শিলিগুড়ি, 6 এপ্রিল : কাল শ্রমিক ছিলেন । আজ সবজি বিক্রেতা । সৌজন্যে, কোরোনা। এভাবেই পেশা বদলে দু'বেলা ভাত জোটাচ্ছেন শিলিগুড়ির দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন। 21 দিনের লকডাউন চলছে গোটা দেশে। এই পরিস্থিতিতে দোকানপাট বাজারহাট সবই বন্ধ। তাই পেটের টানে এখন পেশা বদলে ফেলছেন এই গরিব মানুষজন । তাঁরা জানেন, এই মুহূর্তে সবজি এবং খাবারের দোকান খোলা থাকবে । তাই ঘরের সঞ্চিত টাকা দিয়ে শাক-সবজি কিনে বাজারে বসেছেন বিক্রি করতে ।
বাজারগুলিতে ভিড় এড়াতে নানা রকম চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। চেষ্টা করা হচ্ছিল খোলা মাঠে বাজারগুলিকে স্থানান্তরিত করার। কিছু বাজার ইতিমধ্যেই স্থানান্তরিত হয়েছে । আজ শিলিগুড়ির ভারতনগরের অন্যতম বড় ফুলেশ্বরী বাজারকে স্থানান্তরিত করা হল স্থানীয় তরুণ তীর্থ মাঠে । সেই বাজারে দেখা পাওয়া গেল বেশ কয়েকজন শ্রমিককে। অন্য সময়ে কেউ দিনমজুরি করেন । কেউ কাজ করেন শ্রমিকের । কেউবা আবার লোহা পেটানোর কাজ। কিন্তু গত কয়েকদিনের লকডাউনে আপাতত রুজি -রোজগার বন্ধ । এদিকে ভাঁড়ারও ফুরিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতি কবে পুরোপুরি ঠিক হবে তাও কারও জানা নেই । তাই সাত-পাঁচ না ভেবে ঘরে যে পয়সা জমানো ছিল, তা দিয়েই শাক-সবজি কিনেছেন তাঁরা । তারপর বাজারে বিক্রি করতে বসেছেন ।
এবিষয়ে, স্থানীয় কাউন্সিলর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক মেয়র পারিষদ শংকর ঘোষ বলেন, "খোলা মাঠে বাজার সরিয়ে এনেছি। এখানে এমন অনেকেই এসেছেন যাঁরা এই পেশায় যুক্ত নন। কিন্তু পেটের টানে নতুন দোকান খুলে বসেছেন খোলা মাঠে। সবজি বিক্রি করছেন। আমরা বাজার বন্ধ করতে চাই না। চাইছি খোলা জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মেনে বাজার চলুক। গরিব মানুষের দু'পয়সা আয় হোক। সুস্থ থাকুন সকলে।"