার মালিক শ্যামল দাস বলেন, "পুজোর মুহূর্তে এমন ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছি । বেঁচে থাকাই এখন চ্যালেঞ্জ আমাদের কাছে । পুজো আর পুজো নেই । অনেক স্বপ্ন ছিল পুজোর বাজার শেষে পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু একটা করব । কিন্তু সেটা আর সম্ভব হবে কীভাবে?" পাশ থেকেই অপর এক ব্যবসায়ী মিলন দাস বলে ওঠেন, "সব কথার শেষ কথা আমরা নিঃস্ব । ফেরার রাস্তা নেই । তবে প্রশাসনের তরফে যদি কোনওমতে দোকান তৈরি করে দেওয়া হত তবে ধার দেনা করে অন্তত নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতাম ।"

দেখুন ভিডিয়ো

শিলিগুড়ি, 4 অক্টোবর : পুজোয় পরিকল্পনা ছিল বাচ্চাদের নিয়ে ঠাকুর দেখার । নতুন জামা, জুতো পরে সবার মতোই ঠাকুর দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ওরা । পুজোর বাকি দিনগুলো বাবাকে কাছে পাওয়া যায় না সেভাবে, তাই পুজোয় কোথায় যাবে, কী খাবে, সব ঠিক হয়ে গেছিল । গতকাল পঞ্চমীর সকাল থেকে যখন মণ্ডপে মণ্ডপে মায়ের মূর্তি ঢুকছে, জামা-কাপড়ের সঙ্গে জাঙ্ক জুয়েলারি বাছতে ব্যস্ত পরিবার । আচমকাই ফোনের অন্যদিকে মাটিগাড়া বাজারে আগুনের খবর । একধাক্কায় পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ার জো । তখনও কেউ জানে না আদৌ কার ঘর পুড়েছে । ছোটাছুটি মাঝেই জানা গেল সাতটি দোকান পুড়ে ছাই । পুড়ে ছাই দোকান মালিক, কর্মচারিদের পরিবারের পুজো দেখার স্বপ্নও । মা তো এলেন, নিয়ে এলেন একরাশ দুঃখ ? কেড়ে অন্ন জোগানের রাস্তাটাই ?এসব প্রশ্নের মাঝেই চোখের কোণ চিকচিক করে উঠল ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিক শ্যামল দাসের ।

বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আগুন লাগে শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়া বাজারে । পুড়ে ছাই হয়ে যায় সাতটি দোকান । পুজোর মুখে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় সাত ব্যবসায়ী-সহ কর্মচারীদের । ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক এক কোটি বলে দাবি করছেন তাঁরা । কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগুনে ছয়লাপ সাত পরিবার । পুজোয় আনন্দ তো দূর, এখন শুধু বাঁচার রসদ খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁরা ।

গতকালের ঘটনার পর আজ সকাল থেকেই থমথমে পরিবেশ মাটিগাড়া বাজার এলাকায় । দেবীর বোধন হলেও আনন্দের বদলের বিষাদের সুরই রয়েছে এলাকায় । ঘটনাস্থানে মোতায়েন রয়েছে RAF ও পুলিশ বাহিনী । পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় ঘটনাস্থানে যাচ্ছেন মন্ত্রী, মেয়র, সভাধিপতি । আশ্বাস দিচ্ছেন পাশে দাঁড়ানোর । যদিও কতটা সাহায্য পাবেন তা নিয়ে সংশয়ে ব্যবসায়ীরা ।

এবিষয়ে হার্ডওয়্যার মালিক শ্যামল দাস বলেন, "পুজোর মুহূর্তে এমন ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছি । বেঁচে থাকাই এখন চ্যালেঞ্জ আমাদের কাছে । পুজো আর পুজো নেই । অনেক স্বপ্ন ছিল পুজোর বাজার শেষে পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু একটা করব । কিন্তু সেটা আর সম্ভব হবে কীভাবে?" পাশ থেকেই অপর এক ব্যবসায়ী মিলন দাস বলে ওঠেন, "সব কথার শেষ কথা আমরা নিঃস্ব । ফেরার রাস্তা নেই । তবে প্রশাসনের তরফে যদি কোনওমতে দোকান তৈরি করে দেওয়া হত তবে ধার দেনা করে অন্তত নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতাম ।"

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:এখন আর পূজো! আমরা তো শেষে; কাম ব্যাক করার রাস্তা নেই

শিলিগুড়ি, ৪ অক্টোবরঃ ঘন্টা কয়েকের অগ্নিকান্ড ছয়লাপ করে দিল সাত পরিবারকে। পূজোর আনন্দ মূহুর্তের মধ্যে মাটি হয়ে গেল। এখন শুধু বাঁচার রসদ খুঁজে বেড়াচ্ছেন তারা।

Body:বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়া বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। একটানা ঘন্টা কয়েকের অগ্নিকান্ডের ঘটনার জেরে একযোগে সাতটি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলির মধ্যে রয়েছে পাঁচটি মুদিখানা দোকান, একটি হার্ডওয়ার দোকান ও একটি টেইলারের দোকান। প্রতিটি দোকানই পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ কমবেশী এক কোটি, দাবী ব্যবসায়ীদের।

অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর আজ সকাল থেকেই থমথমে পরিবেশ মাটিগাড়া বাজার এলাকায়। ঘটনাস্থানে মোতায়েন রয়েছে র‍্যাফ ও পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় ঘটনাস্থল যাচ্ছেন মন্ত্রী মেয়র, সভাধিপতি। আশ্বাস দিচ্ছেন পাশে দাঁড়ানোর। যদিও কতটা সাহায্য পাবেন তা নিয়ে সংশয়ে ব্যবসায়ীরা।

Conclusion:হার্ডওয়্যার দোকানের মালিক শ্যামল দাস বলেন, পূজোর মূহুর্তে এমন ঘটনায় আমরা তো শেষ। নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। বেঁচে থাকাই এখন চ্যালেঞ্জ আমাদের কাছে। পূজো আর পূজো নেই। অনেক স্বপ্ন ছিল পূজার বাজার শেষে পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু একটা করব। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হবে কিভাবে? অপর এক ব্যবসায়ী মিলন দাস বলেন, সব কথার শেষ কথা আমরা নিঃস্ব। কাম ব্যাক করার রাস্তা নেই। তবে প্রশাসনের তরফে যদি কোনমতে দোকান তৈরী করে দেওয়া হত তবে ধার দেনা করে অন্তত নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতাম।




Last Updated : Oct 4, 2019, 11:47 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.