শিলিগুড়ি, ৪ এপ্রিল : বিমল গুরুং পাহাড়ে এলে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হত। পাহাড়ে BJP এবং তার সহযোগী মোর্চা ও GNLF-এর সমর্থিত প্রার্থী এমনিই জিতবেন। তাই অশান্তি এড়াতেই এলেন না গুরুং। আজ সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানালেন গুরুংপন্থী মোর্চার প্রবক্তা বি পি বাজগাঈ।
শিলিগুড়ির কাছে মাটিগাড়ায় একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে আজ হাজির ছিলেন গুরুংপন্থী নেতারা। তাঁরা বলেন, "গুরুংকে স্বাগত জানাতে আমরা কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দিয়েছিলাম বিমানবন্দরে আসার জন্য। কিন্তু খবর ছড়িয়ে পড়তেই বহু গুরুংপন্থী সাধারণ মানুষও চলে আসেন। উলটোদিকে আমাদের কাছে খবর আসতে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় জমায়েত হয়েছেন আরও কিছু মানুষ। তারা বিমান বন্দরে বিক্ষোভ দেখাতে যান। বিনয়পন্থী মোর্চার নেত্রী ও GTA প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য ছিরিং ডাহালও ছিলেন সেখানে। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে কোনও কারণে গন্ডগোল লাগলে তা হিংসার রূপ নিত। সেই কারণেই দুপুরে মোর্চার সেন্ট্রাল কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় আপাতত আসবেন না বিমল গুরুং।"
আজ মোর্চা নেতৃত্ব অভিযোগ করে, গুরুং না এলেও সুপ্রিম কোর্টে যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে দু'জন সমর্থক দিল্লি থেকে বাগডোগরায় এসে পৌঁছান। তাঁদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ফলে আগামী চারদিনের মধ্যে কী ভাবে গুরুঙ্গরা কলকাতা হাইকোর্টে অথবা জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ পিটিশন দাখিল করবেন তা নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা হচ্ছে। বিষয়টি দেখছেন আইনি বিশেষজ্ঞরা।
গুরুংপন্থী মোর্চা নেতারা বলেন, "আজ বিমল গুরুং আসতে চেয়েছিলেন শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে হাইকোর্টে পিটিশন জমা দেওয়ার জন্য। এটা কোনও ব়্যালি বা সমাবেশ ছিল না। নিরাপত্তার কারণে আমরা চেয়েছিলাম রাতটুকু গুরুং দার্জিলিঙে কাটান। কিন্তু গুরুং আসবেন এই খবর ছড়ানোয় যা যা ঘটনা ঘটতে থাকে, তাতে দার্জিলিঙে তাঁর থাকা নিরাপদ ছিল না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। ফের কবে গুরুং আসবেন তা আইনি বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করে ঠিক করবেন।"