দার্জিলিং, 16 জানুয়ারি: উত্তরবঙ্গবাসীর পাশাপাশি গোটা রাজ্যবাসীর জন্য দারুণ খবর। আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের। বিশ্বমানের এয়ারপোর্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা এখন খালি সময়ের অপেক্ষা বাগডোগরা বিমানবন্দরের। অবশেষে বাগডোগরা বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিং তৈরির শেষ প্রক্রিয়ার ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় সরকার ও এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া। টার্মিনাল বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে সর্বশেষ যে অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল তা মিলল সংক্রান্তির দিন অর্থাৎ সোমবার। এতে একদিকে যেমন উচ্ছ্বসিত পর্যটক মহল, অন্যদিকে দারুণ খুশি বাণিজ্য ও শিল্পমহলও।
উত্তর-পূর্ব ভারতের সব থেকে ব্যস্ততম বিমানবন্দর বাগডোগরা এয়ারপোর্ট। প্রতিদিন এই বিমানবন্দর দিয়ে গড়ে যা পর্যটক এবং যাত্রী যাতায়াত করে তাতে দ্রুত বিমানবন্দরের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের খুব প্রয়োজন ছিল। বিমানের সংখ্যা বাড়ায় ইতিমধ্যে নাইট ল্যান্ডিং প্রক্রিয়ার কাজ হয়েছে রানওয়েতে। কিন্তু দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার জন্য আরও বেশি পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন হয়। সেদিকে নজর দিয়েই সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
গত ডিসেম্বরে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে 883.80 কোটি দিয়ে প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। এয়ারপোর্টের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার 960 কোটি টাকা বরাদ্দ করে। চার দফায় তিন হাজার কোটি টাকার কাজ 2028 সালের 31 মার্চের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ রয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। এই বিষয়ে দার্জিলিংয়ের সাংসদ তথা বাগডোগরা বিমানবন্দরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান রাজু বিস্তা বলেন, "বিমানবন্দরের যে পরিমাণ যাত্রীদের চাপ রয়েছে তাতে দ্রুত নতুন টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। রানওয়ের জন্য সম্প্রসারণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, "104 একর চা-বাগানের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বিমানবন্দরের আধুনিকিকরণ ও সম্প্রসারণের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।" তিনি আরও জানান, বিমানবন্দরের কাজ শেষ হলে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের পর্যটন, শিল্প, বাণিজ্যে জোয়ার আসবে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিংটি 8 হাজার বর্গমিটার জায়গা রয়েছে। তাতে প্রতিদিন 400 যাত্রীর প্রতি ঘণ্টায় ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।
নতুন টার্মিনাল বিল্ডিংটি হলে তার আয়তন হবে এক লক্ষ বর্গমিটার। যার মধ্যে 50 হাজার বর্গমিটারের কাজ প্রথম দফায় শেষ করা হবে। যার ফলে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত 3 হাজার 800 যাত্রী ধারণ করা যাবে। শুধু তাই নয়, নতুন টার্মিনাল বিল্ডিংটিতে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং, 10টি এয়ারোব্রিজ থাকবে। যার মধ্যে 6টা এয়ারোব্রিজের কাজ প্রথম ধাপেই শেষ করা হবে। বিল্ডিংয়ের এপ্রোন এ-320, বি-737-এর মতো 16টি ছোট বিমান রাখার ব্যবস্থা থাকবে। আগামী আড়াই বছরের মধ্যে প্রথম ধাপের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: