শিলিগুড়ি, 30 অগস্ট: গোয়েন্দা বিভাগের চোখে ধুলো দিতে কলকাতাগামী তিনটি পৃথক ট্রেনে সোনা পাচারের ছক কষেছিল পাচারকারীারা । শুধু তাই নয়, ট্রাউজারের ভিতর গোপন পকেট বানিয়ে ও কোমরের কাছে সেলোটেপ দিয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। কিন্তু এত করেও কাজের কাজ হল না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বড় সাফল্য পেল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ বা ডিআরআই। পাচারের আগেই উদ্ধার হল 5 কোটি 59 লক্ষ টাকার সোনা। ঘটনায় মোট 8 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃতরা সকলেই কোচবিহারের বাসিন্দা। মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই বিষয়ে ডিআরআইয়ের আইনজীবী রতন বণিক বলেন, "বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য 5 কোটি 59 লক্ষ 60 হাজার 973 টাকা। ঘটনায় 8 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার আনুমানিক ওজন 9 কেজি 543 গ্রাম। বিচারক ধৃতদের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা বিভাগের চোখে ধুলো দিতে ওই 8 পাচারকারী পৃথক তিনটি ট্রেনে করে কোচবিহার থেকে কলকাতার দিকে রওনা হয়েছিল। শাহানুর হক এবং রুবেল হোসেন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে চেপেছিল। নুর মহম্মদ মিঞা এবং দেলাবর মিঞা সরাইঘাট এক্সপ্রেসে ছিল। বাকি 4 জন রেজাউল হক, রাসেল হক, রেজাউল রহমান এবং মেহেবুব হোসেন পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে ডিআরআই।
তিনটি ট্রেন নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে পৌঁছতেই একে একে অভিযান চালায় ডিআরআই। পৃথক তিনটি ট্রেন থেকে একে একে সকলকে পাকড়াও করা হয়। তাদের ডিআরআইয়ের শিলিগুড়ি শাখার অফিসে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় আনুমানিক 9 কেজি 543 গ্রাম ওজনের মোট 80টি সোনার বিস্কুট। ধৃতরা বৈধ কোনও নথি দেখাতে না-পারায় ওই তাদের গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে ডিআরআই জানতে পেরেছে, বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে ভারতে নিয়ে আসার পর ওই বিপুল পরিমাণ সোনা কলকাতায় পাচারের জন্য় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অবশ্য় তার আগেই পাচারের ছক বানচাল হল।
আরও পড়ুন: পেট্রাপোল সীমান্তে ট্রাক থেকে বাজেয়াপ্ত 3.12 কোটি টাকার সোনার বিস্কুট