ETV Bharat / state

সরকারি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন, অবাধে ফসলের গোড়া পুড়ছে বংশীহারীতে

সরকারি নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে অবাধে চলছে ধানের গোড়া পোড়ানো ৷

stubble
সরকারি নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে অবাধে চলছে ধানের গোড়া পোড়ানো ৷
author img

By

Published : Dec 11, 2019, 1:58 AM IST

বংশীহারী, 11 ডিসেম্বর : ফসলের গোড়া পোড়ানোয় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা ৷ কিন্তু সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে বংশীহারী ব্লকে অবাধে চলছে ধানের অবশিষ্ট অংশ (ন্যাড়া ) পোড়ানোর কাজ । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি এলাকায় এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে ৷ কৃষি দপ্তর থেকে অনেক জায়গায় বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে শুরু করে কৃষকদেরকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে ৷ ধান এবং গম ওঠার পরে এই অবশিষ্ট অংশ অর্থাৎ গোড়া ( ন্যাড়া) পোড়াতে না পারে । এর ফলে মাটির উর্বরতা কমে যাচ্ছে । পরিবেশ দূষণও হয় ৷ এর ফলে ফসল বা ধানের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো আইনত নিষিদ্ধ ।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের কৃষি আধিকারিক তাপস কুমার দাস বলেন, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো যেন বন্ধ হয় সে নিয়ে রাজ্য সরকার একটা আইন পাশ করেছিল । সেই আইনে বলা আছে মাটির উর্বরতা বজায় রাখার জন্য এবং ভালো ফসল হওয়ার জন্য ধান বা গমের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানো যাবে না । কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বেশিরভাগ জায়গায় দেখা যায় ধান বা গম কাটার পরে তার অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোর উদ্যোগ নেন কৃষকরা । এ কারণেই ফলন ভালো হচ্ছে না । নিজেরাই চাষের ক্ষতি করছে ।

দেখুন ভিডিয়ো

এই বিষয়ে আশ মহম্মদ নামে এক কৃষক বলেন, ''আমার জমির ধানের গোড়া আমি পোড়াবো না ৷ কারণ জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে ৷ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জ্বালানি হিসেবে কাজ করব ।'' অপর কৃষক বলেন, ''আমি ধানের অবশিষ্টাংশ একাই পোড়াচ্ছি তা নয়, সবাই পোড়াচ্ছে । '' ব্লকের কৃষি আধিকারিকের মত, ''আগামী কয়েকদিন পর বংশীহারী ব্লকে কৃষি মেলা এবং সেই কৃষি মেলাতে ফসলের গোড়া পোড়ানো বন্ধের জন্য নাটক এবং বিভিন্ন গানের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করা হবে ৷''

বংশীহারী, 11 ডিসেম্বর : ফসলের গোড়া পোড়ানোয় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা ৷ কিন্তু সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে বংশীহারী ব্লকে অবাধে চলছে ধানের অবশিষ্ট অংশ (ন্যাড়া ) পোড়ানোর কাজ । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি এলাকায় এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে ৷ কৃষি দপ্তর থেকে অনেক জায়গায় বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে শুরু করে কৃষকদেরকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে ৷ ধান এবং গম ওঠার পরে এই অবশিষ্ট অংশ অর্থাৎ গোড়া ( ন্যাড়া) পোড়াতে না পারে । এর ফলে মাটির উর্বরতা কমে যাচ্ছে । পরিবেশ দূষণও হয় ৷ এর ফলে ফসল বা ধানের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো আইনত নিষিদ্ধ ।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের কৃষি আধিকারিক তাপস কুমার দাস বলেন, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো যেন বন্ধ হয় সে নিয়ে রাজ্য সরকার একটা আইন পাশ করেছিল । সেই আইনে বলা আছে মাটির উর্বরতা বজায় রাখার জন্য এবং ভালো ফসল হওয়ার জন্য ধান বা গমের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানো যাবে না । কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বেশিরভাগ জায়গায় দেখা যায় ধান বা গম কাটার পরে তার অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোর উদ্যোগ নেন কৃষকরা । এ কারণেই ফলন ভালো হচ্ছে না । নিজেরাই চাষের ক্ষতি করছে ।

দেখুন ভিডিয়ো

এই বিষয়ে আশ মহম্মদ নামে এক কৃষক বলেন, ''আমার জমির ধানের গোড়া আমি পোড়াবো না ৷ কারণ জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে ৷ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জ্বালানি হিসেবে কাজ করব ।'' অপর কৃষক বলেন, ''আমি ধানের অবশিষ্টাংশ একাই পোড়াচ্ছি তা নয়, সবাই পোড়াচ্ছে । '' ব্লকের কৃষি আধিকারিকের মত, ''আগামী কয়েকদিন পর বংশীহারী ব্লকে কৃষি মেলা এবং সেই কৃষি মেলাতে ফসলের গোড়া পোড়ানো বন্ধের জন্য নাটক এবং বিভিন্ন গানের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করা হবে ৷''

