পানিট্যাংকি (দার্জিলিং), 5 জানুয়ারি: দার্জিলিংয়ের শিলিগুড়ি সংলগ্ন খড়িবাড়ি ব্লকে, ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাংকিতে (Panitanki Border) একটি নতুন কন্ট্রোল রুম (Control Room) উদ্বোধন (Inauguration) করা হল ৷ বৃহস্পতিবার এই কন্ট্রোল রুমটি উদ্বোধন করেন দার্জিলিং জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অজয় গণপতি ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, এই কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার (CCTV Camera) মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হবে ৷ আগামী দিনে এই পরিকাঠামোয় আরও উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে ৷
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পানিট্যাংকি ও সংলগ্ন এলাকায় মোট 13টি নতুন সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে ৷ পাশাপাশি রাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য 10টি ব্লিংকার লাইট বসানো হয়েছে ৷ তবে, এই আলোগুলি শুধুমাত্র রাতে নয়, সেইসঙ্গে ঘন কুয়াশাতেও চালকদের গাড়ি চালাতে বিশেষ সহায়তা করবে ৷ এদিন এই নয়া কন্ট্রোল রুম উদ্বোধনের সময় এখানে উপস্থিত ছিলেন আরও এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোরঞ্জন ঘোষ, এসডিপিও অচিন্ত্য গুপ্ত-সহ অন্যরা ৷
আরও পড়ুন: সেনা আধিকারিকের পরিচয় ভাঁড়িয়ে প্রতারণা ! ধৃত নেপালের নাগরিক
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অজয় গণপতি ৷ তিনি জানান, এই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি সীমান্তে নজরদারির কাজ আরও সহজ করবে ৷ প্রসঙ্গত, এই এলাকা তার ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ পানিট্যাংকি সরাসরি নেপালের সঙ্গে ভারতকে জুড়েছে ৷ তবে, দার্জিলিংয়ের শিলিগুড়ি মহকুমা শুধুমাত্র নেপাল নয়, সেইসঙ্গে বাংলাদেশেরও খুবই কাছে ৷ এই এলাকা দিয়ে খুব সহজেই ভারতে ঢোকা যায় এবং ভারত থেকে অন্যান্য দেশে পালানো যায় ৷ তাই এটি পাচারকারীদের অত্যন্ত পছন্দের রুট বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল ৷
বিএসএফ, পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে মাঝেমধ্যেই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের এই অংশ দিয়ে ৷ প্রায়ই সোনা, মাদক, বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বেআইনি সামগ্রী এই এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ বহুবার এইসব সামগ্রী-সহ পাচারকারীদের এই এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয়েছে ৷ পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্য, সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়লে পানিট্যাংকি সীমান্তে নজরদারি চালানো আরও সহজ হবে ৷ শীঘ্রই এই এলাকায় দু'টি অত্যাধুনিক মানের সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে ৷ সেই ক্যামেরাগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমস্ত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর রেকর্ড করে নেবে ৷ ফলে যেকোনও বেআইনি কাজ আটকানো সহজ হবে ৷ পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে ৷