ETV Bharat / state

জোটে না দু'বেলা খাবার, প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি মা ও যুবতির - Allowence

বাড়ির চারি দিক পাটকাঠির বেড়া দিয়ে ঘেরা । মাথার উপর টিনের ফাটা চাল । মেলেনি বার্ধক্য ভাতা । এমনকি জোটেনি ইন্দ্র আবাস যোজনার ঘর । তাসিয়া হেরে । বাঁচার জন্য সাহায্যের আর্জি প্রশাসনের কাছে ।

তাসিয়া ও সারা
author img

By

Published : Jul 30, 2019, 9:54 PM IST

Updated : Jul 30, 2019, 11:09 PM IST

বালুরঘাট, 30 জুলাই : বছর তিরিশ আগেই গত হয়েছেন স্বামী । দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার ভালোই চলছিল বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের কুয়ারন এলাকার তাসিয়া হেরের (62) । ছেলেদের বিয়ে দেওয়ার পরই সংসারে নামে অন্ধকার ৷ বিয়ের পর থেকেই বৃদ্ধ মা ও অবিবাহিত বোনকে দেখে না তারা । একই বাড়িতে ছোটো ছেলে থাকলেও দেখে না মাকে ৷ কর্মসূত্রে বড় ছেলে থাকে ভিন রাজ্যে । এদিকে তাসিয়ার রুগ্ন চেহারা, চোখে পড়েছে বার্ধক্যের ছাপ । কাজও করতে পারেন না তিনি । অন্যদিকে, মেয়ের শরীর দুর্বল হওয়ায় সেও পারে না কোনও কাজ করতে ৷ যার জন্য মা-মেয়ের সংসারে জোটে না দু'বেলা ভাত । প্রতিবেশীদের সাহায্যে কখনও খাবার জোটে । দুঃস্থদের জন্য নানা সরকারি সুবিধা থাকলেও কোনওটাই মেলেনি এই অসহায় হেরে পরিবারের । গ্রামবাসীদের আর্জি, প্রশাসন তাদের বাঁচার জন্য যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে উপকৃত হয় তাসিয়া ও তাঁর মেয়ে ।

বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের কুয়ারন সংসদের ধিচুপাড়া এলাকার বাসিন্দা তাসিয়া হেরে ও সারা হেরে । স্বামী লুইস দীর্ঘ দিন আগে মারা গেছেন । স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই পরিবারে আর্থিক অনটন লেগেই রয়েছে । স্বামীর অবর্তমানে দুই ছেলে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করে । কিন্তু তাদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকেই উলটোপুরাণ । ছেলেরা তার মা ও বোনের খোঁজ রাখেন না । ফলে কার্যত অনাহারে দিন কাটাতে শুরু করে মা ও মেয়ের ।

বাড়ির চারিদিক পাটকাঠির বেড়া দিয়ে ঘেরা । মাথার উপর টিনের ফাটা চাল । তাসিয়ার মেলেনি বার্ধক্য ভাতা । এমনকি জোটেনি ইন্দ্র আবাস যোজনার ঘর । এবিষয়ে তাসিয়া হেরে জানান, সারা শরীরে ব্যথা । ব্যাথায় নড়াচড়া করতে পারেন না তিনি । মাঝে মধ্যে রান্না করেন ৷ প্রতিবেশীরা চাল ডাল দিয়ে কখনও কখনও সাহায্য করেন । কোনওদিন সেই সাহায্য না পেলে শাক পাতা খেয়েই করতে হয় দিন গুজরান । আক্ষেপের সুরে তিনি আরও জানান, দীর্ঘ দিন থেকেই তিনি অসুস্থ । মেয়েকে নিয়ে থাকেন । সরকারের তরফ থেকে এখনও কোনওরকম সাহায্য মেলেনি । প্রশাসনের সাহায্য পেলে তাঁরা অন্তত খেয়ে বাঁচতে পারতেন ।

তাসিয়ার মেয়ে সারা হেরে জানান, একই বাড়িতে দাদা থাকলেও সে তাদের দেখে না । নেয় না খোঁজ খবরও । কোনও রকমে প্রতিবেশীদের কাছে চেয়ে দিন চলছে তাদের ।

স্থানীয় বাসিন্দা পিটার বারু এবিষয়ে জানান, দেখে খুব খারাপই লাগে ওদের । হেরে পরিবার যাতে সরকারি সুবিধা ও বার্ধক্য ভাতা পান তার জন্য BDO অফিসে আবেদন করেছিলেন । তবে কোনও লাভ হয়নি । জোটেনি সাহায্য । মা, মেয়ে শরীরের যা অবস্থা তাতে কাজও করতে পারেন না তাঁরা । কেউ সাহায্য পেলে উপকৃত হত পরিবারটি । দরকার পরলে আবারও পঞ্চায়েত ও BDO অফিসে যাবেন তিনি ।

