ETV Bharat / state

নজরদারি চালাতে গঙ্গারামপুরের কাউন্সিলরদের বাড়ির সামনে বসছে CCTV !

গঙ্গারামপুর পৌরসভায় তলবি সভার আগে কাউন্সিলরদের বাড়ির সমানে CCTV লাগানোর সিদ্ধান্ত নিলেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র ।

প্রশান্ত মিত্র
author img

By

Published : Jul 28, 2019, 3:17 PM IST

গঙ্গারামপুর, 28 জুলাই : 5 অগাস্ট গঙ্গারামপুর পৌরসভায় তলবি সভা । তার আগে কাউন্সিলরদের বাড়ির সমানে CCTV লাগানোর সিদ্ধান্ত নিলেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । নিরাপত্তার কথা বললেও কাউন্সিলরদের উপর নজরদারি চালাতেই CCTV লাগানোর সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ উঠেছে ।

গঙ্গারামপুর পৌরসভায় 18 জন কাউন্সিলর । একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সেখানে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রর ভাই । বিপ্লববাবু BJP-তে যোগ দেওয়ার পরই তৃণমূল জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে প্রশান্ত মিত্রর । 25 জুন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয় ।

এই ঘোষণার পরই পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার সহ আরও 9 তৃণমূল কাউন্সিলর প্রশান্তবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ।

চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রর পক্ষে 8 এবং বিপক্ষে 10 কাউন্সিলর রয়েছে । 5 অগাস্ট সেখানে তলবি সভা । এরই মাঝে 17 কাউন্সিলরের বাড়ির সামনেই লাগানো হচ্ছে CCTV। পৌরসভার ফান্ড থেকে ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ।

প্রশান্ত মিত্রর অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে ও জোর করে অর্পিতা ঘোষ ও অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার কিছু কাউন্সিলরকে অন্যত্র সরিয়ে রেখেছেন । এই বিষয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় সামিল কাউন্সিলর অতনু রায় বলেন, "আসলে তিনিও জানেন কেউ লুকিয়ে নেই । সবাই বড়িতেই আছেন । সমস্ত কাউন্সিলরদের নিরাপত্তার জন্য ক্যামেরা বসানোর কথা বলছেন চেয়ারম্যান । আসলে নজরদারি করতে এই পরিকল্পনা নিচ্ছেন । চেয়ারম্যান দেখতে চাইছেন কাদের সঙ্গে কাউন্সিলররা যোগাযোগ রাখছেন ।"

এদিকে BJP নেতা বিপ্লব মিত্র এই বিষয়ে বলেন, "গঙ্গারামপুর পৌরসভার বেশ কিছু কাউন্সিলর ঘর ছাড়া । তাদের বাইরে বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না । কাউন্সিলরদের বাড়ির সামনে CCTV লাগানো উচিত । হাইকোর্টের রায়, সব কাউন্সিলরকে নিরাপত্তা দিতে হবে । পাশাপাশি আগামী 5 তারিখ যাতে কাউন্সিলররা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারে তাও সুনিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।"

গঙ্গারামপুর, 28 জুলাই : 5 অগাস্ট গঙ্গারামপুর পৌরসভায় তলবি সভা । তার আগে কাউন্সিলরদের বাড়ির সমানে CCTV লাগানোর সিদ্ধান্ত নিলেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । নিরাপত্তার কথা বললেও কাউন্সিলরদের উপর নজরদারি চালাতেই CCTV লাগানোর সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ উঠেছে ।

গঙ্গারামপুর পৌরসভায় 18 জন কাউন্সিলর । একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সেখানে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রর ভাই । বিপ্লববাবু BJP-তে যোগ দেওয়ার পরই তৃণমূল জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে প্রশান্ত মিত্রর । 25 জুন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয় ।

এই ঘোষণার পরই পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার সহ আরও 9 তৃণমূল কাউন্সিলর প্রশান্তবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ।

চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রর পক্ষে 8 এবং বিপক্ষে 10 কাউন্সিলর রয়েছে । 5 অগাস্ট সেখানে তলবি সভা । এরই মাঝে 17 কাউন্সিলরের বাড়ির সামনেই লাগানো হচ্ছে CCTV। পৌরসভার ফান্ড থেকে ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ।

প্রশান্ত মিত্রর অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে ও জোর করে অর্পিতা ঘোষ ও অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার কিছু কাউন্সিলরকে অন্যত্র সরিয়ে রেখেছেন । এই বিষয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় সামিল কাউন্সিলর অতনু রায় বলেন, "আসলে তিনিও জানেন কেউ লুকিয়ে নেই । সবাই বড়িতেই আছেন । সমস্ত কাউন্সিলরদের নিরাপত্তার জন্য ক্যামেরা বসানোর কথা বলছেন চেয়ারম্যান । আসলে নজরদারি করতে এই পরিকল্পনা নিচ্ছেন । চেয়ারম্যান দেখতে চাইছেন কাদের সঙ্গে কাউন্সিলররা যোগাযোগ রাখছেন ।"

এদিকে BJP নেতা বিপ্লব মিত্র এই বিষয়ে বলেন, "গঙ্গারামপুর পৌরসভার বেশ কিছু কাউন্সিলর ঘর ছাড়া । তাদের বাইরে বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না । কাউন্সিলরদের বাড়ির সামনে CCTV লাগানো উচিত । হাইকোর্টের রায়, সব কাউন্সিলরকে নিরাপত্তা দিতে হবে । পাশাপাশি আগামী 5 তারিখ যাতে কাউন্সিলররা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারে তাও সুনিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।"

