শিলিগুড়ি, 5 মে: পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 35 নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ কলোনি নীচপাড়ায়। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে । শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ওই গৃহবধূর। ঘটনায় আটক করা হয়েছে মেয়েটির শ্বশুরকে। তদন্তে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ ৷ যদিও পলাতক অভিযুক্ত স্বামী।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম নিবেদিতা দাস। তার বাড়ি অসমের বঙ্গাইগাঁওয়ে। আঠেরো বছর আগে শহীদ কলোনীর বাসিন্দা পেশায় তেলের ট্যাঙ্কার চালক নেপাল দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নিবেদিতা দাসের। তাঁদের একটি 17 বছরের মেয়ে রয়েছে ওই দম্পতির। মেয়ের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নিবেদিতার উপর টাকার জন্য অত্যাচার চালাতেন স্বামী নেপাল। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই অভিযুক্ত নেপাল দাস স্ত্রীর উপর পরকীয়ার সন্দেহ করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে সেই সন্দেহ প্রবণতা আরও বাড়তে থাকে ।
আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ, স্বামীর হাতে খুন স্ত্রী !
বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী নিবেদিতার সঙ্গে নেপালের এই বিষয়েই কথাকাটাকাটি হতে থাকে বলে অভিযোগ। মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে নিবেদিতার পরিবারের তরফ থেকে। এরপরেই কেরোসিন দিয়ে স্ত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় নেপাল। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা উদ্ধার করতে গেলে গেটে তালা মারার অভিযোগ ওঠে । এরপরে কোনমতে তারা নিবেদিতা দাসকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ শুক্রবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় নিবেদিতার ।
মৃতার দিদি মামনি রায় ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, "বিয়ের পর থেকেই আমার বোনের উপর অত্যাচার চালাত। পুরো ষড়যন্ত্র করে মারা হয়েছে। প্রত্যেকের শাস্তি চাই ।" স্থানীয় কাউন্সিলার শম্পা নন্দী বলেন, "এর আগে ওই গৃহবধু স্বামীর অত্যাচারের বিষয়ে আমাকে অভিযোগ করেছিলেন। এরপর এদিন রাতে জানতে পারি এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে আবেদন করেছি গোটা ঘটনার তদন্ত করতে এবং যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছি ।"