অন্যদিকে, চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থ দাস বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ।

বালুরঘাট, 30 জুলাই : বছর তিরিশ আগেই গত হয়েছেন স্বামী । দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার ভালোই চলছিল বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের কুয়ারন এলাকার তাসিয়া হেরের (62) । ছেলেদের বিয়ে দেওয়ার পরই সংসারে নামে অন্ধকার ৷ বিয়ের পর থেকেই বৃদ্ধ মা ও অবিবাহিত বোনকে দেখে না তারা । একই বাড়িতে ছোটো ছেলে থাকলেও দেখে না মাকে ৷ কর্মসূত্রে বড় ছেলে থাকে ভিন রাজ্যে । এদিকে তাসিয়ার রুগ্ন চেহারা, চোখে পড়েছে বার্ধক্যের ছাপ । কাজও করতে পারেন না তিনি । অন্যদিকে, মেয়ের শরীর দুর্বল হওয়ায় সেও পারে না কোনও কাজ করতে ৷ যার জন্য মা-মেয়ের সংসারে জোটে না দু'বেলা ভাত । প্রতিবেশীদের সাহায্যে কখনও খাবার জোটে । দুঃস্থদের জন্য নানা সরকারি সুবিধা থাকলেও কোনওটাই মেলেনি এই অসহায় হেরে পরিবারের । গ্রামবাসীদের আর্জি, প্রশাসন তাদের বাঁচার জন্য যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে উপকৃত হয় তাসিয়া ও তাঁর মেয়ে ।

বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের কুয়ারন সংসদের ধিচুপাড়া এলাকার বাসিন্দা তাসিয়া হেরে ও সারা হেরে । স্বামী লুইস দীর্ঘ দিন আগে মারা গেছেন । স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই পরিবারে আর্থিক অনটন লেগেই রয়েছে । স্বামীর অবর্তমানে দুই ছেলে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করে । কিন্তু তাদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকেই উলটোপুরাণ । ছেলেরা তার মা ও বোনের খোঁজ রাখেন না । ফলে কার্যত অনাহারে দিন কাটাতে শুরু করে মা ও মেয়ের ।

বাড়ির চারিদিক পাটকাঠির বেড়া দিয়ে ঘেরা । মাথার উপর টিনের ফাটা চাল । তাসিয়ার মেলেনি বার্ধক্য ভাতা । এমনকি জোটেনি ইন্দ্র আবাস যোজনার ঘর । এবিষয়ে তাসিয়া হেরে জানান, সারা শরীরে ব্যথা । ব্যাথায় নড়াচড়া করতে পারেন না তিনি । মাঝে মধ্যে রান্না করেন ৷ প্রতিবেশীরা চাল ডাল দিয়ে কখনও কখনও সাহায্য করেন । কোনওদিন সেই সাহায্য না পেলে শাক পাতা খেয়েই করতে হয় দিন গুজরান । আক্ষেপের সুরে তিনি আরও জানান, দীর্ঘ দিন থেকেই তিনি অসুস্থ । মেয়েকে নিয়ে থাকেন । সরকারের তরফ থেকে এখনও কোনওরকম সাহায্য মেলেনি । প্রশাসনের সাহায্য পেলে তাঁরা অন্তত খেয়ে বাঁচতে পারতেন ।

তাসিয়ার মেয়ে সারা হেরে জানান, একই বাড়িতে দাদা থাকলেও সে তাদের দেখে না । নেয় না খোঁজ খবরও । কোনও রকমে প্রতিবেশীদের কাছে চেয়ে দিন চলছে তাদের ।

স্থানীয় বাসিন্দা পিটার বারু এবিষয়ে জানান, দেখে খুব খারাপই লাগে ওদের । হেরে পরিবার যাতে সরকারি সুবিধা ও বার্ধক্য ভাতা পান তার জন্য BDO অফিসে আবেদন করেছিলেন । তবে কোনও লাভ হয়নি । জোটেনি সাহায্য । মা, মেয়ে শরীরের যা অবস্থা তাতে কাজও করতে পারেন না তাঁরা । কেউ সাহায্য পেলে উপকৃত হত পরিবারটি । দরকার পরলে আবারও পঞ্চায়েত ও BDO অফিসে যাবেন তিনি ।

অন্যদিকে, চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থ দাস বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ।

Intro:রুগ্ন চেহেরা, চোখে বার্ধক্যের ছাপ; বেশির ভাগ দিনই উনুন জ্বলে না বালুরঘাটের আদিবাসী মা মেয়ের ঘরে।।

বালুরঘাট, ২৯ জুলাই: বছর তিরিশ আগেই স্বামী গত হয়েছেন। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়েই সংসার ভালই চলছিল। দুই ছেলের বিয়ে দেওয়ার পরই হঠাৎই বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের কুয়ারন এলাকার তাসিয়া হেরের সংসারে অন্ধকার নেমে আসে। বিয়ের পর থেকেই বৃদ্ধ মা ও অবিবাহিত বোন কে দেখেন না দুই ছেলেই। ছোটো ছেলে একই বাড়িতে থাকলেও তিনি আলাদা থাকেন। বড় ছেলে কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। এদিকে রুগ্ন চেহেরা অন্য দিকে চোখে বার্ধক্যের ছাপ। জীবনের শেষ সময়ে এসে আর কাজও করতে পারে না তাসিয়া হেরে। মেয়ের শরীরও খুবই দুর্বল হওয়ায় সেও কাজ করতে পারে না। মা মেয়ের সংশারে জোটে না দু'বেলা দুমুঠো অন্ন। পাড়া প্রতিবেশীরা কোন দিন একটু আধটু কিছু দিলেই খাওয়ার জোটে। দুঃস্থদের জন্য নানান সরকারি সুবিধা থাকলেও কোনটাই মেলেনি অসহায় হেরে পরিবারের। অসহায় পরিবারের পাশাপাশি গ্রামবাসীদেরও আর্জি যদি তাদের বাঁচার জন্য একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত প্রশাসন বা সহৃদয়বান ব্যক্তি।

বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের কুয়ারন সংসদের ধিচুপাড়া এলাকার বাসিন্দা তাসিয়া হেরে (৬২)। অবিবাহিত মেয়ে সারা হেরে (৩৫) কে।নিয়ে সংসার তাসিয়ার। স্বামী লুইস দীর্ঘ দিন আগেই মারা গেছে। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই পরিবারে আর্থিক অনটন নিত্য সাথী। স্বামীর অবর্তমানে দুই ছেলে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছেলেদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকেই উলটো পুরাণ। ছেলেরা তার মা ও বোনের খোঁজ রাখেন না। ফলে কার্যত অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাতে শুরু করে মা ও মেয়ে। মায়ের শরীরে যেমন বার্ধক্য নেমে এসেছে, ঠিক তেমনিভাবে মেয়ের শরীরেও বাসা বেঁধেছে অপুষ্টি।

বাড়ির চারি দিকে পাটকাঠির বেঁড়া দিয়ে ঘেরা। মাথার উপর টিন। বৃষ্টি হলেই সেই টিন দিয়ে জল পড়ে। তাসিয়া হেরে ৬০ বছর হলেও মেলেনি বার্ধক্য ভাতা বা বিধবা ভাতা। এমনকি জোটেনি ইন্দ্রা আবাস যোজনার ঘরও। কেউ খাওয়ার না দিলে সেদিন শাক পাতা খেয়ে কাটাতে হয় মা মেয়েকে।

এবিষয়ে তাসিয়া হেরে জানান, সারা শরীরে ব্যাথা। ব্যাথায় নড়াচড়া করতে পারেন না। কোন রান্না করতে পারেন। কোন দিন আবার সেটাও পারেন না। নাতনিরা রান্না করে দেয়। এখন আর কাজ করতে পারেন না। পাড়া প্রতিবেশীরা চাল ডাল দিয়ে সাহায্য করেন। কোন সেই সাহায্য না পেলে শাক পাতা খেয়ে দিন গুজরান। তিনি আক্ষেপের সুরু এ আরও বলেন, দীর্ঘ দিন থেকেই তিনি অসুস্থা। মেয়ে কে নিয়ে থাকেন। সরকারের তরফ থেকে এখনো করা হয়নি কোন রকম সাহায্য। প্রশাসনের সাহায্য পেলে তারা খেয়ে পরে বাঁচতে পারতেন।

তাসিয়ার মেয়ে সারা হেরে জানান, একই বাড়িতে দাদা থাকলেও সে তাদের দেখে না। নেয় না খোঁজ খবরও। কোন রকমে প্রতিবেশীদের কাছে চেয়ে মাঙ্গে দিন চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা পিটার বারু জানান, দেখে খুব খারাপই লাগে। তারা যাতে সরকারি সুবিধা পান তার জন্য বিডিও অফিসে বিধবা বা বার্ধক্য ভাতা পান তার জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে কোন লাভ হয়নি। জোটে নি কোন সাহায্য। মা মেয়ে শরীরের যা অবস্থা কাজও করতে পারে না তারা। তারা যদি সাহায্য পেত উপকৃত হত পরিবারটি। তিনিও দরকার পরলে আবার পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে যাবেন।

অন্য দিকে চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থ দাস বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন।Body:Balurghat Conclusion:Balurghat
Last Updated : Jul 30, 2019, 11:09 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.