ETV Bharat / state

লকডাউনে অস্তিত্ব সংকটে গঙ্গারামপুরের তাঁত শিল্প

author img

By

Published : Jul 27, 2020, 7:58 AM IST

লকডাউনে নেই শাড়ির চাহিদা ৷ কলকাতা থেকে আসছে না কাঁচামাল ৷ রপ্তানিও হচ্ছে না বাইরে ৷ চরম সংকটে দক্ষিণ দিনাজপুরের তাঁত শিল্প ৷

ছবি
ছবি

গঙ্গারামপুর, 25 জুলাই : লকডাউনে নেই শাড়ির চাহিদা, পরিবহন সমস্যার কারণে কলকাতা থেকেও ঠিকমতো আসছে না কাঁচামাল ৷ যার জেরে সংকটে পড়েছেন গঙ্গারামপুরের তাঁতিপাড়ার শিল্পীরা ৷ এই পরিস্থিতিতে শাড়ি অন্য জেলায় যাচ্ছে না ৷ ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন কয়েক হাজার তাঁত ব্যবসায়ী ও শ্রমিক । অবস্থা এই জায়গায় পৌঁছেছে যে, বেতন এখন না পেলেও পরে পাবেন সেই আশায় কাজ করছেন শ্রমিকরা ।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের তাঁতের সুনাম রাজ্যজুড়ে । গঙ্গারামপুর ব্লকের মহারাজপুর, কালিতলা, সুকদেবপুর-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কয়েক হাজার পরিবার হস্তচালিত তাঁত তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে । দীর্ঘ দিন ধরেই মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কম দামে শাড়ির জোগান দিয়ে আসছেন এখানকার তাঁত শিল্পীরা । মূলত এখানকার তাঁতের শাড়ি নবদ্বীপে যায় । এছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গারামপুরের তাঁতের শাড়ি বিক্রি হয় । আর এই তাঁতের শাড়ি তৈরির সুতো ও অন্য কাঁচামাল কলকাতা থেকে আসে ।

লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত শিল্প

শুধুমাত্রই গঙ্গারামপুরেই হাজারের বেশি তাঁত ব্যবসায়ী ও মহাজন রয়েছে । আর মহাজনদের কাছে প্রায় 10 থেকে 15 হাজার শ্রমিক তাঁতের শাড়ি তৈরির কাজ করেন । এক এক জন শ্রমিক দিনে মেশিনে 6টি করে শাড়ি বুনতে পারেন । একটি শাড়ি বুনলে 50টা করে পান শ্রমিকরা । দিন প্রায় 300 টাকা করে উপার্জন করে থাকেন । একটি শাড়ি তৈরি করে 50-70 টাকা আয় হয় মালিকদের । তবে লকডাউনের পর আমুল পরিবর্তন এসেছে গঙ্গারামপুরের তাঁতিপাড়ায় । বহু তাঁত বন্ধ রয়েছে ।

এই বিষয়ে তাঁত কারখানার মালিক সঞ্জয় দাস জানান, "লকডাউনের আগে আমাদের ব্যবসা যতটা ভালো ছিল, লকডাউনের পর ততটাই খারাপ হয়েছে । লকডাউনের কারণে কলকাতা থেকে সুতো ও অন্য সরঞ্জাম ঠিকমতো আসছে না । কোথাও হাটও বসছে না । আমাদের ব্যবসার অবস্থা এখন খুবই খারাপ । যেসব কর্মচারী এখানে কাজে করেন, তাঁদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারছি না । তাই তাঁরা অন্য পেশায়ও চলে যেতে পারেন । পরে শ্রমিক পাওয়া মুশকিল । এদিকে, লকডাউনের ফলে তাঁতের শাড়ি বাইরে যাচ্ছে না । কোনওমতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই শাড়ি বিক্রি করা হচ্ছে ।

অন্য আর এক তাঁত ব্যবসায়ী দিনেশ দাস জানান, "লকডাউনের আগে গোটা মাসজুড়ে ভালোভাবেই ব্যবসা চলছিল । কিন্তু, লকডাউনের কারণে তাঁতের শাড়ি কেনা-বেচা একদম বন্ধ রয়েছে । বর্তমানে গঙ্গারামপুরের তাঁতিদের অবস্থা না খেতে পেয়ে মরা যাওয়ার মতো । তবে লকডাউনের সময় একটু হলেও আশার আলো দেখিয়েছিল তন্তুজ । গঙ্গারামপুরের প্রায় ৩০০ মহাজন তন্তুজের শাড়ি দিয়েছিলেন । কিন্তু সেই শাড়ির দাম এখনও পাননি তাঁরা । এই অবস্থায় সরকার যদি তাঁদের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে তাঁরা উপকৃত হবেন । " অন্যদিকে এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর তাঁত শিল্পী সংগঠনের সম্পাদক বিদ্যুৎ জোয়াদ্দার জানান, " লকডাউনের কারণে গঙ্গারামপুরের তাঁত শিল্পে কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে । তন্তুজের শাড়ি দিয়ে যাঁরা টাকা পাননি, তাঁরা যাতে দ্রুত টাকা পান, তাঁর জন্য তন্তুজের সঙ্গে কথা বলছেন ।"

