ETV Bharat / state

রোগীমৃত্যুতে হাসপাতালে ভাঙচুর, পথ অবরোধ - কুমারগঞ্জ

সাপে কামড়ানোর পরও বিশ্বকর্মা পুজোয় নাচ করছিলেন যুবক ৷ পরে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হলে মারা যান ৷ ঘটনায় হাসপাতালে ভাঙচুর করে এলাকাবাসী ৷

photo
ছবি
author img

By

Published : Sep 18, 2020, 10:36 PM IST

Updated : Sep 18, 2020, 10:57 PM IST

কুমারগঞ্জ, ১৮ সেপ্টেম্বর: সাপে কামড়েছে ৷ এরপরও বিশ্বকর্মা পুজোয় নাচ করছিলেন যুবক ৷ পরে হাসপাতালে মারা গেলেন তিনি । বিষয়টি অন্যদের নজরে আসতেই ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে । সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই যুবক । আর এতেই চিকিৎসার গাফিলতিতে তুলে ক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর করল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকের কোয়ার্টার । পরে কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ জনতা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ ৷ পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি । বিক্ষোভ আন্দোলন তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা ।

জানা গেছে, মৃত ওই যুবকের ভজন সরকার (25) । পেশায় টোটো চালক । বাড়ি কুমারগঞ্জ থানার শাহজাদপুরে । গতকাল রাতে মদ্যপ অবস্থায় রাস্তার ধারে পাটকাঠির উপর শুয়ে থাকাকালীন সাপে কাটে ভজনকে । এদিকে ওই অবস্থায় তিনি স্থানীয় একটি বিশ্বকর্মার পুজোয় গিয়ে নাচানাচি করেন । পা দিয়ে রক্ত বেরোতে দেখলে ভজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সহকর্মীরা । তখন সাপে কাটার বিষয়টি সামনে আসে । সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বরাহারে অবস্থিত কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় । পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভজনকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তৎপরতা দেখাননি । শুধুমাত্র স্যালাইন দিয়ে ভজনকে হাসপাতালে ফেলে রাখেন । এদিকে পরিবারের লোকেরা চিকিৎসকদের অনুরোধ করার পরে ইঞ্জেকশন দেন । যার ফলে গভীর রাতেই মৃত্যু হয় ভজনের । সেই প্রতিবাদে শতাধিক গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে রাতেই হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় এবং ভাঙচুর করা হয় । এমনকী সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকের আবাসনও ভাঙচুর করা হয় । এদিকে ওই ঘটনায় শুক্রবার সকালে বরাহারে হাসপাতালের সামনে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় শতাধিক গ্রামবাসীরা । পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ । পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এদিকে পরে পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় । গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷

দেখুন ভিডিয়ো

এই বিষয়ে মৃতের আত্মীয় রঞ্জিত সরকার বলেন, " গতকাল রাতে ভজনকে সাপে কামড় দেয়৷ যার ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতির ফলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনেক দেরিতে চিকিৎসা শুরু করেছেন । স্যালাইন দিয়ে ফেলে রেখেছিলেন । অনেক পরে ইঞ্জেকশন দেওয়ার ফলে কোনও লাভ হয়নি । শেষ অবধি আমাদের ছেলে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। তাই আমরা ওই কর্তব্যরত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধ করেছিলাম । আজকে ভজনের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে । পরবর্তীতে যাতে অন্যকারও এভাবে মৃত্যু না হয় ৷ এবিষয়ে আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করব ।"

এবিষয়ে কুমারগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শতভিষা খাঁড়া বলেন, " এবিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না । যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবেন ।" অন্যদিকে, কুমারগঞ্জ থানার OC টাশি থিরিং শেরপা বলেন, " আজকে বরাহার হাসপাতালের কাছে পথ অবরোধ হয়েছিল । পুলিশ গিয়ে পরে পথ অবরোধ তুলে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।"

কুমারগঞ্জ, ১৮ সেপ্টেম্বর: সাপে কামড়েছে ৷ এরপরও বিশ্বকর্মা পুজোয় নাচ করছিলেন যুবক ৷ পরে হাসপাতালে মারা গেলেন তিনি । বিষয়টি অন্যদের নজরে আসতেই ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে । সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই যুবক । আর এতেই চিকিৎসার গাফিলতিতে তুলে ক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর করল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকের কোয়ার্টার । পরে কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ জনতা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ ৷ পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি । বিক্ষোভ আন্দোলন তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা ।

জানা গেছে, মৃত ওই যুবকের ভজন সরকার (25) । পেশায় টোটো চালক । বাড়ি কুমারগঞ্জ থানার শাহজাদপুরে । গতকাল রাতে মদ্যপ অবস্থায় রাস্তার ধারে পাটকাঠির উপর শুয়ে থাকাকালীন সাপে কাটে ভজনকে । এদিকে ওই অবস্থায় তিনি স্থানীয় একটি বিশ্বকর্মার পুজোয় গিয়ে নাচানাচি করেন । পা দিয়ে রক্ত বেরোতে দেখলে ভজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সহকর্মীরা । তখন সাপে কাটার বিষয়টি সামনে আসে । সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বরাহারে অবস্থিত কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় । পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভজনকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তৎপরতা দেখাননি । শুধুমাত্র স্যালাইন দিয়ে ভজনকে হাসপাতালে ফেলে রাখেন । এদিকে পরিবারের লোকেরা চিকিৎসকদের অনুরোধ করার পরে ইঞ্জেকশন দেন । যার ফলে গভীর রাতেই মৃত্যু হয় ভজনের । সেই প্রতিবাদে শতাধিক গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে রাতেই হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় এবং ভাঙচুর করা হয় । এমনকী সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকের আবাসনও ভাঙচুর করা হয় । এদিকে ওই ঘটনায় শুক্রবার সকালে বরাহারে হাসপাতালের সামনে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় শতাধিক গ্রামবাসীরা । পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ । পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এদিকে পরে পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় । গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷

দেখুন ভিডিয়ো

এই বিষয়ে মৃতের আত্মীয় রঞ্জিত সরকার বলেন, " গতকাল রাতে ভজনকে সাপে কামড় দেয়৷ যার ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতির ফলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনেক দেরিতে চিকিৎসা শুরু করেছেন । স্যালাইন দিয়ে ফেলে রেখেছিলেন । অনেক পরে ইঞ্জেকশন দেওয়ার ফলে কোনও লাভ হয়নি । শেষ অবধি আমাদের ছেলে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। তাই আমরা ওই কর্তব্যরত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধ করেছিলাম । আজকে ভজনের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে । পরবর্তীতে যাতে অন্যকারও এভাবে মৃত্যু না হয় ৷ এবিষয়ে আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করব ।"

এবিষয়ে কুমারগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শতভিষা খাঁড়া বলেন, " এবিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না । যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবেন ।" অন্যদিকে, কুমারগঞ্জ থানার OC টাশি থিরিং শেরপা বলেন, " আজকে বরাহার হাসপাতালের কাছে পথ অবরোধ হয়েছিল । পুলিশ গিয়ে পরে পথ অবরোধ তুলে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।"

Last Updated : Sep 18, 2020, 10:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.