দার্জিলিং, 9 ডিসেম্বর : ছুটিতে বাড়ি ফিরলেও সমাজসেবায় সময় কাটাতেন নিহত জওয়ান সৎপাল রাই (Havildar Satpal Rai) ৷ বিশেষ করে যুব সমাজকে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুত করতেন এবং অনুপ্রাণিত করতেন । পাশাপাশি কীভাবে সেনায় ভর্তি হওয়া যায় সেই পথও দেখাতেন সৎপাল রাই ৷
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে এলাকাবাসীদের জমায়েত চোখে পড়ে । শেষ 21 নভেম্বর বাড়ি থেকে ছুটি কাটিয়ে রওনা দেন দিল্লির উদ্দেশ্যে । এলাকায় খুব ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি ।
সমাজসেবার পাশাপাশি সবথেকে বেশি শখ ছিল বাগান করার । বাড়িতে ছোট বাগানও রয়েছে । ছুটিতে বাড়ি ফিরলেই বাগানের কাজ করতেন সর্বক্ষণ। পাড়াতেও বেশ নামডাক ছিল । এক মাসের ছুটিতে বাড়ি ফিরেও গাছ লাগিয়েছিলেন নিজের বাগানে ।
পড়াশোনোতেও স্কুলে বরাবরই প্রথম হতেন সৎপাল রাই । প্রথম থেকেই দেশের জন্য কিছু করতে চাইতেন । ইচ্ছাশক্তির ভরেই পাহাড়ের দুর্গম এলাকা থেকে সেনায় যোগ দিয়েছিলেন ।
তাঁর বন্ধু রবীন শশাঙ্ক বলেন, "21 নভেম্বর শেষ কথা হয় । খুব খারাপ লাগছে । ছুটিতে বাড়ি এলেও সমাজসেবায় লেগে থাকত ।" সৎপাল রাইয়ের শিক্ষক পুলক মোকতান বলেন, "আমি খুব গর্বিত যে আমার ছাত্র দেশের জন্য শহিদ হয়েছে । খুব ভালো ছাত্র ছিল । ক্লাসে প্রথম আর খেলাধুলায় ক্যাপ্টেন হত ।"
আরও পড়ুন : Havildar Satpal Rai : দেশের জন্য প্রাণ গিয়েছে স্বামীর, গর্বিত সৎপালের স্ত্রী
গতকাল তামিলনাড়ুর নীলগিরি পাহাড়ে যে চপার দুর্ঘটনা হয়, তাতে সিডিএস জেনালের বিপিন রাওয়াতের সঙ্গেই নিহত হন সৎপাল রাই (Havildar Satpal Rai dies in chopper crash) ৷ তিনি বিপিন রাওয়াতের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন ৷ তাঁর মৃত্যুতে যেন শোকস্তব্ধ গোটা পাহাড় । আগামিকাল তাঁর মরদেহ বাড়িতে পৌঁছনোর কথা রয়েছে । সেখানে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাবে পাহাড়বাসী ।