শিলিগুড়ি, 14 মে : ফের রাজ্যপালের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আজ অসমে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন ৷ সেখানে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ভোট দিলেই কি মানুষকে মরতে হবে? এরকম লুঠ কি কাম্য? এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের ভূমিকা কী হওয়া উচিৎ সেই বিষয়টিও তিনি মনে করিয়ে দেন ৷
রাজ্যপালের কোচবিহার সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে জেলা সফরে যেতে পারেন না রাজ্যপাল ৷ রাজ্যপালও জানিয়ে দেন তিনি সংবিধান মেনেই যা করার করছেন ৷ আজ আবারও তিনি সেই একই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, " রাজ্যপাল পোস্ট অফিস নয় ৷ রাজ্যপালেরও কিছু দায়িত্ব আছে ৷ আমার প্রথম দায়িত্ব দেশের সংবিধান বাঁচানো ৷ আর দ্বিতীয় দায়িত্ব হল মানুষকে সেবা করা ৷ "
ভোট পরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে তিনি এই পরিস্থিতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খানিকটা কটাক্ষ করেই স্যালুট জানান ৷ সেইসঙ্গে সেখানকার পরিস্থিতিকেও তুলে ধরে বলেন, "আমি কোচবিহার গেলাম ৷ যে পরিস্থিতি আমি ভেবেছিলাম সেখানকার অবস্থা তার থেকেও ভয়ানক ৷ ওখানকার মানুষদের চোখে শুধু ভয় আর আতঙ্ক ৷ এইধরনের পরিস্থিতি কখনও কাম্য নয় ৷ ভারতীয় সংবিধান মেনে কাজ হচ্ছে না ৷" পাশাপাশি, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷
আরও পড়ুন, সাংসদ কখনও নির্দিষ্ট দলের হয় না, নিশীথকে নিয়ে ওঠা প্রশ্নে জবাব রাজ্যপালের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, "নির্বাচনের সময় থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নানা মন্তব্যে জনতাকে উত্তেজিত করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তারপর শীতলকুচির ঘটনাকে গণহত্যার নাম দিয়েছেন ৷ এসপিকে সাসপেন্ড করেছেন ৷ অথচ মানুষের দুঃখ, চোখের জলকে তিনি দেখতে পেলেন না ৷"
গতকাল কোচবিহারের শীতলকুচি, মাথাভাঙা ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার পর আজ অসমে যান তিনি ৷ সেখানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন ৷ জেপির দাবি, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার পর তাদের বেশ কিছু কর্মী অসমে আশ্রয় নিয়েছেন । তাদের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন সাধারণ মানুষের জীবনরক্ষা করে না। জীবন বাঁচাতে বাংলা ছেড়ে পালিয়ে যায় অনেকে। এটি আমার জন্য এবং সরকারের জন্য লজ্জার বিষয় ।" এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি ৷