শিলিগুড়ি, 4 সেপ্টেম্বর : জমি দখলে মদতের অভিযোগ উঠল দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ৷ শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার ঘটনা ৷ পুলিশ কমিশনার অর্থব ত্রিপুরারির নির্দেশে ভক্তিনগর থানার IC ও সেকেন্ড অফিসারের যাবতীয় দায়িত্ব থেকে সরান হল ৷ আপাতত ভক্তিনগর থানার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে অন্য ACP-র হাতে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সত্তরোর্ধ এক বৃদ্ধার ভক্তিনগর থানা এলাকার শালবাড়িতে 106 কাঠা জমি নিয়ে বিবাদ চলছে ৷ জমি দখলদারদের সঙ্গে অনেক দিন ধরে বিবাদ চলছে ৷ এমনকী এনিয়ে আদালতে মামলাও চলছে ৷ সম্প্রতি জমি দখলদারেরা 144 ধারা অমান্য করে ওই জমিতে ঢুকে কাজ শুরু করে ৷ তা নিয়ে বৃদ্ধার সঙ্গে বচসা ও গণ্ডগোল শুরু হয় ৷
অভিযোগ, ভক্তিনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থান থেকে ওই বৃদ্ধা ও তার দুই ভাইপোকে থানায় তুলে আনে ৷ মাঝরাত পর্যন্ত বিনা অভিযোগে আটকে রাখে IC সুজয় টুঙ্গা ও সেকেন্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত সাব ইনস্পেকটর সন্দীপ সুব্বা ৷
ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ৷ প্রতিবাদ জানায় ৷ ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশ কমিশনার তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেয় ৷ তদন্তে মদতের বিষয়টি উঠে আসায় আজ ওই দুই পুলিশের আধিকারিককে যাবতীয় পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় ৷
ঘটনার কথা জানতে পেরে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, "এসব রেয়াত করব না ৷ কারা এসবে মদত দিচ্ছে সব জানা আছে ৷ জমির দখলদারদের মদত দিচ্ছেন যারা তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট যথাস্থানে পাঠাচ্ছি ৷ দখলদারদের কিছুতেই বরদাস্ত করব না ৷ সকলকে ন্যায় দিতে হবে ৷ আর এর সঙ্গে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ কেউ ছাড় পাবে না ৷"
এবিষয়ে পুলিশ কমিশনার জানান, "ঘটনার তদন্তে দুজনের নাম উঠে এসেছে আপাতত ৷ ওদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগও উঠেছে ৷ ওই দু'জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে ৷ দুই অফিসারের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ যদিও তাঁরা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ বিভাগীয় তদন্ত চলছে ৷ আপাতত ভক্তিনগর থানা দেখভালের জন্য ACP স্বপন সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷"