বংশীহারী, 27 এপ্রিল: তীব্র গরম এবং অবৈজ্ঞানিকভাবে ভূগর্ভস্থ জল তুলে নেওয়া, এর খেসারত দিতে হচ্ছে বুনিয়াদপুর পৌরসভার 6 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। বাড়িতে নলকূপ থাকলেও জল উঠছে না। এমনকী পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদীর জল শুকিয়ে গিয়েছে বা জলস্তর ধরে রাখতে পারছে না । বাধ্য হয়ে জমিতে জল দেওয়ার সাবমার্সিবল পাম্পের উপর ভরসা করতে হচ্ছে বাড়ির মহিলাদের।
বুনিয়াদপুর পৌরসভার 6 নম্বর ওয়ার্ডের 12টি পরিবারে পানীয় জলের চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে। এলাকায় একটিমাত্র মার্ট-টু টিউবওয়েল থাকলেও দু'মাস ধরে তা থেকে জল উঠছে না। ফাল্গুন মাস থেকে এলাকায় বোরো ধানের চাষ শুরু হতেই জল কষ্ট শুরু হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। মহিলারা পানীয় জল ও বাড়ির অন্যান্য কাজের জন্য জল না-পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন। পৌর প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানিয়ে কাজ হয়নি। তাঁদের কষ্টের কথা ভেবে স্থানীয় এক বাসিন্দা প্রবীর সূত্রধর তাঁর সাবমার্সিবল থেকে 512 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্লাস্টিক পাইপ যোগে রাতে তাঁদের পানীয় জলটুকু দেন।
রাতে কাজ থেকে ফিরে বুনিয়াদপুর পৌরসভার ফায়ার স্টেশন সংলগ্ন বংশীহারী এলাকার মহিলারা স্ট্রিট লাইটের আলোতে পানীয় জল সংগ্রহ করছেন কয়েক মাস ধরে। বাসিন্দা আদরী সূত্রধরের কথায়, 50টি পরিবার দু'মাস থেকে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন। এখানেরই এক ব্যক্তি তাঁর সাবমার্সিবল থেকে আমাদের রান্নার-সহ পানীয় জল দিচ্ছেন। পৌরসভা থেকে মার্ট-টু টিউবওয়েলটি ঠিক করলে এতদূর থেকে আমাদের জল সংগ্রহ করতে হবে না।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মের দাবদাহে জল আনতে দেড় কিমি পাড়ি গাঁয়ের মহিলাদের, হাহাকার মালদায়
এই বিষয়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দ্বীপেশ বসাক জানান, বুনিয়াদপুর পৌরসভা-সহ বংশীহারী ব্লকের আশেপাশে বহু জায়গায় কমার্শিয়ালভাবে জল উত্তোলন হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রশাসনের নজর পড়ে না। এমনিতেই জলের লেয়ার নীচে নেমে গিয়েছে ফলে জল সংকট দেখা তো দেবেই ৷ জল অপচয় যদি বন্ধ না-করা যায় তাহলে এই অবস্থা আরও বাড়তে থাকবে ৷ পৌর প্রশাসক অখিল চন্দ্র বর্মন এবিষয়ে বলেন, "6 নম্বর ওয়ার্ডে জলের কোনও কষ্ট নেই। আমরা ওই এলাকার কমিউনিটি হলের কাছে সাবমার্সিবল বসিয়েছি। সেখান থেকে তাঁরা জল সংগ্রহ করতে পারে। বর্তমানে জলের লেয়ার নীচে নেমে যাওয়ার কারণে পৌর এলাকায় মার্ট-টু টিউবওয়েল থেকে জল উঠছে না। জলের জন্য কারও সমস্যা থাকলে লিখিত আবেদন করুক, আমরা তার ব্যবস্থা নেব।"