শিলিগুড়ি, 1 মে: ইস্টবেঙ্গলের শহর নামে পরিচিত উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়ি। আর সেই শহরেই মোহনবাগানের পর উদ্বোধন হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল রোডের। রবিবার সকাল থেকেই ইস্টবেঙ্গল রোডের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে উন্মাদনা ছিল চরমে। আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। নাচে-গানে মেতে ওঠে শিলিগুড়ি।
লাল-হলুদের গড় শিলিগুড়িতে একমাস আগেই মোহনবাগান লেনের উদ্বোধন হয়েছে ৷ এদিনের অনুষ্ঠানে তাই আক্ষেপ করেন প্রাক্তন তারকা ফুটবলার অলোক মুখোপাধ্যায়, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধায় ও বিকাশ পাঁজি। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের টিকিট কাউন্টারের সামনে দিয়ে চলে যাওয়ার রাস্তাটি ইস্টবেঙ্গল রোড হিসেবে উদ্বোধন করেন মেয়র গৌতম দেব। এইদিনের অনুষ্ঠানকে ঘিরে বসেছিল চাঁদের হাঁট। উপস্থিত ছিলেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, মিহির বসু, অতনু ভট্টাচার্য, বিকাশ পাঁজি, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, অলক মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু রায়, সুমিত মুখোপাধ্যায় ও মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যদের মতো প্রাক্তন তারকা ফুটবলাররা।
রবিবারের বিকেলে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাব। সুইমিং পুলের সামনে শোভাযাত্রা বেরিয়ে বিধান রোড, পানিট্যাঙ্কি মোড় পরিক্রমা করে আবার অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়। প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েরাও ট্রাই সাইকেলে এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এদিকে অনেকদিন ধরে ইস্টবেঙ্গলের ট্রফির খরা চলছে। তারমধ্যেও শিলিগুড়িতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব নিয়ে সমর্থকদের উন্মাদনা দেখে অভিভূত উপস্থিত প্রাক্তন ফুটবলার থেকে শুরু করে ক্লাবের কর্মকর্তারাও। লাল-হলুদের প্রতি শিলিগুড়িবাসীর এত ভালোবাসার উন্মাদনাকে সম্মান জানাতে শিলিগুড়ি শহরে এবার ফুটবল অ্যাকাডেমি করার কথা ইচ্ছেপ্রকাশ করেন দেবব্রত সরকার।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের গড় শিলিগুড়িতে মোহনবাগানের নাম রাস্তা, উদ্বোধন রবিবার
শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গর প্রতিভাবান ফুটবলারদের জাতীয় স্তরে তুলে আনার লক্ষ্যে অ্যাকাডেমি গড়ার ভাবনার কথাও জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে দেবব্রতবাবু বলেন, "জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে আমাদের একটা কোচিং সেন্টার রয়েছে। কিন্তু মাঠ ছোট। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও নেই। অ্যাকাডেমি করার মতো পরিকাঠামো শিলিগুড়িতে রয়েছে। এব্যাপারে আমরা শিলিগুড়ির মেয়রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই উত্তরবঙ্গ থেকে এমন প্রতিভা উঠে আসুক যারা ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে দেবে।" শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব এ বিষয়ে বলেন, "আমরা চাই শহরে একটি ফুটবল কোচিং ক্যাম্প গড়ে উঠুক। আমরা সেটা প্রতিষ্ঠা করবই। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনেকবার আবেদন করার পরেও কোনওরকম প্রত্যাশা মেলেনি। তবে রাজ্য সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।"