শিলিগুড়ি, 16 ডিসেম্বর: নতুন অতিথির আগমনে বড়দিনের আগে আরও রঙিন উত্তরবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বেঙ্গল সাফারি পার্ক । ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতে আসার কথা রয়েছে স্পেক্টাক্যাল লাঙ্গুর এবং সিংহের। তার আগেই নতুন চমক বন দফতরের । বেঙ্গল সাফারি পার্কে হাজির চিতাবাঘ 'কৃষ্ণা'। নতুন অতিথির আগমনে উচ্ছ্বসিত বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ ।
জানা গিয়েছে, বর্ধমান জুওলজিক্যাল পার্কে 2021 সালে জন্ম হয়েছিল কৃষ্ণার । তার মা কালি ও বাবা ধ্রুব । 11 ডিসেম্বর কৃষ্ণাকে বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল । তারপরেই কৃষ্ণাকে চলতি সপ্তাহে নিয়ে আসা হয় বেঙ্গল সাফারি পার্কে । গ্রিন করিডোর তৈরি করে পার্কে নিয়ে আসা হয় তাকে। পাশাপাশি প্রত্যেক জেলার বন বিভাগকে সতর্ক করে রাখা হয়েছিল । তৈরি করে রাখা হয়েছিল পশু চিকিৎসককেও । কৃষ্ণা বেঙ্গল সাফারিতে পৌঁছনোর পর তাকে আপাতত রাখা হয়েছে নাইট শেল্টারে । আগামী তিন সপ্তাহ তাকে পর্যটকদের থেকে দূরেই রাখা হবে । পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পর তাকে ছাড়া হবে এনক্লোজারে । এখন চিতাবাঘটিকে রাখা রয়েছে বন কর্মীদের নজরদারিতে ।
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল ( হেড অফ ফরেস্ট ফোর্স) নীরজ সিংঘল জানান, বর্ধমান জুওলজিক্যাল পার্ক থেকে কৃষ্ণাকে বেঙ্গল সাফারিতে পাঠানো হয়েছে । তবে এখনই পর্যটকদের সামনে তাকে আনা হবে না । এক মাস পর তাকে দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা । বেঙ্গল সাফারি পার্ক থেকে সেন্ট্রাল জু অথরিটির অনুমোদনে প্রাণী বিনিময় প্রক্রিয়ার অধীনে দু'টি চিতাবাঘ পাঠানো হবে ত্রিপুরায়। সেখান থেকেও আসছে চারটি প্রাণী । এক জোড়া সিংহ ও একজোড়া চশমা বাঁদর । দু'টো চিতাবাঘ পাঠালে সাফারিতে চিতাবাঘের সংখ্যা কমে হবে চারটি।
বেঙ্গল সাফারি পার্কে পর্যটকদের যা ঢল নামে, তাতে যাতে ভাটা না-পড়ে সেজন্য কৃষ্ণাকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে । নাইট শেল্টারে আলাদা রেখে অন্যান্য চিতাবাঘের সঙ্গে মিশতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে তাকে । যখন কৃষ্ণা সাফারি পার্কের অন্য চিতাবাঘের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে মিশে যেতে পারবে তারপরেই তাকে এনক্লোজারে ছাড়া হবে বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়়ুন: