ETV Bharat / state

লকডাউনে গজিয়ে ওঠা চোলাই মদের ঠেক ভাঙলেন গ্রামের মহিলারা - লকডাউনে গজিয়ে ওঠা চোলাই মদের ঠেক

লকডাউনে গ্রামে গজিয়ে উঠেছিল একাধিক চোলাই মদের ঠেক। অভিযোগ, প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। আজ 3 টি মদের ঠেক ভেঙে দিলেন স্থানীয় মহিলারা।

Local woman destroyed illegal-wine-shops
বালুরঘাট
author img

By

Published : May 10, 2020, 1:01 AM IST

বালুরঘাট, 9 মে: লকডাউনে গ্রামে গজিয়ে উঠেছিল একাধিক চোলাই মদের ঠেক। চলছিল রমরমা কারবার। অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার বলেও কাজ হয়নি। অবশেষে শনিবার বিকেলে এলাকার মহিলারা এমন 3 টি চোলাই মদের ঠেক ভেঙে দিলেন। এইসঙ্গে নষ্ট করা হয় প্রচুর পরিমাণ মদ। ফের মদ বিক্রি করলে আবারও ভাঙচুর করা হবে বলে মদ বিক্রেতাদের আজ হুঁশিয়ারি দেয় স্থানীয় প্রমীলা বাহিনী।

লকডাউনে বন্ধ ছিল মদের দোকান। ফলে কালো বাজার থেকে প্রায় দ্বিগুণ দাম দিয়ে মদ কিনতে হচ্ছিল সুরাপ্রেমীদের। এমত অবস্থায় গ্রামে গঞ্জে বাড়ছিল চোলাই মদের চাহিদা। এই সুযোগে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের আয়নাপাড়া সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় গজিয়ে ওঠে চোলাই মদের ঠেক। ফলে এলাকাগুলিতে দিনে ও রাতে বসছিল মদের আসার। স্থানীয় যুবক থেকে বৃদ্ধরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছিল বলে অভিযোগ। যখন লকডাউনে কাজকর্ম নেই। বাড়ির মহিলারা কোনও মতে উপায় করছেন। বাড়ির পুরুষরা তখন রাতে তো বটেই, এমনকী দিনের বেলাতেও নেশা করছিলেন। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, কাজকর্মহীন পুরুষরা অতিরিক্ত নেশা করায় সংসারে অশান্তি লেগেই আছে। স্ত্রীদের সঙ্গে বাড়ছিল বচসা।

প্রমীলা বাহিনীর অভিযোগ, এর মূলে রয়েছে লকডাউনে গজিয়ে ওঠা চোলাই মদের ঠেকগুলি। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, যত্রতত্র চোলাই মদের ঠেক গজিয়ে ওঠার খবর পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাঁরা কোনও ব্যবস্থা করেনি। আজ তাই গ্রামের সমস্ত মহিলাদের একত্র হয়ে ওই চোলাই মদের ঠেকগুলিতে ভাঙচুর চালান তাঁরা। তৈরি মদ নষ্ট করে দেন। যদিও ঠেক ভাঙতে গেলে ব্যবসায়ীরা তাঁদের হুমকি দেন বলে জানান মহিলারা।

Local woman destroyed illegal-wine-shops
বালুরঘাটে মদের ঠেক ভাঙলেন স্থানীয় মহিলার।

স্থানীয় শিলা সিং বলেন, লকডাউনের ফলে বাড়িতে অভাব রয়েছে। স্বামীদের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা অনেকেই যা পারি কাজ করছি। আর বাড়ির পুরুষরা আমাদের উপার্জনের টাকাতেই মদ খাচ্ছে। পরিবারে অশান্তি লেগে থাকছে। তাই আজ মদের ঠেকগুলো ভেঙে দিয়েছি। গ্রামে মদ বিক্রি করতে দেব না আমরা।

এই বিষয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশের বক্তব্য, ঘটনার কথা জানি। অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব আমরা।

বালুরঘাট, 9 মে: লকডাউনে গ্রামে গজিয়ে উঠেছিল একাধিক চোলাই মদের ঠেক। চলছিল রমরমা কারবার। অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার বলেও কাজ হয়নি। অবশেষে শনিবার বিকেলে এলাকার মহিলারা এমন 3 টি চোলাই মদের ঠেক ভেঙে দিলেন। এইসঙ্গে নষ্ট করা হয় প্রচুর পরিমাণ মদ। ফের মদ বিক্রি করলে আবারও ভাঙচুর করা হবে বলে মদ বিক্রেতাদের আজ হুঁশিয়ারি দেয় স্থানীয় প্রমীলা বাহিনী।

লকডাউনে বন্ধ ছিল মদের দোকান। ফলে কালো বাজার থেকে প্রায় দ্বিগুণ দাম দিয়ে মদ কিনতে হচ্ছিল সুরাপ্রেমীদের। এমত অবস্থায় গ্রামে গঞ্জে বাড়ছিল চোলাই মদের চাহিদা। এই সুযোগে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের আয়নাপাড়া সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় গজিয়ে ওঠে চোলাই মদের ঠেক। ফলে এলাকাগুলিতে দিনে ও রাতে বসছিল মদের আসার। স্থানীয় যুবক থেকে বৃদ্ধরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছিল বলে অভিযোগ। যখন লকডাউনে কাজকর্ম নেই। বাড়ির মহিলারা কোনও মতে উপায় করছেন। বাড়ির পুরুষরা তখন রাতে তো বটেই, এমনকী দিনের বেলাতেও নেশা করছিলেন। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, কাজকর্মহীন পুরুষরা অতিরিক্ত নেশা করায় সংসারে অশান্তি লেগেই আছে। স্ত্রীদের সঙ্গে বাড়ছিল বচসা।

প্রমীলা বাহিনীর অভিযোগ, এর মূলে রয়েছে লকডাউনে গজিয়ে ওঠা চোলাই মদের ঠেকগুলি। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, যত্রতত্র চোলাই মদের ঠেক গজিয়ে ওঠার খবর পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাঁরা কোনও ব্যবস্থা করেনি। আজ তাই গ্রামের সমস্ত মহিলাদের একত্র হয়ে ওই চোলাই মদের ঠেকগুলিতে ভাঙচুর চালান তাঁরা। তৈরি মদ নষ্ট করে দেন। যদিও ঠেক ভাঙতে গেলে ব্যবসায়ীরা তাঁদের হুমকি দেন বলে জানান মহিলারা।

Local woman destroyed illegal-wine-shops
বালুরঘাটে মদের ঠেক ভাঙলেন স্থানীয় মহিলার।

স্থানীয় শিলা সিং বলেন, লকডাউনের ফলে বাড়িতে অভাব রয়েছে। স্বামীদের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা অনেকেই যা পারি কাজ করছি। আর বাড়ির পুরুষরা আমাদের উপার্জনের টাকাতেই মদ খাচ্ছে। পরিবারে অশান্তি লেগে থাকছে। তাই আজ মদের ঠেকগুলো ভেঙে দিয়েছি। গ্রামে মদ বিক্রি করতে দেব না আমরা।

এই বিষয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশের বক্তব্য, ঘটনার কথা জানি। অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব আমরা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.