মোবাইল দেখার জন্যে বকুনি বাবার, আত্মঘাতী স্কুলছাত্রী

বাবার বকুনিতে অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক কিশোরী । বাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ৷ বেশি মোবাইল দেখার জন্যে বকা দেন শাবনুরের বাবা ৷ তাতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে ৷

গঙ্গারামপুর, 20 জুন : বাবার বকুনিতে অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক কিশোরী । শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে গঙ্গারামপুর থানার পাটুল এলাকায় । আত্মঘাতী ওই কিশোরীর নাম শাবনুর ইয়াসমিন (15)। বাড়ি গঙ্গারামপুর ব্লকের 4 নম্বর নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটুল এলাকায় । বাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল সে ।

পরিবার সূত্রে খবর শনিবার সকাল থেকে মোবাইল ব্যবহার করছিল ওই কিশোরী । সেই সময় তার বাবা পড়াশোনার কথা বলে বকাবকি করে ৷ পরে পরিবারের আড়ালে রান্নাঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় শাবনুর । শনিবার বিকেলে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের নজরে আসতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায় । ঘটনার পর কিশোরীকে উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ৷

গ্রামবাসী মোখলেছুর রহমান জানান, "মেয়েটি অত্যন্ত পড়াশোনায় ভালো ছিল, সকালে কিশোরীর বাবা পড়াশোনার কথা বলে, সকাল থেকে পড়াশোনার বদলে মোবাইল ঘাটছিল শাবনুর । সেই কারণে তাঁর বাবা তাকে গালিগালাজ করে ৷"

গঙ্গারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বলেন, "গঙ্গারামপুর থানার পাটুল এলাকায় এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷ পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাটে পাঠিয়ে দেয় ৷" একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দেওয়া হয় পুলিশের তরফ থেকে ৷