দার্জিলিং, 18 অগস্ট: হাতির দাঁত পাঁচার চক্রের সঙ্গে জড়িত সেনা জওয়ান ! শুধু তাই নয়, সিকিম পুলিশের এক কনস্টেবলও সেই চক্রের অংশ হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ ৷ এমনই ঘটনার সাক্ষী নকশালবাড়ি ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে হাতির দাঁত-সহ পাঁচ পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্য বন দফতরের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো এবং এসএসবি-র 41 নম্বর ব্যাটেলিয়ন ও টুকুরিয়াঝাড় রেঞ্জের আধিকারিকরা যৌথভাবে অভিযান চালান ৷ সেই 5 জনের মধ্যে একজন সিকিম পুলিশের কনস্টেবল এবং আরেকজন বিএসএফ জওয়ান ৷ উদ্ধার হওয়া ওই হাতির দাঁতের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রায় 15 লক্ষ টাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে আছেন দার্জিলিঙের বাসিন্দা রিওয়াজ প্রধান । তিনি সিকিম পুলিশের কনস্টেবল। পাশাপাশি কালচিনির বাসিন্দা তপন থাপা নামে এক বিএসএফ জওয়ানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ বাকি তিনজন হলেন, প্রভু মুন্ডা, ধরম দাস ও রিয়ান খড়িয়া ৷ এদের কাছ থেকে প্রায় 1 কেজি ওজনের একটি হাতির দাঁত পাওয়া গিয়েছে ৷
নকশালবাড়ি বাসস্ট্যান্ডেই হাতির দাঁত হাত বদল হওয়ার কথা ছিল ৷ সেই সময় ওই পাঁচজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয় ৷ এর পর তল্লাশিতে হাতির দাঁত উদ্ধার হয় ৷ বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মাসে সংকোশ নদীতে হাতির দেহাংশ উদ্ধার হয় ৷ তার দাঁত ছিল না। বন দফতরের আধিকারিকদের ধারণা ওই হাতিটিকে প্রথমে মেরে ফেলা হয় ৷ এরপর দাঁত বের করে নিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে 15 লাখ টাকার হাতির দাঁত-সহ গ্রেফতার এক
রাজ্য বন দফতরের ওয়াইল্ড ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিক রজনীশ কুমার বলেন, "ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷ ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷" ধৃতদের আজ শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ পুলিশ পাচার চক্র সম্পর্কে আরও তথ্য জানার জন্য ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ৷ তাই তাঁদের নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ ৷