কুশমণ্ডি , 10 নভেম্বর : মাত্র 27 জনকে নিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল কুশমণ্ডির মহিষবাথানের । বর্তমানে সেই সংখ্যা 500 ছাড়িয়েছে । শুধুমাত্র জেলা নয়, মহিষবাথান শিল্পের খ্যাতি আজ জেলা ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়েছে । তুলে ধরতে এবারও কুশমণ্ডিতে মুখা মেলার আয়োজন করেছে মহিষবাথান গ্রামীণ হস্তশিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেড । বরাবরের মতো এবারও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলা নাটক ডট কম ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ । আজ এই মেলার শেষদিন । মেলা প্রাঙ্গণে প্রত্যেকদিন নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । শুক্রবার রাতে একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ষষ্ঠতম বর্ষে কুশমণ্ডির মুখা মেলার উদ্বোধন করেন গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসক দেবাঞ্জন রায় ও কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনন্দা বিশ্বাস সহ অন্য বিশিষ্টজনরা ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাচীন শিল্পকলার মুখোশ শিল্পের সঙ্গে কুশমণ্ডি মহিষবাথানের প্রায় কয়েক হাজার পরিবার যুক্ত আছে । কয়েক বছর আগেও এই শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল বর্তমান প্রজন্ম । একরকম বিলুপ্তির পথে চলে গেছিল কুশমণ্ডি মুখোশ শিল্প । অবশেষে 2013 সালে বর্তমান সরকার ও বাংলা নাটক ডট কমের সহযোগিতায় কুশমণ্ডির মুখোশ শিল্প উন্নতির শিখরে পৌঁছে থাকে। শুধুমাত্র জেলা নয়, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও মুখোশ নিজস্ব পরিচয় তৈরি করেছে । কুশমণ্ডির মহিষবাথান এলাকার একজন শিল্পী ইতিমধ্যে লন্ডন ফ্রান্স থেকে ঘুরে এসেছেন । উপার্জনের নতুন দিশা দেখানোয় বর্তমানে এই শিল্পে নতুন প্রজন্ম আসতে শুরু করেছে ।
এ প্রসঙ্গে হস্তশিল্পী নন্দীচন্দ্র সরকার বলেন, "একটা সময় এই শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল বর্তমান প্রজন্ম । 2013 সালে বাংলা নাটক ডট কম ও বর্তমান রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় মুখোশ শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে । দিন দিন মুখোশের চাহিদা বাড়ছে । অনলাইনেও বিক্রি হচ্ছে মুখোশ । এই শিল্পের দিকে ঝুঁকছে নতুন প্রজন্ম । বিক্রি বাড়ায় লাভের হারও অনেক বেড়েছে ।"
মহিষবাথান গ্রামীণ হস্তশিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, "কুশমণ্ডির মুখোশ তার নিজস্ব পরিচয় বানিয়েছে । জেলা রাজ্য ছাড়িয়ে বিদেশেও খ্যাতি ছড়িয়েছে তাদের মুখোশের । কুশমণ্ডি হস্ত শিল্পীরা ইতিমধ্যে লন্ডন ফ্রান্স থেকে ঘুরে এসেছেন । বিশ্বের দরবারে আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে প্রত্যেকবারের মতো এবারও এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে ।"