ETV Bharat / state

Darjeeling political parties on GTA Election: জুনেই জিটিএ নির্বাচনের প্রস্তাব রাজ্যের, দ্বিধাবিভক্ত পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি

জিটিএ নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি (Darjeeling political parties on GTA Election)৷ জুন মাসেই জিটিএ নির্বাচন করার জন্য কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার (Bengal Govt keen on holding GTA Election in June)৷

Hesitation in Darjeeling political parties as Bengal Govt keen on holding GTA Election in June
জুনেই জিটিএ নির্বাচনের প্রস্তাব রাজ্যের, দ্বিধাবিভক্ত পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি
author img

By

Published : May 10, 2022, 3:38 PM IST

দার্জিলিং, 10 মে: জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হতে পারে জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) নির্বাচন । এমনই প্রস্তাব রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার (Bengal Govt keen on holding GTA Election in June)। জুন মাসে যে কোনও সময়ে জিটিএ নির্বাচন সংঘটিত কর‍তে প্রস্তুত রাজ্য । আর রাজ্যের পাঠানো প্রস্তাবের পরই দ্বিধাবিভক্ত পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলো (Darjeeling political parties on GTA Election)।

সম্প্রতি শিলিগুড়ি সফরে গিয়ে দ্রুত জিটিএ নির্বাচন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেইমতো নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠায় রাজ্য সরকার । কিন্তু জিটিএ নির্বাচনের প্রস্তাব পাঠানোর পরই কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের পক্ষে সায় দিয়েছে, আবার বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করেছে ।

সম্প্রতি পাহাড় সফরে গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি মতো খুব দ্রুত পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু তারপরই নির্বাচনের বিরোধিতা করে পালটা সরব হয় বিজেপি ও বিজেপির জোটসঙ্গী জিএনএলএফ । জিটিএকে অবিলম্বে স্থগিত ও ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়ে কালিম্পং, দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও মিরিকে ব্যাপক ভাবে পোস্টারিং করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন জিএনএলএফ-এর কর্মী সমর্থকরা । জিএনএলএফ-এর অভিযোগ, জিটিএ'র নামে সাধারণ মানুষ ও সরকারের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে । জিটিএ পাহাড়ের সমস্যার সমাধান নয় । দুর্নীতির আখড়া । কোনও ভাবেই জিটিএ চলতে দেওয়া হবে না । পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করুক, এই দাবিও পোস্টারিঙের মাধ্যমে জানায় জিএনএলএফ নেতৃত্ব ।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: জিটিএ নির্বাচনের ইঙ্গিত, পাহাড়ে শীঘ্রই লাগু ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা

এ দিকে দ্রুত জিটিএ নির্বাচনের আগে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জানিয়েছে বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও । কিন্তু অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি, হরকা বাহাদুরের জন আন্দোলন পার্টি, এসপি শর্মার ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদ-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে ।

দার্জিলিং হিল তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাই বলেন, "আমরা জিটিএ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত । কোনও অসুবিধা নেই।" একই সুর ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনিত থাপার গলাতেও । তিনি বলেন, "পাহাড়ের মানুষের দাবি, জিটিএ নির্বাচন দ্রুত হোক । তাতে পাহাড়ের নাগরিক পরিষেবা উন্নত হবে । আমাদের বহুদিনের দাবি ছিল জিটিএ নির্বাচন ।" হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেন, "আমরাও চাই আগে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হোক । আমরাও জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে নই । তবে আমরা চাই না জিটিএ নির্বাচন হলে সেটার কেউ অপব্যবহার করুক । সেজন্য আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব ।"

তবে উলটো সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি, জিএনএলএফ ও বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার গলায় । তবে পাহাড়ে একের পর এক নতুন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের উত্থানে কোনঠাসা এই তিন রাজনৈতিক দল । বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে দার্জিলিং ও কার্শিয়াংয়ে বিজেপি এবং জিএনএলএফ জোট জয় পেলেও কালিম্পঙে অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার কাছে তাদের পরাজিত হতে হয় । আবার পৌরসভা নির্বাচনে বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-সহ সবাই হামরো পার্টির কাছে পরাজিত হয় । ফলে পৌরসভা নির্বাচনের পর পাহাড়ে কার অস্তিত্ব কতটা, তা পরিস্কার হয়ে গিয়েছে । বিশেষ করে পাহাড়ে ফিরেও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি বিমল গুরুং নিজেও । রাজনৈতিকমহলের একাংশের ধারণা, সেই কারণেই এখন পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করছে ওই রাজনৈতিক দলগুলো ।

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, "আমরা জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে নই । কারণ জিটিএ পাহাড়ের মানুষের দাবি পূরণ করতে পারেনি । বিফল হয়েছে । আমরা সাংবিধানিক স্বীকৃতি মেনে সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চাই ।" জিএনএলএফ নেতা তথা দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা বলেন, "আমরা জিটিএ নির্বাচনে অংশ নেব না । কারণ জিটিএ সম্পূর্ণ বিফল হয়েছে । আমরা স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই । জিটিএর মাধ্যমে ফের একবার দুর্নীতি হবে । পাহাড়বাসীর টাকা তছরুপ হবে ।"

দার্জিলিং, 10 মে: জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হতে পারে জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) নির্বাচন । এমনই প্রস্তাব রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার (Bengal Govt keen on holding GTA Election in June)। জুন মাসে যে কোনও সময়ে জিটিএ নির্বাচন সংঘটিত কর‍তে প্রস্তুত রাজ্য । আর রাজ্যের পাঠানো প্রস্তাবের পরই দ্বিধাবিভক্ত পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলো (Darjeeling political parties on GTA Election)।

সম্প্রতি শিলিগুড়ি সফরে গিয়ে দ্রুত জিটিএ নির্বাচন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেইমতো নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠায় রাজ্য সরকার । কিন্তু জিটিএ নির্বাচনের প্রস্তাব পাঠানোর পরই কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের পক্ষে সায় দিয়েছে, আবার বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করেছে ।

সম্প্রতি পাহাড় সফরে গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি মতো খুব দ্রুত পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু তারপরই নির্বাচনের বিরোধিতা করে পালটা সরব হয় বিজেপি ও বিজেপির জোটসঙ্গী জিএনএলএফ । জিটিএকে অবিলম্বে স্থগিত ও ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়ে কালিম্পং, দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও মিরিকে ব্যাপক ভাবে পোস্টারিং করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন জিএনএলএফ-এর কর্মী সমর্থকরা । জিএনএলএফ-এর অভিযোগ, জিটিএ'র নামে সাধারণ মানুষ ও সরকারের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে । জিটিএ পাহাড়ের সমস্যার সমাধান নয় । দুর্নীতির আখড়া । কোনও ভাবেই জিটিএ চলতে দেওয়া হবে না । পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করুক, এই দাবিও পোস্টারিঙের মাধ্যমে জানায় জিএনএলএফ নেতৃত্ব ।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: জিটিএ নির্বাচনের ইঙ্গিত, পাহাড়ে শীঘ্রই লাগু ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা

এ দিকে দ্রুত জিটিএ নির্বাচনের আগে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জানিয়েছে বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও । কিন্তু অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি, হরকা বাহাদুরের জন আন্দোলন পার্টি, এসপি শর্মার ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদ-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে ।

দার্জিলিং হিল তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাই বলেন, "আমরা জিটিএ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত । কোনও অসুবিধা নেই।" একই সুর ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনিত থাপার গলাতেও । তিনি বলেন, "পাহাড়ের মানুষের দাবি, জিটিএ নির্বাচন দ্রুত হোক । তাতে পাহাড়ের নাগরিক পরিষেবা উন্নত হবে । আমাদের বহুদিনের দাবি ছিল জিটিএ নির্বাচন ।" হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেন, "আমরাও চাই আগে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হোক । আমরাও জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে নই । তবে আমরা চাই না জিটিএ নির্বাচন হলে সেটার কেউ অপব্যবহার করুক । সেজন্য আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব ।"

তবে উলটো সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি, জিএনএলএফ ও বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার গলায় । তবে পাহাড়ে একের পর এক নতুন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের উত্থানে কোনঠাসা এই তিন রাজনৈতিক দল । বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে দার্জিলিং ও কার্শিয়াংয়ে বিজেপি এবং জিএনএলএফ জোট জয় পেলেও কালিম্পঙে অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার কাছে তাদের পরাজিত হতে হয় । আবার পৌরসভা নির্বাচনে বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-সহ সবাই হামরো পার্টির কাছে পরাজিত হয় । ফলে পৌরসভা নির্বাচনের পর পাহাড়ে কার অস্তিত্ব কতটা, তা পরিস্কার হয়ে গিয়েছে । বিশেষ করে পাহাড়ে ফিরেও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি বিমল গুরুং নিজেও । রাজনৈতিকমহলের একাংশের ধারণা, সেই কারণেই এখন পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করছে ওই রাজনৈতিক দলগুলো ।

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, "আমরা জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে নই । কারণ জিটিএ পাহাড়ের মানুষের দাবি পূরণ করতে পারেনি । বিফল হয়েছে । আমরা সাংবিধানিক স্বীকৃতি মেনে সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চাই ।" জিএনএলএফ নেতা তথা দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা বলেন, "আমরা জিটিএ নির্বাচনে অংশ নেব না । কারণ জিটিএ সম্পূর্ণ বিফল হয়েছে । আমরা স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই । জিটিএর মাধ্যমে ফের একবার দুর্নীতি হবে । পাহাড়বাসীর টাকা তছরুপ হবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.