Intro:সরকারি নিষেধাজ্ঞা কে তোয়াক্কা না করে অবাধে চলছে ধানের নেড়া পোড়ানোর কাজ ।।

বংশিহারি ;- 11 ডিসেম্বর ;---সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে বংশীহারী ব্লকে অবাধে চলছে ধানের অবশিষ্ট অংশ (ন্যাড়া ) পোড়ানোর কাজ । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মহা বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু কিছু এলাকায় এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে । কৃষি দপ্তর থেকে অনেক জায়গায় বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে শুরু করে কৃষকদেরকে বার্তা দেয়া হচ্ছে যেন কৃষকরা ধান এবং গম উঠার পরে এই অবশিষ্ট অংশ অর্থাৎ ন্যাড়া গুলা পোড়াতে না পারে । কারণ এই ন্যাড়া পোড়ানোর ফলে মাটির মধ্যে উর্বরতার মাত্রা খুব কমে যাচ্ছে । ধানের অবশিষ্টাংশ বা ন্যাড়া পুরানো আইনত নিষিদ্ধ । এই নিয়ে কৃষি দপ্তরের কঠিন আইন কি আছে সেই নিয়ে উদ্যোগী হচ্ছে কৃষি দপ্তর ।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের কৃষি আধিকারিক তাপস কুমার দাস ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় ধানের অবশিষ্ট অংশ অর্থাৎ ন্যাড়া পুরানো যেন বন্ধ হয় সে নিয়ে রাজ্য সরকার একটা কঠিন আইন পাস করে । সেই আইনে বলা আছে মাটির উর্বরতা রাখার জন্য এবং ভালো ফসল হওয়ার জন্য ধান বা গমের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানো যাবে না । কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বেশিরভাগ জায়গায় দেখা যায় ধান বা গম কাটার পরে তার অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোর উদ্যোগ নেয় কৃষকরা । কিন্তু এই পুরানো কতটা ক্ষতিকর তা কৃষকরা জানেনা এবং সেই কারণে ফসল চাষ করার সময় তাদের ফসল ঠিকমতো হয়না । এই কথা মাথায় রেখে কৃষি দপ্তর উদ্যোগ নেই জেলার সমস্ত জায়গায় ধান বা গণেশ অবশিষ্টাংশ যেন না পোড়ানো হয় সেই নিয়ে কঠিন আইন আনা হয় । কিন্তু এই আইনকে তোয়াক্কা না করে বংশীহারী ব্লকের কৃষকরা ধানের অবশিষ্ট অংশ বা ন্যাড়া পুড়িয়ে দিচ্ছে এবং চাষের ক্ষতি করছে ।

এই বিষয়ে আস মোহাম্মদ নামে এক কৃষক জানান আমার জমির ধান আমি পড়াবো না কারণ পড়ে পড়ে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে সেই কারণে আমি পড়াবো না বরঞ্চ আমি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জ্বালানি হিসেবে কাজ করব ।

নূর মোহাম্মদ নামে এক কৃষক জানান আমি ধানের অবশিষ্টাংশ পোড়াবো না তো কি করব আমি তো একাই পোড়াচ্ছি না অন্যান্য সবাই পুড়াচ্ছে । ধানের অবশিষ্ট অংশের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে আমি পুড়িয়ে কম করে দিচ্ছি ।

এই বিষয়ে কৃষি আধিকারিক তাপস কুমার দাস জানান এই বছর থেকে আমাদের আইন হয়েছে ধান ,গমের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো যাবে না সেজন্য আমরা কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প এবং গ্রামের লোকজন দেরকে বোঝানো হচ্ছে যে মাটির উর্বরতা রক্ষা করার জন্য তারা যেন এই ন্যাড়া না পুরানো হয় । আগামী কয়েকদিন পরে আমাদের বংশিহারি ব্লকে কৃষি মেলা এবং সেই কৃষি মেলাতে ধানের ন্যাড়া পুরানো বন্ধ করার জন্য নাটক এবং বিভিন্ন গানের মাধ্যমে বোঝেনা হবে কৃষকদের ।।









Body:সরকারি নিষেধাজ্ঞা কে তোয়াক্কা না করে অবাধে চলছে ধানের নেড়া পোড়ানোর কাজ ।।



Conclusion:সরকারি নিষেধাজ্ঞা কে তোয়াক্কা না করে অবাধে চলছে ধানের নেড়া পোড়ানোর কাজ ।।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.