দার্জিলিং, 14 অক্টোবর : ব্যাঙডুবিতে আজ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল শহিদ জওয়ান সুবাস থাপার ৷ গতকাল তাঁর কফিনবন্দী মৃতদেহ পৌঁছায় বাগডোগরায় ৷ কিন্তু তখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধে ৷ তাই গান স্যালুট দেওয়া যাবে না বলে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়নি তাঁর বাড়িতে ৷
আজ সকালে সুবাসের মৃতদেহ নিয়ে শববাহী গাড়ি রওনা দেয় তাঁর বাড়ির উদ্দেশে ৷ রাস্তার দু'ধারে তখন সারি সারি লোক ৷ সকাল থেকেই তারা যেন প্রতীক্ষা করছিল সুবাসকে শেষবার দেখার ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানাল, কারও বাড়িতে আজ উনুন জ্বলেনি৷ শহিদ সুবাসকে দেখতে তারা সকাল থেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ৷ বলা চলে সুবাসের মৃত্যুর শোকে গোটা এলাকা যেন আজ অরন্ধন দিবস পালন করছে ৷ ঘড়ির কাঁটায় তখন পৌনে ন'টা ৷ গাড়ি পৌঁছায় পানিঘাটা মোড়ে ৷ সেখানে ভিড় ছিল আরও বেশি ৷ অনেকেই দাঁড়িয়েছিল জাতীয় পতাকা হাতে ৷ শববাহী গাড়ি পৌঁছাতেই "ভারত মাতা কী জয়", "বন্দেমাতরম" স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা ৷ চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি অনেকেই ৷ জল মুছতে মুছতে তারা বলে, "সুবাস থাপা অমর রহে ৷" ভিড়ের মাঝে রাস্তা করে বাড়ি পৌঁছায় শহিদ সুবাসের দেহ ৷ কান্নায় ভেঙে পড়ে বাড়ির লোকজন ৷ তাদের সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসে এলাকার মানুষ ৷ এরপর বাড়ি থেকে কফিনবন্দী দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙডুবিতে । সেখানেই পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য ।
স্থানীয় একজন বলেন, "দেশ রক্ষায় গোর্খাদের অবদান অনস্বীকার্য । গোটা দেশ তার সাক্ষী ৷ তারা সুবাসকে দেখার জন্য সকাল থেকেই অপেক্ষা করছিলেন ।"
11 অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরের নৌসেরা সেক্টরে পাকিস্তানি সেনার গুলিতে গুরুতর জখম হয় সুবাস থাপা । উধমপুর সেনা হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি । সেখানেই 11 অক্টোবর রাতে তাঁর মৃত্যু হয় । আট বছর ধরে দেশ সেবার কাজে নিয়োজিত ছিলেন সুবাস ৷