শিলিগুড়ি, 18 মে: সেনাবাহিনীর গাড়িতে এসি মেশিনে গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযোগ দায়ের করল সেনাবাহিনী । পাশাপাশি, ওই ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য । যে দোকানে গ্যাস ভরার কাজ হচ্ছিল, সেই দোকানের কোনও সরকারি বৈধতাই ছিল না । এমনকি ছিল না কোনও ট্রেড লাইসেন্স ও ফায়ার সেফটি লাইসেন্সও। পৌরনিগমের নাকের ডগায় চলছিল ওই অবৈধ কারবার ৷ আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পৌরনিগমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও ঘটনার পরই তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ । শুরু করা হয়েছে সার্ভের কাজ ।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ওই দোকানের মালিক গুড্ডু খান। তার উদ্দেশ্যে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, বুধবার শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 13 নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জাবীপাড়ায় সেনাবাহিনীর একটি ছোট চারচাকা গাড়ির এসি মেশিনে গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে । আর সেই ঘটনায় এক সেনা জওয়ান-সহ আহত হয় চারজন ।
ঘটনার পরই বুধবার রাতে ব্যবসায়ী গুড্ডু খানের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করে সেনা পুলিশ । এদিকে গুড্ডু সিংকে খুঁজতে শহরে নাকা শুরু করেছে পুলিশ ।
গোটা ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে পৌরনিগম । পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার- সহ অন্যান্যরা । ওই ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স রয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত শুরু করে পৌর কর্তৃপক্ষ । পরে জানা যায়, ট্রেড বা ফায়ার কোনও লাইসেন্সই নেই ওই ব্যবসায়ীর । বিষয়টি জানা মাত্র পৌর আইনে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার কথা জানিয়েছেন মেয়র গৌতম দেব ।
বৃহস্পতিবার গৌতম দেব বলেন, "ব্যবসায়ীর কোনও ট্রেড লাইসেন্স নেই, সেটা জানা মাত্রই তার বিরুদ্ধে পৌর আইনে পদক্ষেপ করা হবে ৷ পাশাপাশি আর কোনও ওয়ার্ডে ওই ধরনের অবৈধ দোকান রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।" পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ (ট্রেড লাইসেন্স) দিলীপ বর্মন বলেন, "ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে । এছাড়া তদন্ত করে জানা গিয়েছে আগে অফলাইনে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার জন্য 60 শতাংশ লাইসেন্সে গরমিল রয়েছে । যে কারণে পুরো বিভাগে তদন্ত ও সার্ভে শুরু হয়েছে । এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না ।"