ETV Bharat / state

ভিন রাজ্য থেকে ফিরে বাঁশ বাগানে অস্থায়ী তাঁবুতেই দিন কাটছে পরিযায়ী শ্রমিকদের - পরিযায়ী শ্রমিক

ভিন রাজ্য় থেকে বহু শ্রমিক রাজ্যে ফিরছেন । মুম্বই থেকে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে লরি ভাড়া করে বালুরঘাটের রাধানগরের পশ্চিমপাড়া এলাকায় আসেন প্রায় 12 জন পরিযায়ী শ্রমিক । তবে তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । তাই বাঁশ বাগানের পাশেই গ্রামবাসীদের সহায়তায় ছেঁড়া ত্রিপল জোগাড় করে অস্থায়ী তাঁবু বানিয়ে সেখানেই রাত কাটছে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের ।

Balurghat
বালুরঘাট
author img

By

Published : May 31, 2020, 8:32 AM IST

বালুরঘাট , 30 মে : ভিন রাজ্য থেকে নিজের রাজ্যে ফিরে এলেও ঠাঁই হয়নি বাড়িতে । এমনকী , গ্রামেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি । তাই বাধ্য হয়েই বাঁশ বাগানের পাশে খোলা আকাশের নিচেই থাকতে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের । বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগরের পশ্চিমপাড়া এলাকার ঘটনা । ওই এলাকায় বাঁশ বাগান ও জঙ্গলের পাশে অস্থায়ী তাঁবু করে প্রায় 12 জন পরিযায়ী শ্রমিক কোয়ারানটিনে রয়েছেন । পরিবারের লোকেরা তাঁদের দু'বেলা খাবার দিয়ে যাচ্ছেন ।

প্রসঙ্গত , লকডাউনের মধ্যে ভিন রাজ্য থেকে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরছেন । লডাউন সময়কালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় 15 হাজারেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক এসেছে । এখনও জেলার অনেক পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরছেন । বর্তমানে মহারাষ্ট্র , গুজরাত , দিল্লি , মধ্যপ্রদেশ এবং হায়দরাবাদ থেকে আসা সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিনে রাখার পাশাপাশি সোয়াব টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । জেলা জুড়েই গ্রামের স্কুলগুলিতে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছেন । মুম্বই থেকে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে লরি ভাড়া করে বালুরঘাটের রাধানগরের পশ্চিমপাড়া এলাকায় আসেন প্রায় 12 জন পরিযায়ী শ্রমিক । তাঁরা আসার সমর খাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিজেদের শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে আসেন । অভিযোগ , তাঁদের হোম কোয়ারানটিনে থাকার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা । তবে ওই 12 জন পরিযায়ী শ্রমিককে গ্রামে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি । বাঁশ বাগানের পাশেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় । গ্রামবাসীদের সহায়তায় ছেঁড়া ত্রিপল জোগাড় করে অস্থায়ী তাঁবু বানিয়ে সেখানেই রাত কাটছে পরিযায়ী শ্রমিকদের । বাড়ি থেকে খাবার জুটছে বটে , কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি হলেই তাঁদের ঘুম উড়ে যাচ্ছে । কবে কোয়ারানটিন কাটিয়ে নিজের ঘরে আশ্রয় নেবেন , সেই অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা ।

একইভাবে তপন ব্লকের নিশ্চিন্তা গ্রামে ত্রিপলের তাঁবু তৈরি করে সেখানে পাঁচ জন শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছেন । বাড়ি থেকে তাঁদের দূর থেকে খাবার দিচ্ছেন পরিবারের লোকেরা । ঝড় বৃষ্টিতে থাকতে ভয় লাগলেও কোনও উপায় নেই তাঁদের ।

এ বিষয়ে পরিযায়ী শ্রমিক সুজয় রায় জানান , তাঁরা মহারাষ্ট্রের মুম্বই থেকে অনেকজন মিলে লরি ভাড়া করে বালুরঘাটে এসেছেন । তাঁরা রাধানগরের চার জন আছেন । বাকিরা গঙ্গাসাগরের । এখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে গ্রামে প্রবেশের সময় গ্রামবাসীরা ঢুকতে বাঁধা দেয় । সেই কারণে বাধ্য হয়ে তাঁরা পুকুরের ধারে বাঁশ বাগানে আশ্রয় নিয়েছেন । ঝড় বৃষ্টিতে খুব ভয় লাগছে তাঁদের । বাড়ি থেকে খাবার দিয়ে যাচ্ছে । কোয়ারানটিনে কাটিয়ে তাঁরা ফের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিজেদের শারীরিক পরীক্ষা করতে যাবেন ।

