বালুরঘাট, 11 মে : লকডাউনে বন্ধ যান চলাচল । তাই বাড়ি পৌঁছাতে ঝাড়খণ্ড থেকে হেঁটেই রওনা দিয়েছিলেন বালুরঘাটের ছয় শ্রমিক । গতকাল হিলি মোড়ে পৌঁছানো মাত্রই তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ । স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খবর দিয়ে পাঠানো হয় কোয়ারানটিন সেন্টারে । এই ছয় শ্রমিকের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন । পাশাপাশি গঙ্গারামপুর কোয়ারানটিন সেন্টারেও গতকাল 40 জন ভিনরাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিককে পাঠানো হয় ।
ঝাড়খণ্ড থেকে ফেরা ওই ছয় শ্রমিক বালুরঘাটের গোপালবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিগ্রাম ও হিলি এলাকার বাসিন্দা । কয়েকমাস আগে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে ঝাড়খণ্ড গেছিলেন । কিন্তু হঠাৎ লকডাউন শুরু হওয়ায় সেখানে আটকে পড়েন । পাশাপাশি কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোজগারও বন্ধ হয়ে যায় । ফলে টাকার অভাবে একপ্রকার অনাহারেই দিন কাটছিল । তাই বাঁচতে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা । সেইমতোই কয়েক দিন আগে হেঁটেই ঝাড়খণ্ড থেকে রওনা দেন ।
গতকাল গঙ্গারামপুরে প্রথমে পুলিশ তাঁদের আটকায় । পরে ওই শ্রমিকদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে যেতে বলা হয় । নির্দেশমতো হাসপাতালে যান তাঁরা । তারপর সেখান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে হিলি মোড় এলাকায় ফের পুলিশ তাঁদের পথ আটকায় । স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খবর দিয়ে আনা হয় অ্যাম্বুলেন্স । তাতে করেই কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠানো হয় ওই ছয় শ্রমিককে ।
ওই ছয় শ্রমিকদের মধ্যে নরেশ সুপথ বর্মণ বলেন, "আমরা জেলায় পৌঁছাতে গঙ্গারামপুরে প্রথমে পুলিশ আটকায় । তারা আমাদের একটি লরিতে তুলে দেয় । এরপর হাসপাতালে আসি । আমরা ঝাড়খণ্ডে খুব সমস্যায় ছিলাম । খেতে পাচ্ছিলাম না । তাই বাধ্য হয়ে রেলপথ, সড়কপথ দিয়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হই । এরপর কখনও গাড়িতে বা লরিতে এসে পৌঁছাই ।"
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছয় শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে । তারপর আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হবে । এরপর সোয়াব পরীক্ষা করা হবে ।