গঙ্গারামপুর, 28 জুলাই : 5 অগাস্ট গঙ্গারামপুর পৌরসভায় তলবি সভা । তার আগে কাউন্সিলরদের বাড়ির সমানে CCTV লাগানোর সিদ্ধান্ত নিলেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । নিরাপত্তার কথা বললেও কাউন্সিলরদের উপর নজরদারি চালাতেই CCTV লাগানোর সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ উঠেছে ।
গঙ্গারামপুর পৌরসভায় 18 জন কাউন্সিলর । একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সেখানে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রর ভাই । বিপ্লববাবু BJP-তে যোগ দেওয়ার পরই তৃণমূল জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে প্রশান্ত মিত্রর । 25 জুন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয় ।
এই ঘোষণার পরই পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার সহ আরও 9 তৃণমূল কাউন্সিলর প্রশান্তবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ।
চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রর পক্ষে 8 এবং বিপক্ষে 10 কাউন্সিলর রয়েছে । 5 অগাস্ট সেখানে তলবি সভা । এরই মাঝে 17 কাউন্সিলরের বাড়ির সামনেই লাগানো হচ্ছে CCTV। পৌরসভার ফান্ড থেকে ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ।
প্রশান্ত মিত্রর অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে ও জোর করে অর্পিতা ঘোষ ও অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার কিছু কাউন্সিলরকে অন্যত্র সরিয়ে রেখেছেন । এই বিষয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় সামিল কাউন্সিলর অতনু রায় বলেন, "আসলে তিনিও জানেন কেউ লুকিয়ে নেই । সবাই বড়িতেই আছেন । সমস্ত কাউন্সিলরদের নিরাপত্তার জন্য ক্যামেরা বসানোর কথা বলছেন চেয়ারম্যান । আসলে নজরদারি করতে এই পরিকল্পনা নিচ্ছেন । চেয়ারম্যান দেখতে চাইছেন কাদের সঙ্গে কাউন্সিলররা যোগাযোগ রাখছেন ।"
এদিকে BJP নেতা বিপ্লব মিত্র এই বিষয়ে বলেন, "গঙ্গারামপুর পৌরসভার বেশ কিছু কাউন্সিলর ঘর ছাড়া । তাদের বাইরে বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না । কাউন্সিলরদের বাড়ির সামনে CCTV লাগানো উচিত । হাইকোর্টের রায়, সব কাউন্সিলরকে নিরাপত্তা দিতে হবে । পাশাপাশি আগামী 5 তারিখ যাতে কাউন্সিলররা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারে তাও সুনিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।"