ETV Bharat / state

Chittaranjan Das House: নেই বিদ্যুৎ, ছাদ দিয়ে পড়ে জল; দার্জিলিংয়ে বেহাল দশা দেশবন্ধুর মিউজিয়ামের

author img

By

Published : Aug 17, 2023, 6:00 PM IST

Updated : Aug 17, 2023, 6:35 PM IST

Chittaranjan Das House in dilapidated state: দার্জিলিংয়ে বেহাল দশা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের মিউজিয়ামের ৷ সেখানে নেই বিদ্যুৎ ৷ ছাদ দিয়ে জল পড়ে ৷

Chittaranjan Das House
বেহাল দশা দেশবন্ধুর মিউজিয়ামের
বেহাল দশা দেশবন্ধুর মিউজিয়ামের

দার্জিলিং, 17 অগস্ট: স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের স্মৃতি বিজড়িত মিউজিয়াম এখন উপেক্ষিত । নেই বিদ্যুৎ, জঞ্জালে ঢেকেছে গোটা মিউজিয়াম । বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে চুঁইয়ে পড়ে জল । নেই কোনও শৌচাগার । দেশবন্ধুর সেই মিউজিয়ামের বেহাল দশা না দেখলে বিশ্বাসই করা যাবে না । এতটাই উপেক্ষিত ওই স্বাধীনতা সংগ্রামীর বাসস্থান ।

জানা গিয়েছে, ডাউহিল থেকে চৌরাস্তা হয়ে হেঁটে পাঁচ মিনিটের পথ সিআর দাস রোড । সেখানেই দেখা যাবে দোতলা সেই চিত্তরঞ্জন দাসের মিউজিয়ামটি । ওই বাড়িতেই নিজের জীবনের শেষ অধ্যায় কাটিয়াছিলেন দেশবন্ধু । 1925 সালের 16 জুন ওই বাড়িটিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি । পরবর্তীতে তাঁর ব্যবহৃত সামগ্রী সংরক্ষণ করে সেটিকে মিউজিয়ামে পরিণত করা হয় । সেই সময়কার জমিদার এনএন সরকারের ছিল সেই বাড়িটি ।

চিত্তরঞ্জন দাস মাঝেমধ্যেই রাজনৈতিক চাপের কারণে মানসিক অসুস্থতায় ভুগতেন । যে কারণে তাঁর পরিবার ওই বাড়িতে ছুটি কাটাতে যেত । 16 মে 1925 সালে তাঁর পরিবার চিত্তরঞ্জন দাসকে নিয়ে ওই বাড়িতে ছুটি কাটাতে যায় । সেখানে থেকে সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন তিনি । এমনকী তাঁর দার্জিলিংয়ে একটি বাড়িও কেনার কথা পাকা হয়েছিল । 1925 সালের 5 থেকে 9 জুন চিত্তরঞ্জন দাসের সঙ্গে দেখা করতে যান মহাত্মা গান্ধি । দুজনে ওই কদিন কংগ্রেস এবং স্বরাজ পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও সেরেছিলেন । কিন্তু 14 জুন চিত্তরঞ্জন দাস ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ও প্রয়াত হন ।

আরও পড়ুন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র ও ঋষি অরবিন্দদের গোপন ডেরা আজ ভুতুড়ে বাড়ি

1953 সালে দেশবন্ধু মেমোরিয়াল সোসাইটি গঠিত হয় । সেই সময়কার রাজ্যপাল হরেন মুখোপাধ্যায় বাড়িটিকে জাতীয় সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন । সেটি জানা মাত্র এনএন সরকার বাড়িটি সোসাইটিকে উপহার হিসেবে তুলে দেন । এরপর 2007 সালে তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধি ওই বাড়িটিকে মিউজিয়ামে পরিণত করেন । কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় দেশবন্ধুর সেই মিউজিয়াম আজ বেহাল দশায় রয়েছে । 2008 সাল থেকে মিউজিয়ামটিতে বিদ্যুৎ নেই । আগাছায় ঢেকেছে গোটা বাড়ি । এখন পর্যটকরা গেটের বাইরে থেকেই মিউজিয়ামটি দেখে চলে যান । কারণ ভিতরে ঢোকার মতো পরিস্থিতি নেই ।

তবে এ বিষয়ে ওই মিউজিয়ামের কেয়ারটেকার রীতা শেরপা বলেন, "খুব বেহাল অবস্থা এই মিউজিয়ামের । বিদ্যুৎ নেই । অন্ধকার হয়ে থাকে । গোটা মিউজিয়াম জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে । ছাদ থেকে জল পড়ে । কেউ নজর দেয় না । এখন মিউজিয়ামটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ।"

দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, "উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে মিউজিয়ামটি পরিদর্শন করা হয়েছে । খুব দ্রুত সেটি মেরামত ও সংস্কারের কাজ শুরু হবে ।"

বেহাল দশা দেশবন্ধুর মিউজিয়ামের

দার্জিলিং, 17 অগস্ট: স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের স্মৃতি বিজড়িত মিউজিয়াম এখন উপেক্ষিত । নেই বিদ্যুৎ, জঞ্জালে ঢেকেছে গোটা মিউজিয়াম । বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে চুঁইয়ে পড়ে জল । নেই কোনও শৌচাগার । দেশবন্ধুর সেই মিউজিয়ামের বেহাল দশা না দেখলে বিশ্বাসই করা যাবে না । এতটাই উপেক্ষিত ওই স্বাধীনতা সংগ্রামীর বাসস্থান ।

জানা গিয়েছে, ডাউহিল থেকে চৌরাস্তা হয়ে হেঁটে পাঁচ মিনিটের পথ সিআর দাস রোড । সেখানেই দেখা যাবে দোতলা সেই চিত্তরঞ্জন দাসের মিউজিয়ামটি । ওই বাড়িতেই নিজের জীবনের শেষ অধ্যায় কাটিয়াছিলেন দেশবন্ধু । 1925 সালের 16 জুন ওই বাড়িটিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি । পরবর্তীতে তাঁর ব্যবহৃত সামগ্রী সংরক্ষণ করে সেটিকে মিউজিয়ামে পরিণত করা হয় । সেই সময়কার জমিদার এনএন সরকারের ছিল সেই বাড়িটি ।

চিত্তরঞ্জন দাস মাঝেমধ্যেই রাজনৈতিক চাপের কারণে মানসিক অসুস্থতায় ভুগতেন । যে কারণে তাঁর পরিবার ওই বাড়িতে ছুটি কাটাতে যেত । 16 মে 1925 সালে তাঁর পরিবার চিত্তরঞ্জন দাসকে নিয়ে ওই বাড়িতে ছুটি কাটাতে যায় । সেখানে থেকে সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন তিনি । এমনকী তাঁর দার্জিলিংয়ে একটি বাড়িও কেনার কথা পাকা হয়েছিল । 1925 সালের 5 থেকে 9 জুন চিত্তরঞ্জন দাসের সঙ্গে দেখা করতে যান মহাত্মা গান্ধি । দুজনে ওই কদিন কংগ্রেস এবং স্বরাজ পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও সেরেছিলেন । কিন্তু 14 জুন চিত্তরঞ্জন দাস ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ও প্রয়াত হন ।

আরও পড়ুন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র ও ঋষি অরবিন্দদের গোপন ডেরা আজ ভুতুড়ে বাড়ি

1953 সালে দেশবন্ধু মেমোরিয়াল সোসাইটি গঠিত হয় । সেই সময়কার রাজ্যপাল হরেন মুখোপাধ্যায় বাড়িটিকে জাতীয় সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন । সেটি জানা মাত্র এনএন সরকার বাড়িটি সোসাইটিকে উপহার হিসেবে তুলে দেন । এরপর 2007 সালে তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধি ওই বাড়িটিকে মিউজিয়ামে পরিণত করেন । কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় দেশবন্ধুর সেই মিউজিয়াম আজ বেহাল দশায় রয়েছে । 2008 সাল থেকে মিউজিয়ামটিতে বিদ্যুৎ নেই । আগাছায় ঢেকেছে গোটা বাড়ি । এখন পর্যটকরা গেটের বাইরে থেকেই মিউজিয়ামটি দেখে চলে যান । কারণ ভিতরে ঢোকার মতো পরিস্থিতি নেই ।

তবে এ বিষয়ে ওই মিউজিয়ামের কেয়ারটেকার রীতা শেরপা বলেন, "খুব বেহাল অবস্থা এই মিউজিয়ামের । বিদ্যুৎ নেই । অন্ধকার হয়ে থাকে । গোটা মিউজিয়াম জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে । ছাদ থেকে জল পড়ে । কেউ নজর দেয় না । এখন মিউজিয়ামটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ।"

দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, "উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে মিউজিয়ামটি পরিদর্শন করা হয়েছে । খুব দ্রুত সেটি মেরামত ও সংস্কারের কাজ শুরু হবে ।"

Last Updated : Aug 17, 2023, 6:35 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.