শিলিগুড়ি, 21 আগস্ট : আজ সিপিএম, কংগ্রেসকে যেমন খুঁজতে হচ্ছে, রাজ্যের শাসকদলেরও একদিন এরকম অবস্থা হবে, তৃণমূল নিয়ে এই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ শনিবার বিজেপির শহিদ সম্মান যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে পৌঁছে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি । শহিদ সম্মান যাত্রায় বাধা দেওয়া-সহ বেশ কিছু সাম্প্রতিক প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন ৷
4টি শহিদ সম্মান যাত্রা চলছে রাজ্যে ৷ তিনি এতদিন দক্ষিণবঙ্গে ছিলেন ৷ আজ উত্তরবঙ্গে মন্ত্রী জন বারলার সঙ্গে জলপাইগুড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত শহিদ সম্মান যাত্রায় থাকবেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ৷ আগামিকাল দলের কিছু সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে, তাই 2 দিনের সফরে এসেছেন এখানে ৷ এরপর 23 তারিখে দক্ষিণবঙ্গে সুপ্রকাশ গিরির সঙ্গে যোগ দেবেন ৷
শহিদ সম্মান যাত্রায় বাধা
রাজ্যে সব জায়গায় শহিদ সম্মান যাত্রাকে আটকানো হচ্ছে । সাধারণ মানুষের আশীর্বাদে জিতে বিজেপি নেতারা মন্ত্রী হয়েছেন ৷ মানুষের আশীর্বাদকে, মানুষের ইচ্ছাকে যাঁরা গুরুত্ব দেয় না, গণতন্ত্রে তাঁদের জায়গা হয় না ।
ভোট-পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্ত
কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে এই সরকার যা করছে, সেটা ঠিক নয় ৷ আদালতের রায়ে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে ৷ এ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ৷ নাহলে আজ সিপিএম, কংগ্রেস কোথায় ! এখন তাদের খুঁজতে হচ্ছে । যারা ক্ষমতায় আছে, তাদেরও একদিন এই অবস্থা হবে ৷ দক্ষিণবঙ্গের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ দু'জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ একটা গণতান্ত্রিক দেশে কোনও দল কোনও কর্মসূচি করতে পারবে না ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ঘুরে লোকের সঙ্গে দেখা করতে পারবে না ৷ এটা হতে পারে না ৷
সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্দুক হাতে ভিডিয়ো
এটা তালিবানদের দ্বারাই সম্ভব ৷ নব্য-তালিবান চলছে এখানে ৷ কাল আপনারাই দেখিয়েছেন বন্দুক নিয়ে একজন সভাধিপতি চমকাচ্ছেন ৷ সেই ভিডিয়ো দেখলে, যে কেউ মনে করবে এটা হয়তো কাবুলের ভিডিয়ো ৷ পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে এখন বাংলার মানুষ মনে করছেন এদের জিতিয়ে ভুল করেছেন ৷
আরও পড়ুন : Opposition Meet : কঠিন চ্যালেঞ্জ, একজোট হলে পারব; বিরোধী বৈঠকে বার্তা সোনিয়ার
এর পরিণাম
এরকম দৃশ্য মিডিয়ায় দেখালে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয় ৷ তিনি যে দলের সদস্য, সেই দলের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ৷ কিন্তু এঁরাই এখন সেই পার্টির নেতা, যাঁরা পার্টিকে জিতিয়ে নিয়ে এসেছেন ৷ গুন্ডা, বদমাশ, দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা হয়েছেন ৷ ফলে পশ্চিমবঙ্গের যা দুর্দশা হওয়ার সেটাই হচ্ছে ।
দলের মধ্যে পরিবর্তন
আমরা একটা ফেজ অবধি বিরোধী পার্টি হিসেবে লড়াই করেছি ৷ আজ ভারতীয় জনতা পার্টি সংগঠন হিসেবে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৷ আমাদের পার্টিতে বহু নেতা এসেছেন বিভিন্ন পার্টি থেকে ৷ যাঁরা খুব সফল ভাবে রাজনীতি করেছেন ৷ তাঁদের আমরা দলে, সংগঠনে জায়গা দেব, যাতে তাঁদের সেই অভিজ্ঞতার লাভ আমরা পাই ৷ স্বাভাবিক ভাবে একটা প্রক্রিয়া শুরু হবে ৷ পার্টির সমস্ত স্তরে কিছু-না-কিছু পরিবর্তন হবে ৷
অনীত থাপার নতুন দল গড়া
তাতে বিজেপির কিছু যায় আসে না । পাহাড়ের মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন । তাঁরা তাঁদের কাজ করে দেখান ৷ এর আগেও মানুষ ভোট দিয়ে তাঁদের জিতিয়েছেন, তাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন ৷ কিন্তু পাহাড়ে কী পরিবর্তন হয়েছে ? লোক তো তাই আছে ৷ তাই ওখানকার মানুষ পরিবর্তন চাইছে ৷ এর আগেও পাহাড়বাসী একজোট হয়ে বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছে । আর আগামীতেও তাই দেবে ।