বালুরঘাট, ২৭ অক্টোবর: মদের সঙ্গে কীটনাশক খাইয়ে যুবককে খুন করার অভিযোগ উঠল বালুরঘাটে । মৃতের নাম ধ্রুব দাস (32) । বাড়ি বালুরঘাট শহরের চকভবানী এলাকায় । অসুস্থ হয়ে পড়ায় আজ সকালে ধ্রুব দাস নামে ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । এদিকে ঘটনার পরই দুপুরে বালুরঘাট থানায় ধ্রুবর বন্ধুদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার । অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ ।
ধ্রুব দাস বালুরঘাটের একটি ল্যাবে কাজ করতেন । দুর্গাপুজোর জন্য তা কয়েকদিন বন্ধ ছিল । দশমীতে অর্থাৎ গতকাল দুপুরে ধ্রুবকের ডেকে নিয়ে যায় তাঁর বন্ধুরা। অভিযোগ, ধ্রুবকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে মদ্যপান করায়। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে বন্ধুর বাড়িতেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে ধ্রুব। এদিকে দুপুরের পর বিকেল গড়িয়ে গেলেও ধ্রুব বাড়িতে না ফেরায় তার খোঁজ শুরু করেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। পরে যে বন্ধু ডেকে নিয়ে যায়, তার বাড়িতে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে অচৈতন্য অবস্থায় ধ্রুবকে দেখতে পান তাঁরা। এরপর তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। আজ সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ধ্রুবকে সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যরা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এই মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে অভিযোগ পেতেই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
এবিষয়ে মৃত যুবকের বাবা নরেন্দ্রনাথ দাস বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে 11টা নাগাদ তাঁর ছেলের বন্ধু সন্টু ব্রহ্ম ধ্রুবকে ডেকে নিয়ে যায় । এবং তাকে জোর করে মদ খাওয়ানো হয় । সকাল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়িতে ছেলে ফিরে না আসায় তাঁরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির পরও ছেলেকে না পেয়ে তাঁরা সন্টু ব্রহ্মর বাড়িতে যান। সেখানেই মাটিতে ছেলেকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। কী হয়েছে বললে সন্টু ব্রহ্ম জানায়, ধ্রুব মদ খেয়েছে। এদিকে পরে ধ্রুবকে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নিয়ে আসেন। আজ সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যু হয় তাঁর ছেলে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
তাঁদের অনুমান, মদের সঙ্গে কীটনাশক জাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছে। যার ফলে বিষক্রিয়া হয়ে তাঁদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।