গঙ্গারামপুর, 14 সেপ্টেম্বর : গলা কাটা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় যুবতির ৷ পোশাক ছিল ছেঁড়া ৷ গঙ্গারামপুর থানার অন্তর্গত জাহাঙ্গিরপুরে এই ঘটনায় ছড়ায় চাঞ্চল্য ৷ শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লক প্রশাসন ও গঙ্গারামপুর পুলিশ প্রশাসন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ৷ নির্যাতিতার গ্রামে যান গঙ্গারামপুর ব্লকের BDO অঙ্কিত আগরওয়াল ও IC পূর্ণেন্দুকুমার কুণ্ডু ৷ যুবতির পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন । ব্লক প্রশাসন দুঃস্থ পরিবারকে কিছু সাহায্য করতে যায় । যুবতির বাবা ব্লক প্রশাসন এবং থানার এই সাহায্য নিতে অস্বীকার করেন প্রথমে ৷ তবে পরবর্তীতে সাহায্য নিতে রাজি হলেও তাঁর দাবি, মেয়ের খুনির ফাঁসি চাই ।
মাটির ঘর ৷ মেঝেতে পলিথিনের শিটই বিছানা ৷ 100 দিনের প্রকল্পে কাজ করার জন্য চাকরির কার্ড, সরকারি আবাস যোজনায় কোনও দিনও নাম ওঠেনি পরিবারটির । বর্তমানে দুঃস্থ পরিবার চরম আর্থিক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে । গঙ্গারামপুর ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, দুঃস্থ পরিবারের পাশে থাকার জন্য 12 কেজি চাল, পরিবারের সকলের জন্য জামাকাপড় ও পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে ।
BDO নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানকে ৷ খুব তাড়াতাড়ি পরিবারটির জব কার্ড করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে । মৃতের কাকা বলেন, ''আমাদের যা ক্ষতি হওয়ার হয়েছে । আমরা প্রশাসনের সাহায্য গ্রহণ করছি তবে যে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে তার ফাঁসির দাবি জানিয়েছি পরিবারের তরফে ।''
গঙ্গারামপুর ব্লকের BDO অঙ্কিত আগরওয়াল বলেন, ''আমি ও গঙ্গারামপুর থানার IC পূর্ণেন্দুবাবু গিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ব্লকের তরফ থেকে সামান্য সাহায্য করেছি । এছাড়া আমি প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছি পরিবারে যারা কাজ করতে পারবেন তাঁদের নামে জব কার্ড করে দিতে । দুঃস্থ পরিবারের প্রতি আমি খেয়াল রাখছি ৷''
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যুবতি ৷ অভিযোগ, তাই সাগরেদদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে গণধর্ষণ করা হয় যুবতিকে ৷ খুনও করা হয় ৷ গত শুক্রবার অর্থাৎ 6 সেপ্টেম্বর পতিরাম এলাকায় আত্মীয়ের বাড়ি যাবেন বলে রওনা দেন । তারপর বাড়ি ফেরেননি । পরদিন অর্থাৎ শনিবার সকালে নদীর পাশ থেকে গলা কাটা অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