Intro:গঙ্গারামপুর পৌরসভার কাউন্সিলরদের উপর নজরদারি চালাতে প্রত্যেকের বাড়ির সামনে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি, সরব অনাস্থা ডাকা তৃণমূল কাউন্সিলররা।।

গঙ্গারামপুর, ২৭ জুলাই: আগামী ৫ আগস্ট গঙ্গারামপুর পৌরসভার অনাস্থা সভা। এর মধ্যে তৃণমূলই সংখ্যা গরিষ্ঠ আছে তা প্রমাণ করতে গত শুক্রবার জেলা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১০ জন কাউন্সিলর। এদিকে পৌরসভার ১৮ কাউন্সিলরের মধ্যে ১৭ জনের বাড়ির সমানে সিসিটিভি সিদ্ধান্ত নিল পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র। খুব শীঘ্রই সকল কাউন্সিলের বাড়ির সামনে ক্যামেরা গুলি লাগানো হবে বলে জানানো হয়েছে। কাউন্সিলারদের নিরাপত্তার কথা বলা হলেও ওই ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চলবে বলেই মনে করছে সকলে।

জানা গেছে, গঙ্গারামপুরে ১৮ টি ওয়ার্ড। সেখানে অচলাবস্থা চলছে। চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রর পক্ষে ৮ জন এবং বিপক্ষে বাকি ১০ কাউন্সিলার রয়েছে। অনাস্থা ডাকা হয়েছে চেয়ারম্যান প্রশান্তর বিরুদ্ধে। দু'পক্ষের বিরোধে অচলাবস্থা ওই পৌরসভায়। আগামী ৫ আগষ্ট তলবি সভার উপড় নির্ভর করছে প্রশান্তর চেয়ারম্যান থাকা না থাকার বিষয়টি। এরমাঝেই এক নয়া কৌশল নিলেন প্রশান্ত। তিনি পক্ষে ও বিপক্ষে থাকা ১৭ কাউন্সিলারদের বাড়ির সামনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু করলেন।
প্রথম থেকেই প্রশান্ত মিত্র দাবি করে আসছিলেন যে, ভয় দেখিয়ে, জোর করে অর্পিতা ঘোষ ও অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার কিছু কাউন্সিলারকে অন্যত্র সরিয়ে রেখেছেন। যাতে ওই কাউন্সিলাররা তার সাথে যোগাযোগ করতে না পারে। এর মধ্যে আবার ১৭ জন কাউন্সিলারের বাড়ির সামনে সিসি ক্যামেরা বসানোর নয়া চাল বা কৌশল নিলেন তিনি। পৌরসভার ফান্ড থেকে ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সমস্ত কাউন্সিলারদের নিরপত্তার জন্য এই ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রশান্ত। কিন্তু নিরাপত্তা নয়, নজরদারির জন্য প্রশান্ত সিসি ক্যামেরা বসানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি বিপক্ষে থাকা কাউন্সিলারদের।

এবিষয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় সামিল কাউন্সিলার অতনু রায় বলেন, সমস্ত কাউন্সিলারদের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা বলছেন চেয়ারম্যান। কিন্ত আদতে তিনি নজরদারি করতে এই পরিকল্পনা নিচ্ছেন। চেয়ারম্যান দেখতে চাইছেন কাদের সাথে কাউন্সিলাররা যোগাযোগ রাখছেন। কে বা কারা আসছেন তাদের বাড়িতে। আবার কোথায় যাচ্ছেন কাউন্সিলাররা তা নজর রাখতে চাইছেন। চেয়ারম্যান কখন বলছেন কাউন্সিলারদের লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আসলে তিনিও জানেন কেউ লুকিয়ে নেই। সবাই বড়িতেই আছেন। তবে এখনো লাগানো হয়নি কোনো ক্যামেরা। বিষয়টি কি হচ্ছে দেখে তারা পদক্ষেপ নেবেন। কোন এক্তিয়ারে তিনি সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা বলছেন তাও দেখা হবে।

এবিষয়ে চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন, ভয় দেখিয়ে অনেক কাউন্সিলারকে তার বিরুদ্ধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেককে বাইরে রেখে দেওয়া হয়েছে। তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সব কাউন্সিলারদের নিরাপত্তা দেবেন এটাই স্বাভাবিক। পুলিশ তাদের মত নিরাপত্তার বিষয় দেখছে। তবু তিনি সব কাউন্সিলরদের নিরপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে কে কাকে ভয় দেখাচ্ছে তা বোঝা যাবে। এছাড়া সকলের গতিবিধি নজরে রাখা যাবে। তিনি চেয়ারম্যানের ক্ষমতা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

অন্য দিকে এবিষয়ে বিজেপি নেতা তথা প্রশান্ত মিত্রের দাদা বিপ্লব মিত্র জানান, গঙ্গারামপুর পৌরসভার বেশ কিছু কাউন্সিলর ঘর ছাড়া। তাদের বাইরে বাইরে ঘুরিয়ে নিয়ে বেরনো হচ্ছে। কলকাতা, দীঘা ঝাড়খণ্ড আবার বালুরঘাট নিয়ে ঘুরে বেরছেন। সাধারণ পরিষেবা পাচ্ছে না। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে ত্রিপল বিলি করার সময় পুলিশ দিয়ে ঘর সিল করা হচ্ছে। কাউন্সিলরদের বাড়ির সামনে সিসিটিভি লাগানো উচিৎ। হাই কোর্টের রায় সব কাউন্সিলরদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং আগামী ৫ তারিখ যাতে কাউন্সিলররা স্বাধীন ভাবে নিজের মত প্রকাশ করতে পারে তাও সুনিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।Body:Gangarampur Conclusion:Gangarampur
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.