গঙ্গারামপুর, 25 জুলাই : লকডাউনে নেই শাড়ির চাহিদা, পরিবহন সমস্যার কারণে কলকাতা থেকেও ঠিকমতো আসছে না কাঁচামাল ৷ যার জেরে সংকটে পড়েছেন গঙ্গারামপুরের তাঁতিপাড়ার শিল্পীরা ৷ এই পরিস্থিতিতে শাড়ি অন্য জেলায় যাচ্ছে না ৷ ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন কয়েক হাজার তাঁত ব্যবসায়ী ও শ্রমিক । অবস্থা এই জায়গায় পৌঁছেছে যে, বেতন এখন না পেলেও পরে পাবেন সেই আশায় কাজ করছেন শ্রমিকরা ।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের তাঁতের সুনাম রাজ্যজুড়ে । গঙ্গারামপুর ব্লকের মহারাজপুর, কালিতলা, সুকদেবপুর-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কয়েক হাজার পরিবার হস্তচালিত তাঁত তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে । দীর্ঘ দিন ধরেই মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কম দামে শাড়ির জোগান দিয়ে আসছেন এখানকার তাঁত শিল্পীরা । মূলত এখানকার তাঁতের শাড়ি নবদ্বীপে যায় । এছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গারামপুরের তাঁতের শাড়ি বিক্রি হয় । আর এই তাঁতের শাড়ি তৈরির সুতো ও অন্য কাঁচামাল কলকাতা থেকে আসে ।

লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত শিল্প

শুধুমাত্রই গঙ্গারামপুরেই হাজারের বেশি তাঁত ব্যবসায়ী ও মহাজন রয়েছে । আর মহাজনদের কাছে প্রায় 10 থেকে 15 হাজার শ্রমিক তাঁতের শাড়ি তৈরির কাজ করেন । এক এক জন শ্রমিক দিনে মেশিনে 6টি করে শাড়ি বুনতে পারেন । একটি শাড়ি বুনলে 50টা করে পান শ্রমিকরা । দিন প্রায় 300 টাকা করে উপার্জন করে থাকেন । একটি শাড়ি তৈরি করে 50-70 টাকা আয় হয় মালিকদের । তবে লকডাউনের পর আমুল পরিবর্তন এসেছে গঙ্গারামপুরের তাঁতিপাড়ায় । বহু তাঁত বন্ধ রয়েছে ।

এই বিষয়ে তাঁত কারখানার মালিক সঞ্জয় দাস জানান, "লকডাউনের আগে আমাদের ব্যবসা যতটা ভালো ছিল, লকডাউনের পর ততটাই খারাপ হয়েছে । লকডাউনের কারণে কলকাতা থেকে সুতো ও অন্য সরঞ্জাম ঠিকমতো আসছে না । কোথাও হাটও বসছে না । আমাদের ব্যবসার অবস্থা এখন খুবই খারাপ । যেসব কর্মচারী এখানে কাজে করেন, তাঁদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারছি না । তাই তাঁরা অন্য পেশায়ও চলে যেতে পারেন । পরে শ্রমিক পাওয়া মুশকিল । এদিকে, লকডাউনের ফলে তাঁতের শাড়ি বাইরে যাচ্ছে না । কোনওমতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই শাড়ি বিক্রি করা হচ্ছে ।

অন্য আর এক তাঁত ব্যবসায়ী দিনেশ দাস জানান, "লকডাউনের আগে গোটা মাসজুড়ে ভালোভাবেই ব্যবসা চলছিল । কিন্তু, লকডাউনের কারণে তাঁতের শাড়ি কেনা-বেচা একদম বন্ধ রয়েছে । বর্তমানে গঙ্গারামপুরের তাঁতিদের অবস্থা না খেতে পেয়ে মরা যাওয়ার মতো । তবে লকডাউনের সময় একটু হলেও আশার আলো দেখিয়েছিল তন্তুজ । গঙ্গারামপুরের প্রায় ৩০০ মহাজন তন্তুজের শাড়ি দিয়েছিলেন । কিন্তু সেই শাড়ির দাম এখনও পাননি তাঁরা । এই অবস্থায় সরকার যদি তাঁদের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে তাঁরা উপকৃত হবেন । " অন্যদিকে এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর তাঁত শিল্পী সংগঠনের সম্পাদক বিদ্যুৎ জোয়াদ্দার জানান, " লকডাউনের কারণে গঙ্গারামপুরের তাঁত শিল্পে কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে । তন্তুজের শাড়ি দিয়ে যাঁরা টাকা পাননি, তাঁরা যাতে দ্রুত টাকা পান, তাঁর জন্য তন্তুজের সঙ্গে কথা বলছেন ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.