বংশীহারী, 19 মে: অনেক ক্ষেত্রেই সংক্রমণের ভয়ে ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, এমত অবস্থায় তালা ভেঙে স্থানীয় স্কুলগুলিতে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। এমনই একটি ঘটনা এবার নজর এসেছে বংশীহারী সার্কেলের আলিগারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিষয়টি নজরে আসতেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু বংশীহারী ব্লকই নয়, জেলাজুড়েই এমন ঘটনা সামনে আসছে। প্রশাসন সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিককে কোয়ারানটিন সেন্টারে না রাখার ফলেই এই সমস্যা, অভিযোগ স্থানীয়দের।
কোরোনার প্রকোপে চলছে লকডাউন। লকডাউনে ভিনরাজ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বহু শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন। রাজ্য ও কেন্দ্রের উদ্যোগে এই সমস্ত শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছেছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। অধিকাংশকেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর হোম কোয়ারানটিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রেই পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না এলাকাবাসী। ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে বলে অশঙ্কা তাঁদের। এমত অবস্থায় রাতের আশ্রয় নিতে স্কুল, কলেজের মতো সরকারি ভবনগুলিতে তালা ভেঙে ঢুকে পড়ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল বুনিয়াদপুর পৌরসভার 9 নাম্বার ওয়ার্ডের আলিগাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে, শুধুমাত্র বুনিয়াদপুর পৌরসভাই নয়, বংশীহারী ব্লক এলাকার অধিকাংশ স্কুলিগুলিতেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, আলিগাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনাটি নজরে আসতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রশাসনকে জানায়। এরপর বংশীহারী থানার পুলিশ এসে স্কুল থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বের করে দেয়। যে গ্রামবাসীরা শ্রমিকদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন তাঁরাই অভিযোগ করছেন, ''পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত কোয়ারানটিন সেন্টার না থাকার ফলেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।''
এই বিষয়ে আলিগারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শান্তনু মুখোপাধ্যায় জানান, ''গতকাল রাতে ফোন আসে, আমাদের স্কুলে পরিযায়ী শ্রমিকরা তালা ভেঙে ঢুকেছেন।সকালে বিষয়টা প্রশাসনকে জানাই। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাঁদেরকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। তবে, আমি চাই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বংশীহারী ব্লক প্রশাসন ও বুনিয়াদপুর পৌরসভা থাকবার ব্যবস্থা করুক।''