ETV Bharat / state

North Bengal Medical College উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপারকে গ্রেফতারের নির্দেশ জেলা আদালতের - হাসপাতালের সুপারের থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি নেওয়ার জন্য

শ্বশুরবাড়ির শারীরিক অত্যাচারের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে গৃহবধূর ৷ যার ফলে সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ যার কারণ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই গৃহবধূ ৷ এরপর তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের সুপারের থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি নেওয়ার জন্য ৷ সুপার তা না করায় তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন বিচারক (District Court Orders to Arrest the Superintendent of North Bengal Medical College) ৷

North Bengal Medical College
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপারকে গ্রেফতারের নির্দেশ জেলা আদালতের
author img

By

Published : Aug 16, 2022, 10:46 PM IST

শিলিগুড়ি, 16 অগস্ট: আদালত অবমাননার অভিযোগ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেন খোদ বিচারক। শুধু তাই নয়, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (পশ্চিম) জোন-2 মনীশ যাদবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিককে গ্রেফতার করার জন্য (District Court Orders to Arrest the Superintendent of North Bengal Medical College)।

তিনি ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চিকিৎসামহলে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও সমস্তরকম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক। তিনি বলেন, "আদালতের তরফে এমন কোনও চিঠি এসেছে কি না তা জানা নেই। আমাকে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।" শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি মনীশ কুমার যাদব বলেন, "বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন বলে শুনেছি। কিন্তু আমার কাছে কোনও অর্ডারের কপি আসেনি। আমি সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং আদালতের জিআরও-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোনও নির্দেশিকা পাইনি।"

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার বাসিন্দা জয়া বর্মন চলতি বছরের মে মাসে তাঁর স্বামী নবদ্বীপ বর্মন ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। শ্বশুরবাড়ির মারধর ও নির্যাতনের কারণে ওই বধূর গর্ভে থাকা সন্তান অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মারা যায়। এরপর ওই গৃহবধূ অভিযোগ দায়ের করলে আদালত তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে জমা করতে বলেন। এরপর ওই পুলিশ আধিকারিক একাধিকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কাছে সেই সংক্রান্ত নথি চাইলেও কর্তৃপক্ষ তা দেয়নি। প্রায় দেড় মাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও সাড়া না-মেলায় ক্ষুদ্ধ জেলা আদালতের বিচারক দেবপ্রসাদ নাগ।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের স্কুল শিক্ষককে পুনর্নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

এরপর আদালত সেই সংক্রান্ত নথি দ্রুত তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে জমা করার নির্দেশ দেন সুপারকে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ গ্রাহ্য না-করায় হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন তিনি। পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিককে দ্রুত যাতে গ্রেফতার করা হয় তার নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, 9 সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির আগে সুপারকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শিলিগুড়ি, 16 অগস্ট: আদালত অবমাননার অভিযোগ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেন খোদ বিচারক। শুধু তাই নয়, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (পশ্চিম) জোন-2 মনীশ যাদবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিককে গ্রেফতার করার জন্য (District Court Orders to Arrest the Superintendent of North Bengal Medical College)।

তিনি ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চিকিৎসামহলে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও সমস্তরকম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক। তিনি বলেন, "আদালতের তরফে এমন কোনও চিঠি এসেছে কি না তা জানা নেই। আমাকে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।" শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি মনীশ কুমার যাদব বলেন, "বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন বলে শুনেছি। কিন্তু আমার কাছে কোনও অর্ডারের কপি আসেনি। আমি সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং আদালতের জিআরও-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোনও নির্দেশিকা পাইনি।"

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার বাসিন্দা জয়া বর্মন চলতি বছরের মে মাসে তাঁর স্বামী নবদ্বীপ বর্মন ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। শ্বশুরবাড়ির মারধর ও নির্যাতনের কারণে ওই বধূর গর্ভে থাকা সন্তান অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মারা যায়। এরপর ওই গৃহবধূ অভিযোগ দায়ের করলে আদালত তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে জমা করতে বলেন। এরপর ওই পুলিশ আধিকারিক একাধিকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কাছে সেই সংক্রান্ত নথি চাইলেও কর্তৃপক্ষ তা দেয়নি। প্রায় দেড় মাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও সাড়া না-মেলায় ক্ষুদ্ধ জেলা আদালতের বিচারক দেবপ্রসাদ নাগ।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের স্কুল শিক্ষককে পুনর্নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

এরপর আদালত সেই সংক্রান্ত নথি দ্রুত তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে জমা করার নির্দেশ দেন সুপারকে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ গ্রাহ্য না-করায় হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন তিনি। পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিককে দ্রুত যাতে গ্রেফতার করা হয় তার নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, 9 সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির আগে সুপারকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.