দার্জিলিং, 24 জুলাই : পাহাড়ের খাড়া ঢাল ঘেঁষে উঠে গিয়েছে রাস্তা ৷ আর সেই পাহাড়ি রাস্তাতেই গিজগিজ করছে মানুষের ভিড় ! যেদিকেই চোখ যায়, শুধু কালো কালো মাথা ৷ করোনা আবহে এমন ছবি আঁতকে ওঠার পক্ষে যথেষ্ট ৷ একইসঙ্গে এই দৃশ্য উদ্বেগেরও ৷ কারণ, স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে যাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভিড় করতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁরা সকলেই আদতে করোনার টিকা নিতে আসা মানুষজন ৷ সমস্যা হল, যেখানে টিকা মজুত রয়েছে মাত্র 500 টি, সেখানে টিকার দাবিদার অন্তত দেড় হাজার ! ঘটনা ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা ছড়াল দার্জিলিংয়ের তাকদহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৷
আরও পড়ুন : Vaccination : কিছুক্ষণের ব্যবধানে কোভিশিল্ডের জোড়া ডোজ !
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট টিকাকেন্দ্র থেকে মোট 500 জনকে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ সেই শুনে ভোর রাত থেকেই টিকার লাইনে দাঁড়াতে শুরু করে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ একটা সময় সংখ্যাটা প্রায় দেড় হাজারে পৌঁছে যায় ৷ স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলেই পরস্পরের গা ঘেঁষে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায় বহু মানুষকে ৷
এই ছবি সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই টনক নড়ে প্রশাসনের ৷ ঘটনার নিন্দায় সরব হয় নানা পক্ষ ৷ অনেকেরই আশঙ্কা, এভাবে টিকা নিতে আসা, আর সাধ করে করোনাকে জড়িয়ে ধরার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই ৷ জিএনএলএফ নেতা সন্দীপ লিম্বু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘তাকদহ এলাকায় টিকাকরণ নিয়ে প্রশাসনের তরফে যে অব্যবস্থা ধরা পড়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ৷ প্রশাসনের উচিত ছিল, কত টিকা রয়েছে, সেই সম্পর্কে মানুষকে আগে থেকেই সঠিক তথ্য সরবরাহ করা এবং কোনও অবস্থাতেই যাতে অতিরিক্ত ভিড় না হয়, তা নিশ্চিত করা ৷’’
আরও পড়ুন : Covid Vaccination : দেবাঞ্জনের শিকার 735 জনকে আসল টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু
বিশৃঙ্খলার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন দার্জিলিংয়ের সিএমওএইচ শুভাশিস চন্দও ৷ তিনি বলেন, ‘‘ওই কেন্দ্রে 500 জনকে টিকা দেওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু প্রায় দেড় হাজার মানুষ টিকা নিতে চলে আসেন ৷ ফলে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ৷ পরবর্তীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমস্য়া মিটে যায় ৷’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবার ওই কেন্দ্র থেকে নির্ধারিত 500 জনকেই করোনার টিকা দেওয়া হয় ৷ বাকিদের পরিস্থিতি বুঝিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠায় পুলিশ ৷ শনিবার তাঁদের টিকাকরণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