ETV Bharat / state

রয়েছে BPL সম মর্যাদার রেশন কার্ড, তৃণমূল সরব হতেই সাংবাদিক বৈঠক সাংসদের

এবিষয়ে BJP সাংসদ বলেন, আগে APL কার্ডই ছিল । ডিজিটাল কার্ডের সময় SPHH ক্যাটাগরির হয় । তারা এই ক্যাটাগরির জন্য আবেদন করেননি । খাদ্য দপ্তরের গাফিলতির জন্যই এমন ভুল হয়েছে ।

Balurghat bjp mp press meet, south dinajpur
রয়েছে BPL সম মর্যাদার রেশন কার্ড, তৃণমূল সরব হতেই সাংবাদিক বৈঠক সাংসদের
author img

By

Published : May 12, 2020, 11:29 PM IST

Updated : May 13, 2020, 8:59 AM IST

বালুরঘাট, 12 মে : বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নাম রয়েছে BPL সম মর্যাদার তালিকায় । দীর্ঘদিন ধরে সেই রেশন কার্ড থেকে তোলা হচ্ছে রেশন সামগ্রী । বাড়ির প্রায় সকলেই সরকারি কর্মী হওয়ার পরও কী করে সাংসদের নাম BPL সম মর্যাদার SPHH তালিকায় রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে তৃণমূল । ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সেই পোস্ট ভাইরালও হয়েছে । ঘটনায় আজ বিকেলে নিজস্ব বাস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বালুরঘাটের সাংসদ । তৃণমূল না জেনেশুনে নোংরা রাজনীতি করছে বলে পালটা দাবি করেন তিনি ৷

বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার । পেশায় তিনি অধ্যাপক । বাড়ি বালুরঘাট শহরের খাদিমপুর মাস্টারপাড়া এলাকায় । সুকান্তবাবু নিজে একজন সাংসদ ও অধ্যাপক, স্ত্রীও শিক্ষিকা, বাবা ও মা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী । গত বছর সংসদ নির্বাচিত হবার আগে যথাক্রমে তিনি শিলিগুড়ি ও মালদাতে কর্মসূত্রে থাকতেন । এরপর তিনি বালুরঘাটের বাড়িতেই থাকা শুরু করেন ৷ রাজনৈতিক ব্যস্ততা ও দিল্লিতে যাতায়াতের কারণে বাড়িতে তেমন সময় দিতে পারেন না । সম্প্রতি, লকডাউন শুরু হতেই তিনি একেবারেই অন্যান্য মানুষের মতোই ঘরবন্দী হয়ে পড়েন । এরই মধ্যে তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বারবার করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন । অভিযোগ, তৃণমূল পালটা সাংসদের রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয় । সাংসদসহ পরিবারের অন্যান্যদের BPL সম মর্যাদার SPHH নাম রয়েছে । পরিবারের সকলে সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরেও কী করে BPL সম মর্যাদা রেশন কার্ড থাকে । এমন প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে তৃণমূল । সেই বিষয়েই আজ সাংবাদিক সম্মেলন করেন বালুরঘাটের সাংসদ ।

Balurghat bjp mp press meet, south dinajpur
অনলাইনে APL রেশন কার্ডের আবেদন

এবিষয়ে BJP সাংসদ বলেন, তাদের আগে APL কার্ডই ছিল । ডিজিটাল কার্ডের সময় SPHH ক্যাটাগরির হয় । তাঁরা এই ক্যাটাগরির জন্য আবেদন করেননি । খাদ্য দপ্তরের গাফিলতির জন্যই এমন ভুল হয়েছে । লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে থাকাকালীন বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য নিয়মায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি । আধিকারিকের নির্দেশ মতো অনলাইনে APL রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেন । গত 5 তারিখ সেই আবেদন করেন তিনি । এই আবেদনের কয়েকদিন পর তৃণমূল এই নিয়ে কথা বলছে । তিনি আরও বলেন, " বাড়িতে বয়স্ক বাবা মা রয়েছেন । ওই কার্ড সংশোধনের জন্য বহুবার খাদ্য দপ্তরের ঘোরাঘুরি করেও আবেদনপত্র জমা করাতে পারেননি । এরপর থেকে ওই কার্ড দিয়ে বাড়ির কাজের মহিলা ও কলমিস্ত্রি পালা করে রেশন তুলতেন । বহুদিন আগে তাঁর মা অসুস্থ শরীর নিয়েই লিখিত অভিযোগ করেছিলেন । কিন্তু সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লিখিত কিছু দেওয়া হয়নি । তবে তৃণমূল যদি ভাবে সেই লেখাকে ফরেনসিক টেস্ট করবে করতে পারে । তৃণমূল না জেনে নোংরা রাজনীতি করছে ।"

অন্যদিকে, তৃণমূলের IT সেলের বালুরঘাট বিধানসভা কনভেনার অমরনাথ ঘোষ বলেন, "কোরোনার এই সংকট পরিস্থিতিতে একটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখলাম না ৷ উলটে রাস্তায় বসে নাটক করতে অভ্যস্ত সাংসদ । যখন তৃণমূলের তরফ থেকে জেলাজুড়ে ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে ৷ অথবা সরকার মানুষের জন্যে যথা সাধ্য চেষ্টা করছে ৷ তখন BJP উসকানি ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রাজ্য সরকারকে হেয় করছে । সাংসদ নিজে অধ্যাপক হয়েও বা তাঁর পরিবারের সকলে চাকুরিজীবী হয়েও কী করে ওই পরিবার BPL সম মর্যাদার রেশন কার্ডের সুবিধা ভোগ করেন ৷ এবিষয়ে প্রশাসনিক তদন্ত দাবি করেছি ৷ "

