শিলিগুড়ি, ১০ মে : ইভিটিজ়িংয়ের প্রতিবাদ করে খুন হওয়া বিক্রম সুব্বার খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ভক্তিনগর থানায় বিক্ষোভ দেখালেন বাম কর্মী-সমর্থকরা । গতকাল সকালে ডাবগ্রামে বিক্রম সুব্বার দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বামেদের অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত । তাই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি ।
এদিকে স্থানীয় BJP নেতৃত্বের বক্তব্য, বিক্রম সুব্বা প্রথমে CPI(M) কর্মী ছিলেন । 2019 লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন। বাম কর্মী হওয়ায় আগে থেকেই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের চক্ষুশূল ছিলেন বিক্রম। তাই সুযোগ পেয়ে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। বামফ্রন্ট নেতৃত্বের দাবি, বিক্রমের মা CPI(M) পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন । বিক্রম BJP করত না ।
বুধবার বন্ধুদের সঙ্গে মিরিকে ঘুরতে গেছিলেন বিক্রম । মিরিক থেকে ফিরে বাড়ির সামনেই আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি । সেই সময় দুই বহিরাগত যুবক এক যুবতিকে উত্ত্যক্ত করছিলেন । এর প্রতিবাদ করেন বিক্রম । প্রতিবাদ করা নিয়ে তৃণমূল কর্মী ওয়াংদি শেরপার সঙ্গে বচসা হয় । এরপর গতকাল সকালে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ।
CPI(M) জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, "বিক্রমের খুনের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার হলেও আসল দুই অভিযুক্ত এখনও অধরা । তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। এই দাবিতে থানা ঘেরাও করছি আমরা।"
বাম শিবিরের বিক্ষোভের মুখে পড়ে মূল অভিযুক্ত ওয়াংদি শেরপা সহ দু'জনকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেন বাম নেতা-কর্মীরা।