অন্যদিকে , এবিষয়ে বালুরঘাটের BDO অনুজ শিকদার জানান , জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে হোম কোয়ারানটিনের নির্দেশ দিলে তাঁরা বাড়িতে যাবে । সেক্ষেত্রে কেউ বাঁা সৃষ্টি করতে পারবে না । তবুও তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন । পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে গেলে ভয়ের কিছু নেই ।

বালুরঘাট , 30 মে : ভিন রাজ্য থেকে নিজের রাজ্যে ফিরে এলেও ঠাঁই হয়নি বাড়িতে । এমনকী , গ্রামেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি । তাই বাধ্য হয়েই বাঁশ বাগানের পাশে খোলা আকাশের নিচেই থাকতে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের । বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগরের পশ্চিমপাড়া এলাকার ঘটনা । ওই এলাকায় বাঁশ বাগান ও জঙ্গলের পাশে অস্থায়ী তাঁবু করে প্রায় 12 জন পরিযায়ী শ্রমিক কোয়ারানটিনে রয়েছেন । পরিবারের লোকেরা তাঁদের দু'বেলা খাবার দিয়ে যাচ্ছেন ।

প্রসঙ্গত , লকডাউনের মধ্যে ভিন রাজ্য থেকে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরছেন । লডাউন সময়কালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় 15 হাজারেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক এসেছে । এখনও জেলার অনেক পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরছেন । বর্তমানে মহারাষ্ট্র , গুজরাত , দিল্লি , মধ্যপ্রদেশ এবং হায়দরাবাদ থেকে আসা সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিনে রাখার পাশাপাশি সোয়াব টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । জেলা জুড়েই গ্রামের স্কুলগুলিতে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছেন । মুম্বই থেকে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে লরি ভাড়া করে বালুরঘাটের রাধানগরের পশ্চিমপাড়া এলাকায় আসেন প্রায় 12 জন পরিযায়ী শ্রমিক । তাঁরা আসার সমর খাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিজেদের শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে আসেন । অভিযোগ , তাঁদের হোম কোয়ারানটিনে থাকার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা । তবে ওই 12 জন পরিযায়ী শ্রমিককে গ্রামে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি । বাঁশ বাগানের পাশেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় । গ্রামবাসীদের সহায়তায় ছেঁড়া ত্রিপল জোগাড় করে অস্থায়ী তাঁবু বানিয়ে সেখানেই রাত কাটছে পরিযায়ী শ্রমিকদের । বাড়ি থেকে খাবার জুটছে বটে , কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি হলেই তাঁদের ঘুম উড়ে যাচ্ছে । কবে কোয়ারানটিন কাটিয়ে নিজের ঘরে আশ্রয় নেবেন , সেই অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা ।

একইভাবে তপন ব্লকের নিশ্চিন্তা গ্রামে ত্রিপলের তাঁবু তৈরি করে সেখানে পাঁচ জন শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছেন । বাড়ি থেকে তাঁদের দূর থেকে খাবার দিচ্ছেন পরিবারের লোকেরা । ঝড় বৃষ্টিতে থাকতে ভয় লাগলেও কোনও উপায় নেই তাঁদের ।

এ বিষয়ে পরিযায়ী শ্রমিক সুজয় রায় জানান , তাঁরা মহারাষ্ট্রের মুম্বই থেকে অনেকজন মিলে লরি ভাড়া করে বালুরঘাটে এসেছেন । তাঁরা রাধানগরের চার জন আছেন । বাকিরা গঙ্গাসাগরের । এখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে গ্রামে প্রবেশের সময় গ্রামবাসীরা ঢুকতে বাঁধা দেয় । সেই কারণে বাধ্য হয়ে তাঁরা পুকুরের ধারে বাঁশ বাগানে আশ্রয় নিয়েছেন । ঝড় বৃষ্টিতে খুব ভয় লাগছে তাঁদের । বাড়ি থেকে খাবার দিয়ে যাচ্ছে । কোয়ারানটিনে কাটিয়ে তাঁরা ফের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিজেদের শারীরিক পরীক্ষা করতে যাবেন ।

অন্যদিকে , এবিষয়ে বালুরঘাটের BDO অনুজ শিকদার জানান , জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে হোম কোয়ারানটিনের নির্দেশ দিলে তাঁরা বাড়িতে যাবে । সেক্ষেত্রে কেউ বাঁা সৃষ্টি করতে পারবে না । তবুও তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন । পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে গেলে ভয়ের কিছু নেই ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.