বালুরঘাট, 28 সেপ্টেম্বর : বাজেয়াপ্ত করা টোটো ছাড়ার দাবিতে সোমবার দুপুরে বালুরঘাটে RTO-র কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল শতাধিক টোটো চালক। তাদের দাবি, অন্ততপক্ষে দু'মাসের সময়সীমা দেওয়া হোক। তারমধ্যে তারা টোটো বা ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেবে। এদিকে কোনওরকম ভাবেই রেজিস্ট্রেশনহীন টোটো ছাড়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন RTO সন্দীপ সাহা। এর পর RTO-কে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ টোটো চালকরা। যদিও পরে RTO-র আশ্বাসে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
শনিবার বালুরঘাট থানা মোড় এলাকায় জেলা আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে বেআইনি টোটো ও রেজিস্ট্রেশনহীন ই-রিকশা বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওইদিন প্রায় 50 থেকে 60 টি বেআইনি টোটো ও রেজিস্ট্রেশনহীন ই-রিকশাকে বাজেয়াপ্ত করেন RTO। তিনি টোটো চালকদের সোমবার তাঁর কার্যালয়ে দেখা করতে বলেন। সেইমতো সোমবার RTO-র কার্যালয়ে আসে টোটো চালকরা। অভিযোগ, টোটো চালকদের কোনও কথাই শোনা হয়নি। রেজিস্ট্রেশন করানো না হলে টোটো ছাড়া হবে না বলে RTO সাফ জানিয়ে দেন। এদিকে টোটো চালকদের দাবি 2 মাসের সময় তাদের দিতে হবে। তা না হলে তারা রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবে না।
বিক্ষোভকারী টোটো চালক রাকিব আলি বলেন, "আমাদের টোটো বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে এগুলো চিন থেকে এসেছে। কিন্তু চিন থেকে টোটোগুলো আমাদের বাড়িতে আসেনি । সরকার ও ডিলারের মাধ্যমে আমরা কিনেছি। টোটো ছাড়ানোর জন্য RTO-র কার্যালয়ে এসেছি । কিন্তু তিনি ছিলেন না। পরে তিনি আমাদের বাড়ি চলে যেতে বলেন। আমাদের দাবি টোটো বা ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন করার জন্য অন্ততপক্ষে দু'মাস সময় দেওয়া হোক । দু'মাসের মধ্যে যারা রেজিস্ট্রেশন করাবে না বা করতে পারবে না তারা টোটো বা ই-রিকশা চালাবে না ৷
এদিকে এবিষয়ে জেলা আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তর আধিকারিক সন্দীপ সাহা বলেন, "সরকারি নির্দেশ মেনে বেআইনি টোটো বা ই-রিকশা কোনওভাবেই চলাচল করতে পারবে না। সরকারি নির্দেশ মোতাবেক রেজিস্ট্রেশনহীন টোটো বা ই-রিকশা আটক করা হয়েছে । প্রত্যেক টোটো বা ই-রিকশা চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট রুট রয়েছে। তার বাইরে কেউ চালাতে পারবেন না।"