ETV Bharat / state

হেলে থাকা গঙ্গারামপুরের সেতু দিয়ে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত

2017 সালের ভয়াবহ বন্যার সময় বসে গেছিল গঙ্গারামপুর থানার মহারাজপুর এলাকার সেতুর এক পাশ । সংস্কারের পর খুলে দেওয়া হয় সেতুটি । কিন্তু, ফের একপাশ বসে যাচ্ছে এই সেতুর । ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই যাতায়াত করছে পণ্যবাহী থেকে যাত্রীবাহী গাড়ি ৷

হেলে পড়েছে সেতুর একাংশ
author img

By

Published : Aug 28, 2019, 9:27 AM IST

গঙ্গারামপুর, 28 আগস্ট : 2017 সালের ভয়াবহ বন্যার সময় বসে গেছিল গঙ্গারামপুর থানার মহারাজপুর এলাকার সেতুর এক পাশ । তখন সেতুটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল । পরে সংস্কারও করা হয় । খুলে দেওয়া হয় সেতুটি । কিন্তু, ফের একপাশ বসে যাচ্ছে এই সেতুর । ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই যাতায়াত করছে পণ্যবাহী থেকে যাত্রীবাহী গাড়ি । এ দিকে সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে দু'পাশে স্পিড বেকার তৈরি করা হয়েছে । কবে সংস্কার হবে তার কোনও সদুত্তর নেই ৷

2017 সালের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরেও ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল । বন্যায় প্রচুর ঘরবাড়ির ক্ষতি হয় । বন্যার সময় গঙ্গারামপুর এলাকার মহারাজপুরের জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত থাকা একটি সেতুর এক দিক বসে যায় । সে সময় 10-15 দিন এই সেতুর উপর দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন । পরে সেতুটির সংস্কার করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন । শুরু হয় চলাচল । অভিযোগ, বন্যার দু'বছর পেরিয়ে গেলেও মহারাজপুর এলাকার সেতুটি এক পাশে হেলেই রয়েছে ।

আরও পড়ুন : গঙ্গারামপুরে বাঁধ ভাঙল, বন্যার আশঙ্কা

অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে কিছুদিন আগে রাজ্যের বেশ কয়েকটি দুর্বল সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার । দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর বালুরঘাটের সঙ্গে যোগাযোগকারী মহারাজপুর এলাকার সেতুটির অবস্থা খুবই খারাপ । যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা । সংস্কার নয় নতুন করে সেতু তৈরির দাবি স্থানীয়দের । যদিও বালুরঘাট সব-ডিভিশন পূর্ত দপ্তরের সহ-ইঞ্জিনিয়ার (জাতীয় সড়ক) রবি মণ্ডল জানান, সেতুটির অবস্থা বর্তমানে ঠিকই আছে ।

গঙ্গারামপুর, 28 আগস্ট : 2017 সালের ভয়াবহ বন্যার সময় বসে গেছিল গঙ্গারামপুর থানার মহারাজপুর এলাকার সেতুর এক পাশ । তখন সেতুটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল । পরে সংস্কারও করা হয় । খুলে দেওয়া হয় সেতুটি । কিন্তু, ফের একপাশ বসে যাচ্ছে এই সেতুর । ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই যাতায়াত করছে পণ্যবাহী থেকে যাত্রীবাহী গাড়ি । এ দিকে সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে দু'পাশে স্পিড বেকার তৈরি করা হয়েছে । কবে সংস্কার হবে তার কোনও সদুত্তর নেই ৷

2017 সালের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরেও ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল । বন্যায় প্রচুর ঘরবাড়ির ক্ষতি হয় । বন্যার সময় গঙ্গারামপুর এলাকার মহারাজপুরের জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত থাকা একটি সেতুর এক দিক বসে যায় । সে সময় 10-15 দিন এই সেতুর উপর দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন । পরে সেতুটির সংস্কার করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন । শুরু হয় চলাচল । অভিযোগ, বন্যার দু'বছর পেরিয়ে গেলেও মহারাজপুর এলাকার সেতুটি এক পাশে হেলেই রয়েছে ।

