দার্জিলিং, 8 ফেব্রুয়ারি: ফের 12 ঘন্টার বনধ সিকিমে । এবার রেহাই নেই পর্যটকদেরও । এই বনধের ডাক দিয়েছে সিকিমের জয়েন্ট অ্যাকশন কাউন্সিল । শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে সিকিমবাসীকে 'অভিবাসী ব্যক্ত' করা নিয়ে পারদ যেন চড়েই চলেছে । দু‘দিন টানা বনধের পর এবার ফের বুধবার 12 ঘণ্টার বনধ হচ্ছে সিকিমে । যার জেরে পর্যটকদের ফের একবার বড়সড় হয়রানি মুখে পরতে হবে বলে আশঙ্কা। এদিকে, সিকিমে আন্দোলনের চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে (supreme court observation on Nepalis) । যদিও পরোক্ষাভাবে সিকিমের শাসকদল এই বনধে সমর্থন করলেও আইনশৃঙ্খলা যাতে কোনভাবেই ভেঙে না পরে সেদিকে বিশেষ নজর রাখার আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যবাসীর কাছে ৷ এখন সিকিমে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে কয়েক হাজার পর্যটক রয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের জেরে পর্যটকদের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সঞ্চার হয়েছে ।
এর আগে 'অভিবাসী' ইস্যুতে 4 ও 5 ফেব্রুয়ারি বনধ ডেকে ছিল প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এসডিএফ)। এরপর আদালতের ওই পর্যবেক্ষণের পর চাপ বাড়ছিল বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং এবং তাঁর দল সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চার উপর। ঘটনার পরই রাজ্যের তরফে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে দিল্লি পাড়ি দেয় । দিল্লিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর সঙ্গে দেখা করে ওই বিষয়ে পদক্ষেপের আবেদন জানানো হয় । তাদের আবেদনের পরপ্রেক্ষিতে আদালতে পিটিশন জমা করার আশ্বাসও দেন অমিত থেকে শুরু করে রিজিজুরা । কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ না হওয়ায় বুধবার 12 ঘণ্টার ডাক দেয় সিকিমের জয়েন্ট অ্যাকশন কাউন্সিল ।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে উত্তাল সিকিম, 48 ঘণ্টার ধর্মঘটে বিপাকে পর্যটকেরা
বনধ চলাকালীন পর্যটকদের হয় হোটেলে অথবা বাইরে থেকে আগত পর্যটকদের মাল্লি ও রংপো সীমান্তের বাইরে থাকার আবেদন জানানো হয়েছে কাউন্সিলের তরফে । মঙ্গলবার বনধের সমর্থনে গ্যাংটকে বিশাল মিছিল বের হয়। স্বভাবতই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় শহরে । মাঝে সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চার দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে পাথর মারা হয় বলে অভিযোগ । পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । জয়েন্ট অ্যাকশন কাউন্সিলের সদস্য পাশাং শেরপা বলেন, "আমাদের এই বনধে সারা রাজ্যের মানুষ অংশ নিচ্ছেন । শান্তিপূর্ণভাবেই বনধ পালন করা হবে ৷ আমরা আবেদন করছি যাতে কেউ কোনও অসাংবিধানিক বা উস্কানিমূলক মন্তব্য না করেন । মাথায় রাখতে হবে যাতে কোনওভাবেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় । প্রত্যেক ট্যুর অপারেটর, চালক সংগঠন ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার আবেদন করা হয়েছে ।"