কালিম্পং, 17 জুন : রাজ্য়ে ঢুকে গিয়েছে বর্ষা ৷ আর তারপর থেকেই টানা বর্ষণে বিভিন্ন জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটছে ৷ পাহাড় থেকে সমতল, সর্বত্রই ধসের কবলে পড়ছে মানুষ ৷ বৃহস্পতিবার পাহাড়েও বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটে ৷ কালিম্পং ও দার্জিলিংয়ের একাধিক জায়গায় ধসের ফলে আতঙ্ক ছড়ায় ৷
বৃহস্পতিবার সকালে কালিম্পং জেলার ছয় মাইল এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় ধস নামে ৷ এর ফলে কালিম্পং থেকে লাভাগামী রাজ্য সড়ক ধরে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ জেলা পুলিশের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে আপাতত বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করার আবেদন জানানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : টানা বৃষ্টিতে ভাঙল খালের পাড়, ধসে গেল রাস্তা
ছয় মাইলের পাশাপাশি 10 নম্বর জাতীয় সড়কের আংহেরি টুমলং, ঊনত্রিশ মাইলের শ্বেতী ঝোরা ও রংপো এলাকাতেও ধস নামে ৷ যার ফলে এই এলাকাগুলিতে জাতীয় সড়ক দিয়ে যোগাযোগব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ ধসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কালিম্পং জেলা পুলিশ এবং বর্ডার রোড অরগানাইজেশন ৷
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজ্য সড়কের উপর থেকে ধস সরানো গেলেও এখনও পর্যন্ত 10 নম্বর জাতীয় সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গায় ধসে যাওয়া মাটি, পাথর সরানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ৷ তাদের আশা, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই ধস পরিষ্কার হয়ে যাবে ৷ অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা ৷
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই কালিম্পংয়ের 10 নম্বর জাতীয় সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছিল ৷ তবে এখনও পর্যন্ত ধসের ফলে বড় রকমের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন : টানা বৃষ্টিতে ধস উলুবেড়িয়ার রাস্তায়
অন্যদিকে, এদিনই ধস নামে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে ৷ সূত্রের খবর, দার্জিলিং জেলার বিজনবাড়ির অটোবোড়ে মৌজায় পাহাড়ে ধস নামে ৷ যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে, তার পাশেই রয়েছে বসত এলাকা ৷ ধসের ফলে বাসিন্দাদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় পাঁচটি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ একথা জানিয়েছেন জেলাশাসক এস পুণ্যমবলম ৷