বালুরঘাট, ১৫ সেপ্টেম্বর : বেহাল মাটির রাস্তা পাকা করার দাবিতে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের । দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বোল্লা এলাকার ঘটনা। এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তীর ধনুক হাতে বোল্লায় ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা । দীর্ঘক্ষণ অবরোধের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এলাকা। অবশেষে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের আশ্বাসে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা পর বিক্ষোভ আন্দোলন তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। শুরু হয় যান চলাচল।
প্রসঙ্গত, কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌষা থেকে বোল্লা বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তাটি স্বাধীনতার পর থেকে মাটির। যার ফলে বর্ষাকালে চলাফেরায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ ।
মাটির রাস্তাটি পাকার দাবি একাধিকবার জানালেও এখনও পাকা হয়নি । ২০১৭ সাল থেকে পাকা রাস্তার দাবিতে জোরালো আন্দোলন শুরু করে গ্রামবাসীরা । BDO সহ জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় ৷ রাস্তার দাবিতে গত বছর বোল্লাতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় চৌষা সহ একাধিক গ্রামের মানুষ। সেই সময় আশ্বাস মিললেও এখনো তৈরি হয়নি পাকা রাস্তা ।
তাই আজ ফের পাকা রাস্তার দাবিতে বোল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন দিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌষা, মহাদেবপুর, রসুলপুর, বরাইল গ্রামের শতাধিক বাসিন্দারা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় বালুরঘাট থানার IC গৌতম রায়, DSP DNT উদয় তামাং, সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী । এছাড়াও কুমারগঞ্জ ব্লকের BDO ছেয়াং তামাং, ডেপুটি মাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর দে সহ অন্যান্যরাও খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান । বিক্ষোভকারীদের সাফ দাবি, আর আশ্বাস নয়। এবার রাস্তা চাই। পরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের লিখিত আশ্বাস পেলে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। তুলে নেন বিক্ষোভ আন্দোলন।
এবিষয়ে বিক্ষোভকারী শুভঙ্কর সরকার বলেন, " বোল্লা বাসস্ট্যান্ড থেকে চৌষা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা পুরোপুরি বেহাল । বৃষ্টিতে চলাফেরা যায় না । এর আগে রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে যেতে না পেরে মারা গিয়েছে । প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি । গতবছর পথ অবরোধের পরে SDO ইশা মুখ্যোপাধ্যায় লিখিত দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত রাস্তা তৈরির ব্যাপারে কোন হেলদোল নেই । বাধ্য হয়ে আজ পথ অবরোধ করেছিলাম । "
অন্যদিকে এবিষয়ে বালুরঘাট সদর মহকুমাশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, " আজকে যারা পথ অবরোধ করেছে, তাঁদের দাবি অযৌক্তিক নয়। ওই রাস্তাটির ব্যাপারে জেলাশাসক গতবছর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছেন । অনুমোদন পেলে খুব শীঘ্রই রাস্তার কাজ চালু হবে এবং আপাতত ওই রাস্তাতে চলাফেরা জন্য কিছু করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখব ৷ "