দার্জিলিং, 10 অক্টোবর: সিকিমে লোনাক হ্রদ ভেঙে হড়পা বানের প্রভাব পড়েছে শৈলরানির পর্যটনেও । সামনেই পুজোর ছুটির মরশুম । আর এই পরিস্থিতিতে নতুন করে পুজোর বুকিং বাতিল শুরু হওয়ায় চিন্তায় পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসায়ীরা ।
পর্যটন সংস্থা সূত্রে খবর, পূজোর আগে সাধারণত 70 শতাংশ বুকিং হয়ে যায় । বাকি 30 শতাংশ বুকিং পুজোর সময় হয় । বিপর্যয়ের পর নতুন বুকিং আসা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে । শুধু তাই নয় । সিকিম ও কালিম্পংয়ের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হওয়ায় পুরনো বুকিংও বাতিল হতে শুরু করেছে । সেই কারণে পুজোর পর্যটনের মরশুমে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা । এই প্রসঙ্গেই দার্জিলিঙের হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বিজয় ঘিমিরে জানান, পর্যটকরা সাধারণত দার্জিলিং থেকে সিকিমে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন । কিন্তু সিকিমের বিপর্যয়ের পর থেকে নতুন করে কোনও বুকিং হচ্ছে না । যে কারণে চিন্তায় রয়েছেন পর্যটকরা ৷
এই মুহূর্তে বুকিং না-হলে পুজোর পর্যটন মরশুমে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ব্যবসায়ীদের বলে মনে করছে দার্জিলিঙের পর্যটন শিল্পমহল । এই আশঙ্কা যে সত্য়ি তা দার্জিলিঙে আসা এক পর্যটকের কথাতেই স্পষ্ট ৷ এই প্রসঙ্গেই কলকাতা থেকে আগত এক পর্যটক সুতপা বণিক বলেন, "আমাদের দার্জিলিং থেকে কালিম্পং হয়ে সিকিমে যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু সিকিমে পরিস্থিতি খারাপ থাকায় সেই পরিকল্পনা বাতিল করেছি । তাই দার্জিলিং ঘুরে বাড়ি ফিরে যাব ।"
আরও পড়ুন: পর্যটনে ভারতসেরা মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরী, দুবাই থেকে অভিনন্দন মমতার
পর্যটনের পরিস্থিতি নিয়ে দার্জিলিঙের ট্যুর অপারেটর প্রদীপ মিত্র বলেন, "সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর দার্জিলিঙে পর্যটনেও প্রভাব পড়েছে । নতুন করে বুকিং যেমন হচ্ছে না, পাশাপাশি পুরনো বুকিংও বাতিল হতে শুরু করেছে । দার্জিলিং সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাভাবিক রয়েছে । দার্জিলিং পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত । চিন্তার কোনও কারণ নেই ।"