শিলিগুড়ি, 25 এপ্রিল: "রাজ্য পুলিশের উপর কোমরকম ভরসা নেই। আমরা সিবিআই তদন্তই চাই।" এমনই দাবি তুলছেন ময়নাগুড়িতে আত্মঘাতী নাবালিকার বাবা। ময়নাগুড়িতে ধর্ষণের চেষ্টার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে নাবালিকা (CBI Demamds on Maynaguri Molestation) ৷ টানা 12 দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর সোমবার তার মৃত্যু হয় ৷
সোমবার সকালে নাবালিকার মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়ে নাবালিকার পরিবার। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত নাবালিকার দেহ সৎকারের জন্য নেবেন না, এমনটাও জানিয়েছেন নাবালিকার বাবা। গত 14 এপ্রিল নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল নাবালিকা (Jalpaiguri news)। অভিযোগ, প্রতিবেশী যুবক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে দেড় মাস আগে । সেই বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার পর থেকেই নাবালিকাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল । অভিযুক্তের নাম প্রকাশ্যে আনার জন্য তাকে কঠিন মূল্য চোকাতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল ৷ সেই হুমকি সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই ছাত্রী । এমনই অভিযোগ করেছিলেন নাবালিকার বাবা
আরও পড়ুন : থামল 11 দিনের লড়াই, মৃত ময়নাগুড়ির নির্যাতিতা নাবালিকা
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল পাঁচটা নাগাদ ওই নাবালিকার মৃত্যু হয় ৷ নাবালিকার শরীরের 60 শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। টানা 12 দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। যদিও ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি হাইকোর্টেও ওই ঘটনার মামলা চলছে। কিন্তু গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাবালিকার বাবা। তিনি অভিযোগ করেন, "পুলিশ যদি সঠিক পদক্ষেপ করত তাহলে এসব হত না। মেয়ে যখন চলেই গিয়েছে আমি সিবিআই তদন্ত চাই। না হলে দেহ নেব না।" অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, "চিকিৎসায় কোনওরকম খামতি রাখা হয়নি। নাবালিকা ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চলছিল। কোনও খামতি থাকলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।" ঘটনার পরই, পুলিশের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে হাসপাতালে উপস্থিত হয় বাম নেতৃত্ব। তাঁরাও একই সঙ্গে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।