বালুরঘাট, 11 নভেম্বর : তামাকজাত দ্রব্যর ক্রয়-বিক্রয় বন্ধের জন্য বৃহস্পতিবার 10 জন ব্যবসায়ী ও চারজন ধূমপায়ীকে জরিমানা করল জেলা প্রশাসন ৷ সকলকেই 200 টাকা করে স্পট জরিমানা করা হয় ৷ নিষেধের পরও দোকানে বিক্রি করায় শতাধিক তামাকযুক্ত পানমশলা ও গুটখার প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ জরিমানার মাধ্যমে বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করে জেলা প্রশাসন ৷
বছর দুয়েক আগেই রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে ধূমপান নিষিদ্ধ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয় ৷ 7 নভেম্বর থেকে রাজ্যেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে তামাকযুক্ত পানমশলা ও গুটখা ৷ তারপরও এই সমস্ত সামগ্রী বালুরঘাটের বিভিন্ন দোকানে ঝুলতে ও বিক্রি হতে দেখা যায় ৷ সরকারের এই নিষেধাজ্ঞাকে কার্যকর করতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বালুরঘাট থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শহরে অভিযানে যায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর ৷
অভিযানে সামিল ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবজিৎ বোস, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগে আধিকারিক কাকলি মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও ৷ জেলায় পুরোপুরি তামাকযুক্ত দ্রব্যর বিক্রি বন্ধের জন্যই এই অভিযান ৷ বালুরঘাট শহরের বেশ কয়েকটি দোকানে অভিযান চালান আধিকারিকরা ৷ শুধুমাত্র অভিযান নয়, তামাকযুক্ত পানমশলা ও গুটখা বিক্রির জন্য 10 জন ব্যবসায়ীকে 200 টাকা করে জরিমানাও করা হয় ৷ পাশাপাশি, প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরও রাস্তায় ধূমপান করায় চারজনকে জরিমানা করা হয় ৷ স্কুল চত্বরে নেশার সামগ্রী বিক্রি করা যাবে না বলেও প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় ৷
ব্যবসায়ী দেবী সরকার বলেন, "বিষয়টি জানা ছিল না ৷ আমার খুব ছোটো দোকান ৷ এসব দোকানে পান, বিড়ি সিগারেটই বেশি বিক্রি হয় ৷ এসব বিক্রি বন্ধ হলে সমস্যায় পড়তে হবে ৷"
এবিষয়ে দেবজিৎ বোস জানান, নিষিদ্ধ ঘোষণা সত্ত্বেও বালুরঘাটে গুটখা বিক্রি চলছিল ৷ অভিযান চালিয়ে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ তামাকযুক্ত পানমশলা ও গুটখা বিক্রির জন্য 10জন দোকানদারকে 200 টাকা করে স্পট জরিমানা করা হয় ৷ জরিমানা নেওয়াটা উদ্দেশ্য নয়, সতর্ক ও সচেতন করাটাই প্রধান উদ্দেশ্য ৷ এছাড়া, স্কুল কলেজের পাশের দোকানগুলোতে সিগারেট বিক্রি ও প্রকাশ্যে খাওয়া নিষেধ করা হয়েছে ৷ এরপর থেকে এনিয়ে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে ৷