শিলিগুড়ি, 4 অগস্ট: "রক্ষকই ভক্ষক ।" কাঠ পাচারে নাম জড়াল কেন্দ্রীয় সরকারের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের । পাশাপাশি ভুয়ো বন দফতরের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রায় 25 লক্ষ টাকার কাঠ পাচারের (Wood Trafficking) অভিযোগ উঠেছে । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে সরকারি আধিকারিক-সহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) বৈকুণ্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের সারুগাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা ।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন শুল্ক বিভাগের আধিকারিক অভিমন্যু মাঝি ও অপরজন সিজিএসটি বিভাগের এসপি দেবাশিস ধর । সূত্রের খবর, দুর্নীতির একাধিক অভিযোগে দেবাশিস ধরকে বহিষ্কার করেছে জিএসটি বিভাগ । বাকিদের মধ্যে রয়েছে শিলিগুড়ির সেবক রোডের বাসিন্দা বিকাশ আগরওয়াল, গোয়ার বাসিন্দা অর্ণব বসু, ফুলবাড়ির ভালোবাসা মোড়ের বাসিন্দা রাকেশরঞ্জন দে, রাজস্থানের বাসিন্দা নিশার খান ও হরিয়ানার বাসিন্দা রোহিল খান ।
আরও পড়ুন: হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে বন্যা কবলিত মানুষের খোঁজ নিলেন মমতা
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মেঘালয় থেকে অসম হয়ে ওই বিপুল পরিমাণ চোরাই সেগুন কাঠ শিলিগুড়িতে আনা হয়েছিল । এরপর তা লুকিয়ে রাখা হয় শহরে একটি গুদামে । সেই খবর পেয়েছিল শারুগারা রেঞ্জ । কয়েকদিন ধরেই ওঁত পেতেছিলেন বনকর্মীরা । মঙ্গলবার গভীর রাতে এই বিপুল পরিমাণ কাঠ কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । তখনই জলপাইমোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরা হয় সবাইকে ।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে বাজেয়াপ্ত 2.5 কোটির ব্রাউন সুগার, গ্রেফতার 1
বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয় । ধৃত দুই সরকারি আধিকারিকের বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছেন বন দফতরের আধিকারিকেরা । তাঁদের সন্দেহ, এর পেছনে বড় কোনও চক্র কাজ করছে । আরও কেউ জড়িত আছে কি না তাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বৈকুণ্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের অতিরিক্ত ডিএফও জয়ন্ত মণ্ডল ।