ETV Bharat / state

Anit Thapa: তৃণমূলের হাত ধরে শৈলরানিতে আরও ক্ষমতাবৃদ্ধি অনিত থাপার

দার্জিলিং পৌরসভায় ক্ষমতাচ্যূত হামরো পার্টি (Hamro Party) ৷ এবার সেখানে বোর্ড গড়তে চলেছে অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (BGPM) ।

bgpm-chief-anit-thapa-joins-hands-with-trinamool-congress-gains-more-importance-in-darjeeling
Anit Thapa: তৃণমূলের হাত ধরে শৈলরানিতে আরও ক্ষমতাবৃদ্ধি অনিত থাপার
author img

By

Published : Nov 24, 2022, 6:09 PM IST

শিলিগুড়ি, 24 নভেম্বর: শাসকদলের হাত ধরেই শৈলরানির রাজনীতিতে দ্বিতীয় পেরেক গাঁথলেন অনিত থাপা (Anit Thapa) । জিটিএ (GTA) নির্বাচনে জয়লাভের পর এবার দার্জিলিং পৌরসভাতেও (Darjeeling Municipality) ভোল পাল্টালো । শাসকের আসন থেকে অজয় এডওয়ার্ডস (Ajoy Edwards) -এর হামরো পার্টিকে (Hamro Party) ক্ষমতাচ্যুত করে এবার সেই ক্ষমতায় আসতে চলেছে অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (BGPM) । ম্যাজিক ফিগার পাওয়া প্রায় নিশ্চিত ৷ এই পরিস্থিতিতে অনিতের দাবি, রিমোট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল পৌরসভা । এবার স্বতন্ত্রভাবে কাজ হবে ৷

বৃহস্পতিবার কার্শিয়াংয়ে একটি যোগদান শিবিরে হামরো পার্টির পাঁচ কাউন্সিলর অনিত শিবিরে যোগদান করেন । আরও এক কাউন্সিলরের যোগদানও নিশ্চিত । ফলে এবার দার্জিলিং পৌরসভাতে হামরো পার্টির অপসারণের দাবি তুলবে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা । সব মিলিয়ে সরগরম পাহাড়ের রাজনীতি ।

এদিন দার্জিলিং পৌরসভার হামরো পার্টির 2 নম্বর ওয়ার্ডের দীপেন্দ্র ঠাকুরি, 4 নম্বর ওয়ার্ডের গণেশ প্রধান, 7 নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণু মল্লা, 13 নম্বর ওয়ার্ডের শরণ কুমার ছেত্রী, 19 নম্বির ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিতম লামা ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দেন । পাশাপাশি 8 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দর্জি শেরপা এদিন যোগ দান করতেন । তবে তিনি লিখিতভাবে যোগ দিলেও তাঁর বাবা মারা যাওয়ার কারণে এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি ।

তৃণমূলের হাত ধরে শৈলরানিতে আরও ক্ষমতাবৃদ্ধি অনিত থাপার

প্রসঙ্গত, দার্জিলিং পৌরসভার 32টি আসনের মধ্যে 18টি আসনে জয়লাভ করে পৌরসভার ক্ষমতায় এসেছিল হামরো পার্টি । পাশাপাশি অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা 9টি, বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তিনটি ও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস দু’টি আসন পায় । কিন্তু জিটিএ নির্বাচনের আগে 24 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বিজিপিএম দলের সম্পাদক অমর লামা পদত্যাগ করেন । এরপর এদিন ছয় কাউন্সিলর অনিত শিবিরে যোগ দেওয়ায় বিজিপিএমের আসন সংখ্যা বেড়ে হল 14টি । অন্যদিকে, হামরো পার্টির আসন কমে দাঁড়াল 12টিতে । ফলে শাসক দলের দুই কাউন্সিলরের সমর্থনে অনিত থাপার বোর্ড গঠন খালি সময়ের অপেক্ষা ।

অনিত থাপা বলেন, "আমাদের বোর্ড গঠন খালি সময়ের অপেক্ষা । আমি পাহাড়ে উন্নয়ন চাই, আর উন্নয়নের লক্ষ্যেই অন্য দলের জনপ্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে আসছেন । আগে দার্জিলিং পৌরসভা রিমোট দ্বারা পরিচালিত হত । এখন আর সেটা হবে না । তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের সমর্থন করছে ।"

রাজ্যসভার সাংসদ তথা দার্জিলিং হিল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী বলেন, "আমাদের সঙ্গে আগে থেকেই ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার জোট রয়েছে । তৃণমূল কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর নিঃশর্তভাবে বাইরে থেকে বোর্ড গঠনে বিজিপিএমকে সমর্থন করবে ।"

অজয় এডওয়ার্ডস বলেন, "অনেক আন্দোলনের পর আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম পাহাড়ে গণতন্ত্র ফিরেছে । বাস্তবে তা হল না । এবার পাহাড়বাসীর সময় এসেছে চিন্তা করার ।" বিজিপিএমে যোগ দিয়ে কাউন্সিলর বিষ্ণু মল্লা বলেন, "আমাদের কোনও কথা, প্রস্তাবের গুরুত্ব দেওয়া হত না । ফলে উন্নয়ন থমকে ছিল । যেকারণে আমি দল ছাড়তে বাধ্য হলাম ৷"

আগামীতে, দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান রিতেশ পোর্টেলকে লিখিতভাবে অপসারণের জন্য চিঠি দেবে বিজিপিএম । তিনি 18 দিনের মধ্যে কোনও উত্তর না দিলে পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে অপসারণের দাবি জানানো হবে । সাত দিনের মধ্যে তিনিও বৈঠক না ডাকলে জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানাতে পারে দাবিদার রাজনৈতিক দল ।

আরও পড়ুন: পাহাড়ে পৌরসভায় দলবদলের জের, ক্ষমতায় এলেন অনিত থাপারা

শিলিগুড়ি, 24 নভেম্বর: শাসকদলের হাত ধরেই শৈলরানির রাজনীতিতে দ্বিতীয় পেরেক গাঁথলেন অনিত থাপা (Anit Thapa) । জিটিএ (GTA) নির্বাচনে জয়লাভের পর এবার দার্জিলিং পৌরসভাতেও (Darjeeling Municipality) ভোল পাল্টালো । শাসকের আসন থেকে অজয় এডওয়ার্ডস (Ajoy Edwards) -এর হামরো পার্টিকে (Hamro Party) ক্ষমতাচ্যুত করে এবার সেই ক্ষমতায় আসতে চলেছে অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (BGPM) । ম্যাজিক ফিগার পাওয়া প্রায় নিশ্চিত ৷ এই পরিস্থিতিতে অনিতের দাবি, রিমোট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল পৌরসভা । এবার স্বতন্ত্রভাবে কাজ হবে ৷

বৃহস্পতিবার কার্শিয়াংয়ে একটি যোগদান শিবিরে হামরো পার্টির পাঁচ কাউন্সিলর অনিত শিবিরে যোগদান করেন । আরও এক কাউন্সিলরের যোগদানও নিশ্চিত । ফলে এবার দার্জিলিং পৌরসভাতে হামরো পার্টির অপসারণের দাবি তুলবে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা । সব মিলিয়ে সরগরম পাহাড়ের রাজনীতি ।

এদিন দার্জিলিং পৌরসভার হামরো পার্টির 2 নম্বর ওয়ার্ডের দীপেন্দ্র ঠাকুরি, 4 নম্বর ওয়ার্ডের গণেশ প্রধান, 7 নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণু মল্লা, 13 নম্বর ওয়ার্ডের শরণ কুমার ছেত্রী, 19 নম্বির ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিতম লামা ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দেন । পাশাপাশি 8 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দর্জি শেরপা এদিন যোগ দান করতেন । তবে তিনি লিখিতভাবে যোগ দিলেও তাঁর বাবা মারা যাওয়ার কারণে এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি ।

তৃণমূলের হাত ধরে শৈলরানিতে আরও ক্ষমতাবৃদ্ধি অনিত থাপার

প্রসঙ্গত, দার্জিলিং পৌরসভার 32টি আসনের মধ্যে 18টি আসনে জয়লাভ করে পৌরসভার ক্ষমতায় এসেছিল হামরো পার্টি । পাশাপাশি অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা 9টি, বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তিনটি ও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস দু’টি আসন পায় । কিন্তু জিটিএ নির্বাচনের আগে 24 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বিজিপিএম দলের সম্পাদক অমর লামা পদত্যাগ করেন । এরপর এদিন ছয় কাউন্সিলর অনিত শিবিরে যোগ দেওয়ায় বিজিপিএমের আসন সংখ্যা বেড়ে হল 14টি । অন্যদিকে, হামরো পার্টির আসন কমে দাঁড়াল 12টিতে । ফলে শাসক দলের দুই কাউন্সিলরের সমর্থনে অনিত থাপার বোর্ড গঠন খালি সময়ের অপেক্ষা ।

অনিত থাপা বলেন, "আমাদের বোর্ড গঠন খালি সময়ের অপেক্ষা । আমি পাহাড়ে উন্নয়ন চাই, আর উন্নয়নের লক্ষ্যেই অন্য দলের জনপ্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে আসছেন । আগে দার্জিলিং পৌরসভা রিমোট দ্বারা পরিচালিত হত । এখন আর সেটা হবে না । তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের সমর্থন করছে ।"

রাজ্যসভার সাংসদ তথা দার্জিলিং হিল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী বলেন, "আমাদের সঙ্গে আগে থেকেই ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার জোট রয়েছে । তৃণমূল কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর নিঃশর্তভাবে বাইরে থেকে বোর্ড গঠনে বিজিপিএমকে সমর্থন করবে ।"

অজয় এডওয়ার্ডস বলেন, "অনেক আন্দোলনের পর আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম পাহাড়ে গণতন্ত্র ফিরেছে । বাস্তবে তা হল না । এবার পাহাড়বাসীর সময় এসেছে চিন্তা করার ।" বিজিপিএমে যোগ দিয়ে কাউন্সিলর বিষ্ণু মল্লা বলেন, "আমাদের কোনও কথা, প্রস্তাবের গুরুত্ব দেওয়া হত না । ফলে উন্নয়ন থমকে ছিল । যেকারণে আমি দল ছাড়তে বাধ্য হলাম ৷"

আগামীতে, দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান রিতেশ পোর্টেলকে লিখিতভাবে অপসারণের জন্য চিঠি দেবে বিজিপিএম । তিনি 18 দিনের মধ্যে কোনও উত্তর না দিলে পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে অপসারণের দাবি জানানো হবে । সাত দিনের মধ্যে তিনিও বৈঠক না ডাকলে জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানাতে পারে দাবিদার রাজনৈতিক দল ।

আরও পড়ুন: পাহাড়ে পৌরসভায় দলবদলের জের, ক্ষমতায় এলেন অনিত থাপারা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.