বালুরঘাট, 12 মে : বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নাম রয়েছে BPL সম মর্যাদার তালিকায় । দীর্ঘদিন ধরে সেই রেশন কার্ড থেকে তোলা হচ্ছে রেশন সামগ্রী । বাড়ির প্রায় সকলেই সরকারি কর্মী হওয়ার পরও কী করে সাংসদের নাম BPL সম মর্যাদার SPHH তালিকায় রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে তৃণমূল । ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সেই পোস্ট ভাইরালও হয়েছে । ঘটনায় আজ বিকেলে নিজস্ব বাস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বালুরঘাটের সাংসদ । তৃণমূল না জেনেশুনে নোংরা রাজনীতি করছে বলে পালটা দাবি করেন তিনি ৷

বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার । পেশায় তিনি অধ্যাপক । বাড়ি বালুরঘাট শহরের খাদিমপুর মাস্টারপাড়া এলাকায় । সুকান্তবাবু নিজে একজন সাংসদ ও অধ্যাপক, স্ত্রীও শিক্ষিকা, বাবা ও মা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী । গত বছর সংসদ নির্বাচিত হবার আগে যথাক্রমে তিনি শিলিগুড়ি ও মালদাতে কর্মসূত্রে থাকতেন । এরপর তিনি বালুরঘাটের বাড়িতেই থাকা শুরু করেন ৷ রাজনৈতিক ব্যস্ততা ও দিল্লিতে যাতায়াতের কারণে বাড়িতে তেমন সময় দিতে পারেন না । সম্প্রতি, লকডাউন শুরু হতেই তিনি একেবারেই অন্যান্য মানুষের মতোই ঘরবন্দী হয়ে পড়েন । এরই মধ্যে তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বারবার করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন । অভিযোগ, তৃণমূল পালটা সাংসদের রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয় । সাংসদসহ পরিবারের অন্যান্যদের BPL সম মর্যাদার SPHH নাম রয়েছে । পরিবারের সকলে সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরেও কী করে BPL সম মর্যাদা রেশন কার্ড থাকে । এমন প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে তৃণমূল । সেই বিষয়েই আজ সাংবাদিক সম্মেলন করেন বালুরঘাটের সাংসদ ।

Balurghat bjp mp press meet, south dinajpur
অনলাইনে APL রেশন কার্ডের আবেদন

এবিষয়ে BJP সাংসদ বলেন, তাদের আগে APL কার্ডই ছিল । ডিজিটাল কার্ডের সময় SPHH ক্যাটাগরির হয় । তাঁরা এই ক্যাটাগরির জন্য আবেদন করেননি । খাদ্য দপ্তরের গাফিলতির জন্যই এমন ভুল হয়েছে । লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে থাকাকালীন বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য নিয়মায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি । আধিকারিকের নির্দেশ মতো অনলাইনে APL রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেন । গত 5 তারিখ সেই আবেদন করেন তিনি । এই আবেদনের কয়েকদিন পর তৃণমূল এই নিয়ে কথা বলছে । তিনি আরও বলেন, " বাড়িতে বয়স্ক বাবা মা রয়েছেন । ওই কার্ড সংশোধনের জন্য বহুবার খাদ্য দপ্তরের ঘোরাঘুরি করেও আবেদনপত্র জমা করাতে পারেননি । এরপর থেকে ওই কার্ড দিয়ে বাড়ির কাজের মহিলা ও কলমিস্ত্রি পালা করে রেশন তুলতেন । বহুদিন আগে তাঁর মা অসুস্থ শরীর নিয়েই লিখিত অভিযোগ করেছিলেন । কিন্তু সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লিখিত কিছু দেওয়া হয়নি । তবে তৃণমূল যদি ভাবে সেই লেখাকে ফরেনসিক টেস্ট করবে করতে পারে । তৃণমূল না জেনে নোংরা রাজনীতি করছে ।"

অন্যদিকে, তৃণমূলের IT সেলের বালুরঘাট বিধানসভা কনভেনার অমরনাথ ঘোষ বলেন, "কোরোনার এই সংকট পরিস্থিতিতে একটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখলাম না ৷ উলটে রাস্তায় বসে নাটক করতে অভ্যস্ত সাংসদ । যখন তৃণমূলের তরফ থেকে জেলাজুড়ে ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে ৷ অথবা সরকার মানুষের জন্যে যথা সাধ্য চেষ্টা করছে ৷ তখন BJP উসকানি ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রাজ্য সরকারকে হেয় করছে । সাংসদ নিজে অধ্যাপক হয়েও বা তাঁর পরিবারের সকলে চাকুরিজীবী হয়েও কী করে ওই পরিবার BPL সম মর্যাদার রেশন কার্ডের সুবিধা ভোগ করেন ৷ এবিষয়ে প্রশাসনিক তদন্ত দাবি করেছি ৷ "

Last Updated : May 13, 2020, 8:59 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.