আরও পড়ুন : গঙ্গারামপুরে বাঁধ ভাঙল, বন্যার আশঙ্কা

অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে কিছুদিন আগে রাজ্যের বেশ কয়েকটি দুর্বল সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার । দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর বালুরঘাটের সঙ্গে যোগাযোগকারী মহারাজপুর এলাকার সেতুটির অবস্থা খুবই খারাপ । যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা । সংস্কার নয় নতুন করে সেতু তৈরির দাবি স্থানীয়দের । যদিও বালুরঘাট সব-ডিভিশন পূর্ত দপ্তরের সহ-ইঞ্জিনিয়ার (জাতীয় সড়ক) রবি মণ্ডল জানান, সেতুটির অবস্থা বর্তমানে ঠিকই আছে ।

Intro:বন্যার সময়ই বসে গেছিল একপাশ, হেলে থাকা গঙ্গারামপুরের ব্রীজ দিয়ে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত।।

গঙ্গারামপুর, ২৮ আগস্ট: ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় বসে যায় গঙ্গারামপুর থানার মহারাজপুর এলাকার ব্রীজের এক পাশ। বিপদজনক অবস্থায় ব্রীজটি থাকায় সেই সময় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্যা শেষে ব্রিজটি সংস্কার করা হয়। তারপর খুলে দেওয়া হয় ব্রীজটি। যদিও দিন দিন বৃষ্টির একপাশ বসেই যাচ্ছে। এক রকম ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই যাতায়াত করছে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে যাত্রীবাহী গাড়ি। এদিকে ব্রিজের উপর দিয়ে যান চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে দু'পাশে স্পিড বেকার তৈরি করা হয়েছে। যদিও এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন বলে বালুরঘাট ন্যাশনাল হাইওয়ে বিভাগের আধিকারিক রবি মণ্ডল জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বন্যায় প্রচুর ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়। সে বন্যার সময় গঙ্গারামপুর এলাকার মহারাজপুরের জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত থাকা একটি ব্রিজের এক পাশ বসে যায়। মারাত্মক ভাবে ব্রীজটি হলেও যায়। দুর্বল ব্রীজ হওয়াই বন্যার মধ্যে দীর্ঘ ১০-১৫ দিন এই ব্রীজের উপর দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। বন্যা পার হতেই তড়িঘড়ি ব্রীজটি সংস্কারে হাত লাগায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। দুর্বল ব্রীজ হওয়ায় তুলে ফেলা হয় উপরের কংক্রিটের কিছু অংশ। এরপরে ফের খুলে দেওয়া হয় ব্রীজটি। শুরু হয় চলাচল। এদিকে বন্যার দু'বছর পেরিয়ে গেলেও মহারাজপুর এলাকার ব্রীজটি এক পাশে হেলেই রয়েছে। একরকম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই সাধারণ মানুষ যাতায়াত করছে। পণ্যবাহী যানবাহনও ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করছে। তবে ব্রিজের উপরে গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ এর জন্য দু'পাশে বেশ কয়েকটি স্পিড বেকার করে দেওয়া হয়েছে।

অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে কিছুদিন আগে রাজ্যের বেশ কয়েকটি দুর্বল ব্রীজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয় সরকার। সেইমতো রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ব্রীজ গুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ঠিক তখন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর বালুরঘাটের সঙ্গে যোগাযোগকারী মহারাজপুর এলাকার ব্রীজটির অবস্থা খুবই বিপদজনক। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় সড়ক দুর্ঘটনা। সংস্কার নয় নতুন করে ব্রীজের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব দাস ও ষষ্ঠী সোম জানান, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যার সময় ব্রীজটির এক পাশ হঠাৎই বসে যায়। তখন থেকে অমন অবস্থায় রয়েছে ব্রীজটি। নাম মাত্র সংস্কার করা হলেও এখন ব্রীজটি একদিকে হেলেই রয়েছে। যে ভাবে ব্রীজটি হেলে রয়েছে তা দেখলেই ভয় লাগে। দিন দিন এক দিকে বসেই যাচ্ছে ব্রীজটি। আর কোন কারনে ব্রীজের কিছু হলে একরকম বালুরঘাট, গঙ্গারামপুরের সঙ্গে কলকাতা শিলিগুড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ব্রীজটি দ্রুত ঠিক করার দাবি জানিয়েছেন তারা। তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

অন্য দিকে এবিষয়ে বালুরঘাট সব ডিভিশন পূর্ত দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (জাতীয় সড়ক) রবি মণ্ডল জানান, ব্রীজটির অবস্থা বর্তমানে ঠিকই আছে। এ বিষয়ে আরো জানতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি।


Body:Gangarampur


Conclusion:Gangarampur
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.