শিলিগুড়ি, 9 জুন : অভিযানে পাচারের আগে উদ্ধার হওয়া সাড়ে 18 হাজার কেজি মাদক দ্রব্য নষ্ট করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ ও কাস্টমস (Central Intelligence Agency destroyed Ganja)। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে বুধবার মাদক বিরোধী দিবস পালন করা হয় । সারা দেশে ছয় জায়গায় এদিন একইভাবে মাদক দ্রব্য ও নেশার সামগ্রী নষ্ট করা হয় । সারা দেশের ওই ছয়টি জায়গায় মোট 45 হাজার কেজি মাদক নষ্ট করা হয় । এদিন রাজ্যের মধ্যে শিলিগুড়ি ছাড়াও গুয়াহাটি, লখনউ, মুম্বই, মুন্দ্রা, পাটনায় একইভাবে মাদক নষ্ট করা হয় ।
শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে গ্রিন জেন নামে একটি সংস্থার কারখানায় 18 হাজার 171 কেজি গাঁজা ও 50 কেজি হাসিস অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় পুড়িয়ে নষ্ট করা হয় । আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে বুধবার মাদক বিরোধী দিবসের0 সূচনা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৷ তারপরই শিলিগুড়িতে মাদক নষ্ট করা হয় ৷ এখানে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমসের চিফ কমিশনার অনিলকুমার গুপ্তা এবং কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের শিলিগুড়ি শাখার ডেপুটি ডিরেক্টর অঙ্কিত কোউল ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিফ কমিশনার অনিলকুমার গুপ্তা বলেন, "গোটা দেশের পাশাপাশি এদিন শিলিগুড়িতেও 18 হাজার কেজি মাদক নষ্ট করা হল । মাদক সমাজে যে খারাপ প্রভাব ফেলে সেটা আটকানোই আমাদের লক্ষ্য ।" ডেপুটি ডিরেক্টর অঙ্কিত কৌউল বলেন, "ইন্দো-মায়ানমার সীমান্ত থেকে মূলত মাদক ভারতে প্রবেশ করছে । সেজন্য সীমান্তে আমাদের কড়া নজর রয়েছে । পাশাপশি অসম ও নাগাল্যান্ড থেকে গাঁজা শিলিগুড়ি হয়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশ-সহ অন্যান্য রাজ্যে ও দেশে পাচার হয়ে থাকে । এছাড়াও নেপাল থেকে নিষিদ্ধ নেশার ট্যাবলেট পাচারের জন্য ভারতে এসে থাকে ।" কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, 23 জুন 20 কেজি হাসিস উদ্ধার করে ডিআরআই । বেলন চাকির মধ্যে করে ওই হাসিস পাচারের ছক ছিল পাচারকারীদের । হংকং-এ ওই মাদক পাচারের পরিকল্পনা ছিল ।
আরও পড়ুন : তিন কোটির মাদক উদ্ধার, আটক দুই
এছাড়াও 30 জানুয়ারি সাড়ে আট হাজার গাঁজা উদ্ধার করে ডিআরআই । 30 মার্চ কলকাতা ডিআরআই একজন কেনিয়া ও একজন মাওয়াই মহিলা নাগরিককে গ্রেফতার করে । তাদের কাছ থেকে 113 কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয় ৷ 29 এপ্রিল একইভাবে অভিযান চালিয়ে 848 কেজি গাঁজা উদ্ধার হয় ৷ ওই গাঁজা গুয়াহাটি থেকে মালদাহ পাচার করার পরিকল্পনা ছিল । 1 জুন 500 গ্রাম ব্রাউন সুগার ও 10 হাজার নিষিদ্ধ ট্যাবলেট উদ্ধার করে ডিআরআই । অসমের শিলচর থেকে কালিয়াচক পাচারের চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা । সব মিলিয়ে 18 হাজার কেজি পাচারের অভিযোগে প্রায় 50 জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ ।