বংশীহারী, 19 অগাস্ট : বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনেনি স্ত্রী । সেই অপরাধে গতরাতে মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে । মৃতের নাম তিসিবালা বর্মণ (৩৫) । মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় । ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার মৃতদেহটি পরিবার হাতে তুলে দেওয়া হবে । ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী সূর্য বর্মণ । মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে বংশীহারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে বংশীহারী থানার পুলিশ ।
বছর 19 আগে হিলির মস্তাপুর এলাকার বাসিন্দা তিসিবালা বর্মণের সঙ্গে বংশীহারী নওপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় কৃষক সূর্য বর্মণের বিয়ে হয় । তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে । মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, বিয়ের সময় প্রচুর পণ দিয়েই তাঁরা বিয়ে দিয়েছিলেন মেয়ের । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তিসিবালাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত সূর্য । টাকা না আনলে মত্ত অবস্থায় স্ত্রী'র ওপর চলত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার ।
গতকালও বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য স্ত্রী'কে চাপ দিতে থাকে অভিযুক্ত । যা নিয়ে শুরু হয় বচসা । অভিযোগ, টাকা না দিতে চাওয়ায় রাতে তিসিবালাকে বেধড়ক মারধর করে সূর্য । এরপর তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় । বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয়রা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিসিবালাকে প্রথমে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও পরে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় । বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । আজ বিকেলে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় । আজ বংশীহারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবারের লোকজন । যদিও মৃতের শ্বশুরবাড়ির দাবি, আত্মহত্যা করেছে তিসিবালা বর্মণ ।
এবিষয়ে মৃতের জামাইবাবু প্রবীণ বর্মণ ও বিনোন্দ বর্মণ জানান, তাঁদের কাছে যখন খবর আসে, ততক্ষণে শ্যালিকা মারা গেছেন । তাঁরা বলেন, "পণ নিয়ে আগেও ঝামেলা হয়েছে । বছর পাঁচেক আগে সূর্য জেলেও গেছিল ।"
বংশীহারী থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ।